মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসাইন বানিয়াচং(হবিগঞ্জ) : করোনা ভাইরাস কোভিট-১৯ এ সারা পৃথিবী লন্ড ভন্ড। চারদিকে এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। মৃতের সংখ্যা ৪ লাখের উপরে। জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর বাইরে নয় বাংলাদেশও। এমনি সময় হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনজনপদ বানিয়াচং উপজেলাকে গ্রীণ জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। এ খবরে এ জনপদের নারী-পুরুষ সবাই বেজায় খুশি। মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপনের স্বার্থে শুক্রবার (১৯ জুন) উপজেলার সকল জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের নির্দেশনা দিয়েছেন বানিয়াচংয়ের সম্মিলিত ওলামা সমাজ। পবিত্র জুমআর নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপনের পাশাপাশি তওবা-ইস্তেগফার করার আহবান জানিয়েছেন আলেম নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে বানিয়াচংয়ের শীর্ষ স্থানীয় আলেম ও বিশিষ্ট লেখক এবং গবেষক মুফতি কাজী আতাউর রহমান তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বানিয়াচংয়ে প্রশাসন কতৃক গ্রীণজোন ঘোষণা করায় শুক্রবার প্রত্যেক জামে মসজিদে খতিব সাহেবদের আহবান করা হয়েছে দোয়া মাহফিল করার জন্য। পাশাপাশি জুমআর খুৎবায় করোনা ভাইরাস যতদিন আছে ততদিন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের উচিৎ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
উল্লেখ্য, বানিয়াচং উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম চৌধুরী, ইউ এনও মো. এামুন খন্দকার, ইউ এইচও ডা. আবুল হাদী মোহাম্মদ শাহপরান ও এসিল্যান্ড মো. মতিউর রহমান খানসহ থানার একদল পুলিশ। তাঁরা করোনার ভয়কে জয় করে অবিরাম ছুটে চলেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। উদ্দেশ্য একটাই, যে করেই হউক প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে এ উপজেলার মানুষকে সচেতন করা এবং ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম থাকা। এ কঠোর পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে আজ বানিয়াচংকে গ্রীণ জোন।