রিতেষ কুমার বৈষ্ণ,, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তার পাশে জাল ফেলানোকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ০৮/০৮/ ২০২০ আনুমানিক বেলা ১টা ৩০ মিনিটের সময় শেখের মহল্লা ও শরীফখানী মহল্লার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শেখের মহল্লার উস্তার উল্লার পুত্র আল আমিন (৩০) শরীফখানী এলাকার ভিতরে এসে সুনারু খালের সড়ক সংলগ্ন স্থানে জাল ফেলে মাছ ধরতে যায়। এ সময় শরীফখানী মহল্লার মনু উল্লাহর পুত্র মুতি মিয়া (৫০) সড়কের পাশে জাল ফেলতে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় আল আমিন তার সাথে কুতর্কে জরিয়ে পরলে মুতি মিয়া তার জাল আটক করেন।
এ খবর পেয়ে আল আমিনের আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে এসে মুতি মিয়াকে মারধোর করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ২ মহল্লাবাসীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
উভয় মহল্লার লোকজন খালের ২ পাড় থেকে পাল্টা পাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
এতে দুই পক্ষের লোক জন জখম হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে পঞ্চায়েত ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন খান, ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস, সেকেন্ড অফিসার আঃরহমান, এস. আই শিমূল রায় ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়া, শেখের মহল্লার সর্দার মুত্তাকিন বিশ্বাস, ইউপি সদস্য ইশতিয়াক হোসেন লেমনসহ একদল পুলিশ।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের অন্তত বেশ কয়েকটি ঘর ভাংচুর হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম (৫৫), ছমেদ মিয়া (৪২), সিজিল মিয়া, নিশাত সর্দার, খেলু মিয়া, কেনু মিয়া (৫০) ও রইছ উল্লাহ (৪৫)সহ অন্যান্য আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎিসা নিয়েছেন।
এই বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন এই প্রতিনিধি কে জানান খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ১০ জন পুলিশ সংগ্রহ করে আনতে হয়েছে।
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের নিয়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষের লোক জন সংঘর্ষে লিপ্ত না হওয়ার অঙ্গিকার করেছে, তার পরেও পুলিশ টহলে রয়েছে। যেকোনো পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।