বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের জন্য এটি এক সৌভাগ্যবান অর্জন যে,আমরা এখন ডিজিটাল সেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ। ২০০৯ সাল থেকে এই সেবাখাতের এমন বিকাশ ঘটেছে যে,আমরা এজন্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা পেয়েছি ও পুরস্কৃত হয়েছি। বাংলাদেশের মতো একটি দেশের এ ধরনের অর্জন মাইলফলক হিসেবেই গণ্য হতে পারে।
২০০৯ সালের পর সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করাটা সেই সফলতারই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য,সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-অ্যাট আর্মস ও স্কোয়াড্রন লীডার (অব:) সাদরুল আহমেদ খান ডেইলি সিলেট নিউজ24'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান।
সিলেট নিউজ'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন,পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক দল আছে,কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো এতো ত্যাগ আর কারো সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ভাষা আন্দোলন থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মীরা যে পরিমাণ রক্ত দিয়েছেন,পৃথিবীর আর কোনো দল এমন রক্ত দেয়নি ও এতো ত্যাগ স্বীকার করেনি। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। দেশের প্রতিটি আন্দোলনে যেমন আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে,তেমনি টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার রেকর্ড কেবলমাত্র এই দলেরই। আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল।
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার দেশকে আধুনিক অবকাঠামো সমৃদ্ধ করে তুলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে ডিজিটাল যুগে, পারমাণবিক বিশ্বে ও স্থান করে নিয়েছে মহাকাশে।
আমি নিজে মনে করি,ডিজিটাল এ যুগে মাল্টিমিডিয়া বা পাঠ্য বিষয়,অডিও,স্থির ও চলমান চিত্র সহযোগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উন্নয়নের ধারা দেশের অল্প শিক্ষিত ও যুবসমাজের মধ্যে তুলে ধরলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতি দেশের জনগনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। তাই আমি সাদরুল আহমেদ খান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য,সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-অ্যাট আর্মস ও স্কোয়াড্রন লীডার (অব:) হিসেবে আওয়ামিলীগ সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়ন চিত্র ধারাবাহিকভাবে কুলাউড়া উপজেলার সকল হাটবাজারে শেখা হাসিনা রোডশোস, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী রোডশো,শেখ কামাল রোডশো এর ভিডিও খন্ড চত্র প্রদর্শন করিয়ে যাচ্ছি।
আজকাল গুজবের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।এসব থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে,যাতে ভুল বুঝে গুজব ভাইরাল না হয়। এসব গুজব সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলার ব্যাঘাত যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
তবে নিজে থেকেই আমরা সচেতন হতে পারি। একবার দেশের স্বার্থের কথা যদি আমরা চিন্তা করি তাহলেই সব সম্ভব। যখন আমরা প্রত্যেকেই সমস্যার মুখোমুখি রয়েছি,তখন গুজব ছড়িয়ে অন্যকে বিভ্রান্ত করার মতো খারাপ চিন্তা না করে একে অপরকে সাহায্য করার কথা ভাবি। সঠিক তথ্য দিই এবং নিজেও গ্রহণ করি। গুজবে কান না দিয়ে সামনের দিনগুলিতে নিজেদের সচেতন করি ও অন্যদের গুজব রটানো থেকে বিরত রাখি। পরিশেষে বলবো,'সত্য সমাগত হোক,গুজব পরাভূত হোক'।