Categories
অপরাধ

মাধবপুরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে হামলা মা মেয়ে সহ আহত ৩ স্বণালংকার ও টাকা লুট

 

আনিসুর রহমান, মাধবপুর প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মা, মেয়ে সহ ৩ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় মেয়ের বিয়ের জন্য ঘরে রাখা নগদ টাকা ও স্বণাংকার লুট করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

ছাতিয়াইন গ্রামের সমসু মিয়ার স্ত্রী আহত সাবেনা আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) ফকির চাঁন মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়া ও তার ভাতিজা ইসমাইল মিয়ার লোকজন মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব শক্রতার জের ধরে তাদের বাড়িতে হামলা করে তাকে সহ তার দুই মেয়ে সুমা আক্তার (১৯) ও রুমা আক্তার (২০) কে পিটিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা সুমা বিয়ের জন্য ঘরে রাখা ১ লাখ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে।

সাবেনা আক্তারের ভাই ফেরু মিয়া জানান, আগামী শুক্রবার আমার ভাগনি সুমার বিয়ের তারিখ । সে জন্য ব্র্যাক ব্যাংক রতনপুর শাখা থেকে নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে ঘরে রাখা হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন মঙ্গলবার বিকেলে তার বোন সাবেনা আক্তারের বাড়িতে হামলা করে বিয়ের জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা এক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।

বিষয়টি ছাতিয়াইন পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়েছে।
ছাতিয়াইন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) কামরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রত পুলিশ পাঠনো হয়েছে। যারা আহত হয়েছে তাদের কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করেছে কিনা বিষয়টি তদন্ত করে বলতে হবে।

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Categories
রিপোর্টার তথ্য

জকিগঞ্জে প্রথম নারী ইউএনও হিসেবে যোগ দিচ্ছেন সুমী আক্তার

 

এটিএম নাসির :

সুমী আক্তার হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের ইউএনও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৩১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারভুক্ত হয়ে তিনি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছিলেন।

তার গ্রামের বাড়ি গাজিপুরের কাপাসিয়ায়। আগামী বুধবার তিনি সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং আগামী রোববার জকিগঞ্জে তিনি যোগদান করতে পারেন বলে জানা গেছে।

Categories
রিপোর্টার তথ্য

কেশবপুরে অবহেলায় পড়ে আছে ৩’শ বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নবাব বাড়ির হাম্মামখানা

 

যশোর জেলা প্রতিনিধি:

যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কপোতাক্ষ নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত সাড়ে ৩শ বছরের পুরানো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মির্জানগর নবাব বাড়ির হাম্মামখানা। তবে স্থানীয় লোকজন হাম্মামখানা বললে অনেকই চেনেন না। নবাব বাড়ি বললে চিনতে পারেন। জেমস রেনেলের মানচিত্রে (১৭৮১ খ্রীস্টাব্দ) যশোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে মির্জানগরকে দেখানো হয়েছে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী দুইজন মোগল ফৌজদার মির্জা সাফসি খান এবং নুরুল্লাহ খান এখানে তাঁদের প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁরাই মির্জানগরের নওয়াববাড়ি ও কিল্লা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জে. ওয়েস্টল্যান্ড সর্বপ্রথম মির্জানগরের ধ্বংসাবশেষকে ফৌজদার ও নওয়াবদের বাসভবন হিসিবে চিহ্নিত করেন। প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থপতিদের মতে, নবাববাড়ি বা হাবসিখানা নামে পরিচিত স্থাপত্য কাঠামোটি প্রকৃতপক্ষে একটি হাম্মামখানা। হাম্মাম ফার্সি শব্দ যার অর্থ গোসল করার স্থান। মধ্য এশিয়ায় হাম্মামখানা শব্দটি ব্যাপকভাবে ‘গোসলখানা’ অর্থেই ব্যবহৃত হতো।

মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খাঁন ১৬৪৯ খ্রিস্টাব্দে যশোরের ফৌজদার নিযুক্ত হন। তিনি কেশবপুর হতে ১০ কি.মি. পশ্চিমে কপোতাক্ষ নদের তীরে ও ত্রিমোহিনীর মীর্জানগর নামক স্থানে বসবাস করতেন। তাঁর নাম অনুসারে এলাকাটির নাম হয় মীর্জানগর। পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কেশবপুর থেকে সাতবাড়িয়া বাজার থেকে দক্ষিণে এক কিলোমিটার গেলে নবাববাড়ি মোড় (নতুন হয়েছে)। এই নবাববাড়ি মোড় থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে গেলেই মির্জানগর হাম্মামখানা। ত্রিমোহিনী বাজার থেকে ত্রিমোহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়েও যাওয়া যায় কিন্তু রাস্তা ভালো না; বৃষ্টির দিনে মাটির রাস্তায় যেতে একটু অসুবিধা হয়।
সম্রাট আকবরের আমলে সাফসি খান ফৌজদার নিযুক্ত হন। তিনি বুড়িভদ্রা নদীর দক্ষিণ পাড়ে কিল্লাবাড়ি স্থাপন করে সেখানে বসবাস করতেন। এটা পূর্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ। সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে, আট-দশ ফুট উঁচু প্রাচীর বেষ্টিত করে এটাকে মতিঝিল নামকরণ করেন, এর একাংশে বতকখানা, জোনানাসহ হাম্মামখানা (গোসলখানা) ও দুর্গের পূর্বদিকে সদর তোরণ নির্মাণ করেছিলেন। কামান দ্বারা দুর্গটি সুরক্ষিত ছিল। মীর্জানগরের কামানের একটি যশোরের মণিহার মোড়ে রক্ষিত আছে।
হাম্মামখানা বাদে আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

পূর্ব-পশ্চিম লম্বা চার কক্ষ বিশিষ্ট এবং একটি কূপ সমেত হাম্মামখানাটি মোগল স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে নির্মিত হয়। স্থাপনাটি চার গম্বুজ বিশিষ্ট। দুইটি গম্বুজ বড় এবং দুইটি ছোট। এর পশ্চিম দিকে পরপর দুটি কক্ষ ১৮ ফুট ৮ ইঞ্চি বাই ১৮ ফুট ও ১৮ ফুট ৮ ইঞ্চি বাই ১৭ ফুট। পূর্বদিকের কক্ষ দুটি দুইভাগে বিভক্ত। উত্তরের কক্ষ ১২ ফুট ২ ইঞ্চি বাই ১০ ফুট এবং দক্ষিণেরটি ১০ ফুট বাই সাড়ে ৬ ফুট। এই কক্ষ দুটি উঁচু চৌবাচ্চা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এর জানালাগুলো এমন উঁচু করে তৈরি যাতে এর ভিতরে অবস্থানকালে বাইরে থেকে শরীরের অংশ দেখা না যায়। পূর্বপার্শ্বে দেয়াল বেষ্টনীর ভেতর রয়েছে ৯ ফুট ব্যাসের ইটের নির্মিত সুগভীর কূপ। সে কূপ হতে পানি টেনে তুলে এর ছাদের দু’টি চৌবাচ্চায় জমা করে রৌদ্রে গরম করে দেয়াল অভ্যন্তরে গ্রথিত পোড়ামাটির নলের মাধ্যমে স্নান কক্ষে পানি সরবরাহ করা হতো। স্থাপনাটির দক্ষিণ পার্শ্বে একটি চৌবাচ্চা এবং একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যা তোষাখানা ছিল বলে অনুমিত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে এবং সংস্কার করে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সাড়ে ৩শ বছরের পুরানো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হাম্মামখানি অরক্ষিত পড়ে আছে। নেই কোন প্রহরী বা সাইট অ্যাটেনডেন্ট।একদল উশৃংখল যুবক হাম্মাম খানার পশ্চিম দিকের গেটের দুইটি ক্লাম ভেঙ্গে ফেলেছে।

এই হাম্মামখানার সাবেক সাইট অ্যাটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এটা দেখে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাড়ি সাগরদাঁড়ি কাস্টোডিয়ানের সাথে যোগাযোগ করলে সেখানে থেকে আমাকে ক্লাম লাগাতে বললে আমি ২১০ টাকা খরচ করে ক্লাম লাগিয়ে সেখানে কাটা দিয়ে রেখেছি।’ ২ বছর হলো শহিদুল ইসলাম বদলী হয়ে কুমিল্লায় চলে যাওয়ায় বর্তমানে হাম্মামখানাটি দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণ জন্য কেউ নেই। এই হাম্মামখানা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসেন। পর্যটকদের সুবিধার জন্য রাস্তার পাশে একটি নামফলক থাকলেও তা গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে। পর্যটকদের স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে হাম্মামখানায় পৌঁছাতে হয়।

এলাকাবাসীর দাবি যথাযত সংস্কার করে ঐতিহ্যবাহী এই হাম্মামখানাকে সংরক্ষণ করা।যাতে করে আগামী প্রজন্ম এ সম্পর্কে জানতে পারে।

Categories
জাতীয়

শেরপুর আবাসিক এলাকা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

বিশেষ প্রতিনিধি মৌলভীবাজারঃ

সংস্কারের অভাবে ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুর বাজার আবাসিক এলাকার সড়কের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। সড়কের দুই পাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি বের হতে পারছেনা। এমনকি ইট সলিং ভেঙে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সর্বসাধারণের কাছে সড়ক যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, ঐ এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম আবাসিক এলাকা ইট সলিং সড়ক। অল্প বৃষ্টিতে পানি লেগে থাকা ও সংস্কার কাজ না হওয়াতে সর্বসাধারণের চলাচলে কষ্টকর হয়ে উঠেছে সড়কটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিবছর স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য সরকারী বেসরকারী খাতে কাজ হলেও আবাসিক এলাকা সড়কটি গত সংসদ নির্বাচনের পরে আর কোনো কাজ হয়নি। সড়কের বেহাল দশার ফলে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

সড়ক দিয়ে বর্তমানে যানবাহন চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শেরপুর মহাসড়কের সীমানা এলাকা থেকে ঐ সড়কটির প্রায় ১ কি.মি পার্শ্ববর্তী উপজেলার সীমানা পর্যন্ত ইট সলিং ভেঙ্গে বড় আকারে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার ইট সলিং নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকার বেশির ভাগ ছাত্র/ছাত্রী স্কুল, কলেজে যাওয়ার জন্য এই সড়ক ব্যবহার করেন। তাদের যাতায়াতেও অনেক কষ্ট হয় বলে জানা গিয়েছে।

বয়স্ক এবং রোগীদের আনা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যেহেতু অত্র এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের উপর ভর্তি নির্ভর করতে হয়। সেহেতু এই সড়কটি এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ও প্রতিবন্ধকতা হিসাবে কাজ করছে। প্রসূতিদের জন্য এটি হচ্ছে মরণ ফাঁদ। সড়কে কোনো অটোরিক্সা চালক রিক্সা চালাতে আসেন না রাস্তার বেহাল দশার জন্য। এই সড়কের একাধিক অটোরিক্সা চালক জানান আমাদের এই সড়কে গাড়ী চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ভাঙ্গায় পড়ে গাড়ীর ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর ধরে সড়কটির এই অংশে সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে। ভারী বৃষ্টি হলে সড়কটি হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। অল্প বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ বাড়ে। সড়কটি পাকা করণ পরের কথা সংস্কার না হওয়াতে আমাদের চলাচলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনকি বেশ কিছু স্কুলগামী ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবী জানান।

অবাসিক এলাকা সড়কের পাশে অবস্থিত অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, মহাসড়ক দিয়ে প্রবাহিত বৃষ্টির পানি আবাসিক এলাকা সড়ক দিয়ে প্রবেশ করায় ব্যবসা করা যাচ্ছেনা। নোংরা পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয়েছে সড়কটি। অনেক সময় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঐ পানিও প্রবেশ করে। যার কারণে অনেকের ব্যবসায় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। আমরা এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ কামনা করছি।

