মোঃ মাহাবুব আলম রিপোর্টার:
কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলা ৩নং মাধাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় পুলিশ দিয়ে হয়রানি, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে রবিবার (২৭ অক্টোবর ২০২৪ইং) সকাল ১১ ঘটিকার সময় দক্ষিণ কুটম্বপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে কুটুম্বপুর এলাকাবাসী। এতে ভুক্তভোগী সহ অত্র গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। মানববন্ধনের পর বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে কুটুম্বপুর বাস স্ট্যান্ডে যায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৭০) জানান, তার কাছ থেকে ছয় মাস পূর্বে ৪০,০০০ টাকা ধার নেয় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম। ধার নেওয়া টাকা জাহাঙ্গীরের নিকট ফেরত চাইলে তার ওপর হামলা করা হয় এবং তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। তিনি ভয়ে আতঙ্কে তার কাছে টাকা চাওয়া বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগী মোঃ রাসেল জানান, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কিছুদিন পূর্বেই তাকে মাদকের মিথ্যা মামলায় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে জেল হাজতে পাঠান। জেল হাজত থেকে জামিন করার নাম করে তার বউ, মা ও তার নিকট থেকে ১,৮০,০০০ টাকা নিয়েছে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম। জামিন না করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম। ঐ টাকা ফেরত চাইলে উল্টো আরো বিভিন্ন মামলা হামলার হুমকি-ধমকি দেয় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম।
ভুক্তভোগী এক মহিলা জানান, তার ছেলেদের পুলিশ এনে ঘরে গাঁজা আছে বলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অথচ অবৈধ কোন মাদকের সাথে সম্পৃক্ত নয় তারা। তাদেরকে পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচাতে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলমকে ৫০,০০০ টাকা দিতে হয়। সেই টাকা ফেরত চাইলে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলা ও হয়রানির হুমকি।
চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকার বহু মানুষ জাহাঙ্গীরের নিকট বিভিন্ন মাধ্যমে লক্ষ-লক্ষ টাকা পাওনা। এই পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেওয়া হয় নানা ধরনের হুমকি-ধমকি। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকা অবস্থায় তার বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার, চাঁদাবাজি, হামলা-মামলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীদের দাবী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলমকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
অভিযুক্ত চান্দিনা উপজেলার ৩নং মাধাইয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি কুটুম্বপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলমের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।