আল-মামুন খান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় এই বছর গত বছরের তুলনায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে দাবি করেন তাড়াইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমন ধানের আবাদি বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের চারিদিক সবুজের সমারোহে ঘেরা। আমন ধানে সবুজ শীতল পাটিতে বিছিয়ে রেখেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমতল ও অসমতল ভূমি। মৃদু হাওয়া ধানের সবুজ চারার গায়ে লেগে হেলেদুলে নাড়া দিচ্ছে। যেদিকে তাকানো যাচ্ছে, সে দিকেই সবুজের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সবুজ ধানে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সেজেছে। শ্রাবণে নির্মল আকাশ ও সবুজের সমারোহে এ ধরা যেন নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে ধানের হাইব্রিড বীজ দেওয়ায় চলতি মৌসুমে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সাত হাজার চারশত ৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবছর জমিতে তারা বিনা সেভেন ৮, হাইব্রিড বি ধান-৭, ২৮ ,২৯ ,৪৯, ৫২, বায়ার কোম্পানির ধানী গোল্ড, তেজ ও পেট্রোকেম কোম্পানির পাইওনিয়ার এগ্রো-১২ জাতের ধান রোপণ করেছিলেন তারা।
উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের দেওথান গ্রামের স্বপন খান, মেনু খান, মকুল খান, ঘোষপাড়া গ্রামের রতন মিয়া, সাইকুল মিয়া, আজিজুল হকসহ অনেকেই জানান, বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় এবছর বেশি আমন ধান আবাদ করেছি।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ
আশরাফুল আলম জানান, চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। তবে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।