Categories
রিপোর্টার তথ্য

৩ হাজার টাকার চামড়া ২০০ টাকায় বিক্রি

 

তায়েফ আহমেদ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কোরবানির ঈদে সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে ৩ হাজার টাকা মূল্যের পশুর চামড়া মাত্র ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পানির দরে পশুর চামড়া বিক্রি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ।

গতকাল শনিবার (১ আগস্ট) ছিল মুসলিম উম্মার পবিত্র কোরবানির ঈদ। এই ঈদের মুল আকর্ষণ পশু কোরবানি। মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে কমপক্ষে ১৩ হাজার ২০০ গরু ও খাসি কোরবানি করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই পশু কোরবানির চামড়া বিক্রি নিয়ে হয়েছে পুকুর চুরির মত ঘটনা। বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি চামড়ার বেপারিরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সরকারের দেওয়া রেটে চামড়া কিনে মির্জাপুর উপজেলা সদর, পাকুল্যা, জামুর্কি, কুরনী, দেওহাটা, গোড়াই, হাটুভাঙ্গা, বাঁশতৈল, তক্তারচালা এবং আজগানা এলাকায় এনে মহাজন এবং ট্যানারি মালিকদের নিকট বিক্রি করে থাকেন।

মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী ফতেপুর গ্রামের গবিন্দ সরকার (৪৫), মামুদপুর গ্রামের ঝড়ুচন্দ্র দাস (৪০) এবং সখীপুরের হাবিবুর রহমান (৩৫) বলেন, ‘কিছুদিন পূর্বেও একটি গরুর চামড়া ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হত। সরকারের অব্যবস্থাপনা, একটি সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজি এবং ট্যানারি মালিকদের কারণে হঠাৎ করে চামড়ার বাজারে ধস নামে। এ বছর বড় সাইজের একটি গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মাজারি ও ছোট সাইজের একটি গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা এবং খাসির চামড়া ২০-৩০ টাকায় কিনেছেন। গ্রাম থেকে চামড়া কিনে শহরে নিয়ে আসতে চামড়া প্রতি যাতায়াত খরচ আরও ৬০-৭০ টাকা বেশি পড়েছে। একটি সিন্ডিকেট চক্রের কারণে তারা কেনা দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। যে চামড়ার খরচ পড়েছে ৪৭০ টাকা, মহাজন ও ট্যানারি মালিকরা এসে সেই চামড়ার দাম করছেন ১৫০ থেকে২০০ টাকা।’

তারা বলেন, ‘লাভের আশায় বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ধার দেনা এবং চড়া সুদে টাকা এনে চামড়া কিনেছিলেন। কিন্তু লাভ তো দুরের কথা তাদের চালান দামও বলছেন না সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা। ফলে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। বিষয়টির দিকে সু নজর দেওয়ার জন্য অসহায় চামড়া ব্যবসায়ীরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *