মৌলভীবাজার বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৮ আগস্টবিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার পৌর ঈদগাহ ময়দানে আজিজুর রহমানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামে তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আজিজুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। রাজনীতির মাধ্যমে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করা এই মুক্তিযোদ্ধা চিরকুমার ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকার জন্য চলতি বছর সরকার তাকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি মৌলভীবাজার ইউনিটের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন।
আজিজুর রহমান ১৯৪২সালে সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুস সাত্তার। ৯ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। মৃত্যুর খবরে মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। অনেকেই সকালে বাড়িতে ভিড় করেন। ১৮ আগস্ট মঙ্গলবার মধ্যরাতে মৃত্যুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুর রহমানের মরদেহ মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট গুজারাই এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হলে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে বেলা তিনটায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রয়াত চেয়ারম্যানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বিকেলে ৩টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় মৌলভীবাজার পৌর টাউন ঈদগাহ মাঠে। সেখানে এই মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। পরে চাঁদনীঘাট গুজারাই এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আজিজুর রহমান।
এর আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হলে গত ৫ আগস্ট বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় আনা হয়। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
(রিপন মিয়া,বার্তা প্রেরক)