Categories
আলোচিত সংবাদ ইসলামীক সাক্ষাৎকার

পবিত্র শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত

সিলেট নিউজ ডেস্ক :

এ রাত মহা মহিমান্বিত, অভাবনীয়। নিশ্চিত পুণ্যের অভাবনীয় খাজাঞ্চি সাজানো রজনী-পবিত্র লাইলাতুল কদর। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, হাজার মাসের অপেক্ষা এই রাত সর্বশ্রেষ্ঠ। মহিমান্বিত সে রাতটি আরো একদিন দিন শেষে আসার সম্ভাবনা বেশি।

আসন্ন রাতটি ২৭ রমজানের রাত হিসেবে চিহ্নিত। হাদিস শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী এ রাতটি পবিত্র লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে অধিক সম্ভাবনার ভিত্তিতে এ রাতে সারা দুনিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করে থাকেন। মাহে রমজানের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব অনেকাংশে মহিমান্বিত এ রাতের কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে। লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব আল্লাহ তা’আলা এ রাতকে সকল রাত্রের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি তার কালামে এ রাতকে প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর কালাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন : ‘নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, [সূরা আদ-দুখান : ২-৩]

বরকতময় রজনী হল, ‘লাইলাতুল কদর’ আল্লাহ তা’আলা একে বরকতময় বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এ রাতে রয়েছে যেমন বরকত তেমনি কল্যাণ ও তাৎপর্য। বরকতের প্রধান কারণ হল : (ক) এ রাতে আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। (খ) এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত লওহে মাহফুজ থেকে ফেরেশতাদের হাতে অর্পণ করা হয় বাস্তবায়নের জন্য। (গ) এ রাতের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল আল্লাহ তা’আলা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা (সূরা কদর) অবতীর্ণ করেছেন। যা কিয়ামত পর্যন্ত পঠিত হতে থাকবে। (ঘ) এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ তিরাশি (৮৩) বছরের চেয়েও এর মূল্য বেশি। (ঙ) এ রজনীতে ফেরেশতাগণ রহমত, বরকত ও কল্যাণ নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে থাকে। (চ) গুনাহ ও পাপ থেকে ক্ষমা লাভ। এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: নবী করীম সা. বলেছেন, যে লাইলাতুল কদরে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে সালাত আদায় ও ইবাদত-বন্দেগি করবে তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [বুখারী ও মুসলিম]

লাইলাতুল কদরে করণীয় লাইলাতুল কদরে আমাদের করণীয় হল বেশি করে দোয়া করা, জিকির আযকার করা, নামাজ পড়া, ইবাদত-বন্দেগী করা, দুরুদ শরিফ পড়া, মিলাদ শরিফ পড়া, তাওবা করা। হযরত আয়েশা রা. নবী করীম সা. কে জিজ্ঞেস করলেন, লাইলাতুল কদরে আমি কি দোয়া করতে পারি? তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, তুমি বলবে : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। [তিরমিযী]

পবিত্র রমজানের এ রাতে লওহে মাহফুজ থেকে নিম্ন আকাশে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’য়ালা সুরা ক্বদরে বলেন, ‘নিশ্চয় এ কোরআন আমি লাইলাতুল কদরে নাজিল করেছি।’ অন্য আয়াতে বলেন, ‘রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন অবতীর্ণ হয়।’ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলে অভিহিত করেছেন। এর অর্থ হলো, সাধারণ এক হাজার মাস তথা তিরাশি বছর চার মাস প্রতিরাত জাগ্রত থেকে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি নফল ইবাদত করলে যে সওয়াব হবে, এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়েও অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। শবে কদরকে আরবিতে লাইলাতুল কদর বলা হয়। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হলো ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ‘আলফ’ তথা ‘হাজার’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। আলফ আরবি গণনার সর্বোচ্চ সংখ্যা।