অন্যদিকে পোস্ট অফিস সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলায় ছড়াচ্ছে অসহনীয় দুর্গন্ধ। অথচ সড়কটি দিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে রয়েছে আফরোজগঞ্জ বাজার পোস্ট অফিস ও ইকরা কেজি এন্ড জুনিয়র হাইস্কুলসহ একাধিক সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে বৃষ্টির দিন, এমনকি সাধারণ দিনগুলোতেও দুর্ভোগে পড়েন এই সড়ক ব্যবহারকারী মানুষ।

স্থানীয়রা দাবী জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ দ্রæত সংস্কার করে এলাকাবাসীর দূর্দশা লাঘব করবে এটাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহŸান।

ইউপি সদস্য নজমুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের। তবে এলাকার মানুষের ভোগান্তির প্রথম কারণ হচ্ছে শ্রীহট্ট ইকোনিক জোন প্রকল্পের বালু ভরাট। যার কারণে লোকাল জলাশয়ের পানি কিছুতে বাহিরে গড়াতে পারছেনা। এনিয়ে অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। তবে আবাসিক এলাকার রাস্তার বর্তমানে সংস্কারের কোন তথ্য আমার কাছে জানা নেই।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের অরবিন্দু পোদ্দার বাচ্চু বলেন, রাস্তাটির পাশের ড্রেনের সীমানা পুরো দখল করে অনেকেই স্থাপনা তৈরি করে রেখেছেন। যার ফলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো কাজ করা যাচ্ছেনা। যারা ড্রেনের সীমানা জুড়ে স্থাপনা তৈরি করেছেন তারা যদি ড্রেনেজ সীমানা ছেড়েদেন তাহলে সরকারীভাবে কাজ করানো সম্ভব।

Categories
সারা বাংলাদেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

 

 

মৌলভীবাজার বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৮ আগস্টবিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার পৌর ঈদগাহ ময়দানে আজিজুর রহমানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামে তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আজিজুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ছিলেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। রাজনীতির মাধ্যমে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করা এই মুক্তিযোদ্ধা চিরকুমার ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকার জন্য চলতি বছর সরকার তাকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি মৌলভীবাজার ইউনিটের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন।

আজিজুর রহমান ১৯৪২সালে সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুস সাত্তার। ৯ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। মৃত্যুর খবরে মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। অনেকেই সকালে বাড়িতে ভিড় করেন। ১৮ আগস্ট মঙ্গলবার মধ্যরাতে মৃত্যুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুর রহমানের মরদেহ মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট গুজারাই এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হলে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

পরে বেলা তিনটায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রয়াত চেয়ারম্যানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বিকেলে ৩টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় মৌলভীবাজার পৌর টাউন ঈদগাহ মাঠে। সেখানে এই মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। পরে চাঁদনীঘাট গুজারাই এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আজিজুর রহমান।

এর আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হলে গত ৫ আগস্ট বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় আনা হয়। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

(রিপন মিয়া,বার্তা প্রেরক)

Categories
সারা বাংলাদেশ

হবিগঞ্জে লাখাইয়ের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল

 

রুবেল,বিশেষ প্রতিনিধি হবিগঞ্জ ঃ

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে লাখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ১নং লাখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুল আলম তালুকদার।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লাখাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মুুশফিউল আলম আজাদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি শরিফ উদ্দিন তালুকদার ও লাখাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ মতিন মাস্টার, শাহ রেজাউদ্দিন আহমেদ দুলদুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ মহিবুর রহমান সাবেক মেম্বার শওকত আকবর বর্তমান মেম্বার প্রমুখ।

Categories
ইসলামীক

কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি!

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী

কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি সেই সম্পর্কে আমরা সবাই জেনে নেই।

হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে সালামের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদীনায় আগমনের খবর পৌঁছল, তখন তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র খেদমতে আসলেন, অতপর তিনি বললেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই যার উত্তর নবী ছাড়া আর কেউ অবগত নয়।

তিনি জিজ্ঞাসা করলেন।

১: কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কি ?

২: সর্বপ্রথম খাবার কি, যা জান্নাতবাসী খাবে ?

৩: আর কি কারণে সন্তান তার পিতার সাদৃশ্য লাভ করে? আর কিসের কারণে (কোন কোন সময়) তার মা দের সাদৃশ্য হয় ?

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এইমাত্র জিবারাঈল আ. আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।

বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবদুল্লাহ রা. বললেন, সে তো ফেরেশতাগণের মধ্যে ইয়াহুদীদের শত্রু ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

১: কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন হল আগুন যা মানুষকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে তাড়িয়ে নিয়ে একত্রিত করবে।

২: আর প্রথম খাবার যা জান্নাতবাসীরা খাবেন তা হল মাছের কলিজার অতিরিক্ত অংশ।

৩: আর সন্তান সদৃশ হওয়ার রহস্য এই যে পুরুষ যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন যদি পুরুষের বীর্য প্রথমে স্খলিত হয় তবে সন্তান তার সদৃশ হবে আর যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের পূর্বে স্খলিত হয় তখন সন্তান তার সাদৃশ্যতা লাভ করে।

তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল।

এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! ইয়াহুদীরা অপবাদ ও কুৎসা রটনাকারী সম্প্রদায় আপনি তাদেরকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার পূর্বে তারা যদি আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয় জেনে ফেলে, তাহলে তারা আপনার কাছে আমার কুৎসা রটনা করবে।

তারপর ইয়াহুদীরা এল এবং আবদুল্লাহ রা. ঘরে প্রবেশ করলেন।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনে সালাম কেমন লোক ?

তারা বলল, তিনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি এবং সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তির পুত্র তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং সর্বোত্তম ব্যক্তির পুত্র।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি আবদুল্লাহ ইসলাম গ্রহণ করে, এতে তোমাদের অভিমত কি হবে ?

তারা বলল, এর থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করুক।
এমন সময় আবদুল্লাহ রা. তাদের সামনে বের হয়ে আসলেন এবং তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল ।

তখন তারা বলতে লাগল, সে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তির সন্তান এবং তারা তাঁর গীবত ও কুৎসা রটনায় লিপ্ত হয়ে গেল।
(বোখারী শরীফ)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে উপরোক্ত কথা গুলো বুঝার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখকঃ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও গবেষক হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।

Categories
রাজনীতি

জাকি’কে আহবায়ক করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম৭১ কমিটি অনুমোদন

রকিব, সিলেট বিশেষ প্রতিনিধি ঃ

অবশেষ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ‘র অঙ সংগঠন ” জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম৭১ ” এর সিলেট মহানগর আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।বিশেষবিশেষ

গতকাল সোমবার বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়াউল হক জিয়ার স্বাক্ষরিত দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি আহবায়ক , সেলিম আহমদ সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক, মোসাহিদ সামীর যুগ্ন আহবায়ক ও কামরুল হাসান চৌধুরী তুহিন সদস্য সচিব করে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট সিলেট মহানগর প্রজন্ম৭১ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বিশেষ

Categories
সারা বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্র লীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

 

রাজা মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলহাজ্ব জমির আহমদ বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্র লীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

এ-উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে ৫ টায় বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমির আহমেদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজির হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওসমানী নগর উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক জেলা যুবলীগ নেতা সালেহ আহমদ চৌধুরী,জমির আহমদ বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক
অজিত দেব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা,সুয়াদ তারেক চৌধুরী,কায়েছ আহমদ,জাহেদ আহমদ,তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

Categories
সারা বাংলাদেশ

জাতীয় শোক দিবসে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিঃ কর্মচারী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিল

সিলেটঃ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিঃ কর্মচারী লীগের নেতৃবৃন্দ ।

১৫ আগস্ট শনিবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কর্মচারী লীগের  নেতৃবৃন্দ। এবং বাদ জোহর বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরনারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন

এসময় উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক  লিয়াকত আলী,উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী,  সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্মচারি লীগের সভাপতি মোঃ হারুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুতালেব, অর্থ সম্পাদক ফজলুল করিম,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, কল্যান বিষয়ক সম্পাদক বশির আহমদ প্রমূখ।