বিশেষ প্রতিনিধি:
বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানিদের স্বৈরতান্ত্রিক বিমাতাসুলভ আচরণের প্রতিবাদ এবং বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য এক ঐতিহাসিক সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম “আওয়ামী লীগ” করা হয়।
জাতীয়তাবাদী চেতনার শেকড়ের ওপর প্রথিত হয়ে ধীরে ধীরে প্রতিটি বাঙালির মনে জায়গা করে নেয় আওয়ামী লীগ। গণমানুষের মনে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে এই দলটি। যে বোধের ওপর ভিত্তি করে ১৯৬৬ সালের ছয়দফাকে সমর্থন দেয় সর্বোস্তরের জনগণ। যার ফলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগণের একচেটিয়া ভোটে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ।
১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর,সারা দেশের গ্রামগঞ্জ ঘুরে ঘুরে মানুষের জীবনের যাতনা এবং চাহিদাগুলো উপলব্ধি করেছেন বঙ্গবন্ধু। পরবর্তীতে মানুষের সেসব আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করেছেন। তেমনি ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে এক দশক ধরে স্বাধীন বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে মানুষের দারিদ্রতার কারণ এবং মুক্তির উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করেন শেখ হাসিনা। ফলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশ থেকে মঙ্গা দূরীকরণ এবং মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য একাধিক উদ্যোগ নেন তিনি।
আবহমান বাংলার চিরায়ত শান্তি ও সৌহার্দ্রের সংস্কৃতি লালন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অনুপ্রেরণায় নতুন প্রজন্মকেও ডিজিটাল করে গড়ে তোলার ইশতেহার দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এজন্য সার্বজনীন সুশিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর সবসময় জোর দিয়ে আসছে দলটি। কারণ শিক্ষিত এবং স্বাবলম্বী মায়ের পক্ষেই সম্ভব একটি মানবিক ও স্মার্ট প্রজন্ম সৃষ্টি করা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
সিলেট নিউজ/রাজনীতি/বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ/এসডি.