বিশেষ প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সাগরতলের মাটির সঙ্গে আটকে থাকার পর পৃথিবীর বৃহত্তম হিমশৈল বা ‘এ২৩এ‘ নামে বরফখণ্ডটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এই বরফখণ্ডটি ৩ হাজার ৮০০ স্কয়ার কিলোমিটার (১৫০০ স্কয়ার মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত। যা গ্রেটার লন্ডনের আয়তনের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এবং এর পুরুত্ব ৪৯৯ মিটার বা ১৩১২ ফুট।
এটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে দ্রুতই সমুদ্র উপকূলে এসে মিশে যায়। খবর বিবিসি বরফ খণ্ডটির গভীরতা ওয়েডেল সাগরের তলদেশের সমান।
যেটি দক্ষিণ মহাসাগরের অংশ। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বরফ খণ্ডটি সেখানে আটকে ছিল। এটি ২০২০ সালে উত্তর দিকে সরে যেতে শুরু করে। কিন্তু বসন্তের শুরু থেকে দক্ষিণ অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের কাছে এসে ঘুরছে।
গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস) জানিয়েছে, বরফখণ্ডটি এখন উত্তর দিকে সরে যেতে পারে। বিএসএস’র সমুদ্রগ্রাফার ড. আন্দ্রে মেইজার বলেছেন, এটা খুবই আনন্দদায়ক যে এ২৩এ বরফখণ্ডটি আবার তার স্থান থেকে সরে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা দেখার জন্য অপেক্ষায় আছি যে আগের বৃহৎ বরফ খণ্ড সরে যেতে যে পথ ব্যবহার করেছিল এবারও এই বরফ খণ্ডটি একই পথ ব্যবহার করবে কিনা।’ ধারণা করা হচ্ছে, এ২৩এ বরফ খণ্ডটি দক্ষিণ মহাসাগর এলাকা থেকে সরে অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরে প্রবেশ করবে। যেখান উষ্ণ পানি রয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো বরফ খণ্ডটি গলে ছোট হয়ে যাবে এবং আরো পরে এটি পানিতে মিলিয়ে যাবে।
সিলেট নিউজ/এসডি.