মুফাসসিররা বলেন, যদি এর চেয়ে বড় আরো কোনো সংখ্যা প্রচলিত থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা হয়তো তা-ই ব্যবহার করতেন। এ ছাড়া, শবে কদরের ফজিলত তো আর হাজার মাসের মধ্যে সীমিত করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। তার সঠিক পরিমাণ কত, তা আল্লাহই ভালো জানেন। এখানে সংখ্যার হিসাব মুখ্য নয়, আল্লাহর অশেষ দানটিই প্রধান হিসেবে প্রতিভাত হবে। লাইলাতুল কদর উম্মতে মোহাম্মদীর একক সৌভাগ্য। আর কোনো নবীর উম্মতকে এ ধরনের ফজিলতপূর্ণ কোনো রাত বা দিন দান করা হয়নি। আগেকার নবীদের উম্মতরা অনেক আয়ু পেতেন। এজন্য তারা অনেকদিন ইবাদত করারও সুযোগ পেতেন। সে তুলনায় উম্মতে মোহাম্মদীর আয়ু নিতান্তই কম। এজন্য আল্লাহ তায়ালা তার বিশেষ দয়ায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের উম্মতকে মহিমান্বিত এ রাত দান করেছেন।

যারা এ রাত ইবাদত করে কাটাবেন, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কারের ঘোষণা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের সকল মুসলমানকে শবে কদরের রাত্রির উছিলায় আমাদেরকে মাফ করে দেন, আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখকঃ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

Categories
আলোচিত সংবাদ ইসলামীক সাক্ষাৎকার

রমজানের শেষ দশ দিনের আমল, তাৎপর্য ও বিধান

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী:

হযরত মোহাম্মদ (সঃ) রমজান মাসের শেষ দশ দিন যে ভাবে কাঠাতেন। পবিত্র মাহে রমজান। এ মাস হলো মুসলিমদের সৌভাগ্যের মাস। এতে রয়েছে তাদের মুক্তি, রয়েছে রহমত প্রাপ্তি, সর্বোপরি জাহান্নাম থেকে বাচার গ্যারান্টি। রমজান মাস পুরোটাই ফজিলতে ভরপুর, তবে ইহার শেষ দশকের ফজিলতটা অনেক বেশি। কারণ তাতে রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম ফজিলতপূর্ণ একটি রজনী এবং আছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ও বিশেষ আমল।

নিম্নে এ বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা হলো:

১. রমজানের শেষ দশকে রয়েছে লাইলাতুল কদর নামের একটি রাত যা হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ। যে এ রাতে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে ইবাদত-বন্দেগী করবে তার অতীতের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে।

আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘নিশ্চয় আমি এটি (কুরআন) নাযিল করেছি ‘লাইলাতুল কদরে।’ তোমাকে কিসে জানাবে ‘লাইলাতুল কদর’ কী? ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। [সূরা কদর : ১-৩]

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব: আল্লাহ তা’আলা এ রাতকে সকল রাত্রের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি তার কালামে এ রাতকে প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর কালাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন : ‘নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, [সূরা আদ-দুখান : ২-৩]

বরকতময় রজনী হল, ‘লাইলাতুল কদর’ আল্লাহ তা’আলা একে বরকতময় বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এ রাতে রয়েছে যেমন বরকত তেমনি কল্যাণ ও তাৎপর্য।

বরকতের প্রধান কারণ হল :

(ক) এ রাতে আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
(খ) এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত লওহে মাহফুজ থেকে ফেরেশতাদের হাতে অর্পণ করা হয় বাস্তবায়নের জন্য।
(গ) এ রাতের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল আল্লাহ তা’আলা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা (সূরা কদর) অবতীর্ণ করেছেন। যা কিয়ামত পর্যন্ত পঠিত হতে থাকবে।
(ঘ) এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ তিরাশি (৮৩) বছরের চেয়েও এর মূল্য বেশি।
(ঙ) এ রজনীতে ফেরেশতাগণ রহমত, বরকত ও কল্যাণ নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে থাকে।
(চ) গুনাহ ও পাপ থেকে ক্ষমা লাভ।
এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: নবী করীম সা. বলেছেন, যে লাইলাতুল কদরে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে সালাত আদায় ও ইবাদত-বন্দেগি করবে তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [বুখারী ও মুসলিম]

লাইলাতুল কদরে করণীয়: লাইলাতুল কদরে আমাদের করণীয় হল বেশি করে দোয়া করা, জিকির আযকার করা, নামাজ পড়া, ইবাদত-বন্দেগী করা। হযরত আয়েশা রা. নবী করীম সা. কে জিজ্ঞেস করলেন, লাইলাতুল কদরে আমি কি দোয়া করতে পারি? তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, তুমি বলবে :
হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। [তিরমিযী]

২. হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমজানের শেষ দশক আসলে রাসূলুল্লাহ সা. পরনের লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন। রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবারের সকলকে জাগিয়ে দিতেন। [বুখারী ও মুসলিম]
রাসূলুল্লাহ সা. পরনের লুঙ্গি শক্ত করে নিতেন -এর অর্থ হলো, তিনি এ দিনগুলোতে স্ত্রীদের থেকে আলাদা হয়ে যেতেন।

৩. নবী করীম সা. এ রাতগুলোতে বেশি সময় ও শ্রম দিতেন, যা অন্য কোন রাতে দেখা যেত না। যেমন হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি এ রাতে কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, সালাত ও দোয়ার মাধ্যমে জাগ্রত থাকতেন এরপর সেহেরি গ্রহণ করতেন। [মুসলিম]

৪. এ দশ দিনের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, রাসূল সা. এ দশ দিনে মসজিদে এতেকাফ করতেন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি মসজিদ থেকে বের হতেন না।

এতেকাফ পালন, এতেকাফের সংজ্ঞা: বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তা’আলার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অথবা নির্জন স্থানে (মেয়েদের জন্য) অবস্থান করাকে এতেকাফ বলে।

এতেকাফ কেন করা হয়? রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে এতেকাফ করা অনেক বড় ইবাদত। হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবী করীম সা. রমজানের শেষ দশ দিন এতেকাফ করতেন। [বুখারী ও মুসলিম]

তাই আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদেরকে তাওফিক দান করেন রাসূল সা. -এর এই মূল্যবান সুন্নাত থেকে উপকার লাভ করার। মসজিদ হল আল্লাহর ঘর, আর মালিকের ঘরে তাঁরই কাছে সওয়ালকারী হিসেবে বসে যাওয়া এটা অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার।

এতেকাফের ফজিলত: এতেকাফ একটি মহান ইবাদত, মদিনায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসূলুল্লাহ সা. প্রতি বছরই এতেকাফ পালন করেছেন। দাওয়াত, তাযকিয়া, জিহাদ ও শিক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বে-ও প্রতি রমজানে তিনি এতেকাফ করতেন। এতেকাফ আত্মশুদ্ধি ও ঈমানি তরবিয়তের একটি শিক্ষালয় যা রাসূলুল্লাহ সা.-এর হিদায়াতী আলোর মূর্ত প্রতীক। এতেকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্যান্য সকল বিষয় থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নেকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধানায়। এতেকাফ ঈমান বৃদ্ধির একটি মুখ্য সুযোগ। সকলের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের ঈমানি চেতনাকে শাণিত করে তোলা ও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা।

পবিত্র কুরআনে করীমে বিভিন্নভাবে এতেকাফ সম্পর্কে বলা হয়েছে, হযরত ইবরাহীম ও ইসমাঈল আ. -এর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ হয়েছে-

‘এবং আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, এতেকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। [সূরা বাকারা : ১২৫]

এতেকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে কি আচরণ করতে হবে তা বলতে গিয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেন- ‘আর তোমরা মসজিদে এতেকাফকালে স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করো না।’ [সূরা বাকারা : ১৮৭] রাসূল সা. -এর অসংখ্য হাদিসে এতেকাফ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে।

ফজিলত সম্পর্কিত কিছু হাদিস নিচে উল্লেখ করা হল:

১- ত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. রমজানের শেষের দশকে এতেকাফ করেছেন, ইন্তেকাল পর্যন্ত। এরপর তাঁর স্ত্রীগণ এতেকাফ করেছেন। [বুখারী ও মুসলিম]

২- য়শা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. প্রত্যেক রমজানে এতেকাফ করতেন। [বুখারী, হা. ২০৪১]
অন্য এক হাদিসে আছে :

৩- নবী করীম সা. ইরশাদ করেন: ‘আমি (প্রথমে) এ রাতের (লাইলাতুল কদর) সন্ধানে প্রথম দশকে এতেকাফ পালন করি। অতঃপর এতেকাফ পালন করি মাঝের দশকে। পরবর্তীতে ওহির মাধ্যমে আমাকে জানানো হয় যে, এ রাত শেষ দশকে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের মাঝে যে (এ দশকে) এতেকাফ পালনে আগ্রহী, সে যেন তা পালন করে। লোকেরা তার সাথে এতেকাফ পালন করল। রাসূল সা. বলেন, আমাকে তা (লাইলাতুল কদর) এক বেজোড় রাতে দেখানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে যে, আমি সে ভোরে কাদা ও মাটিতে সেজদা দিচ্ছি। অতঃপর রাসূল সা. একুশের রাতের ভোর যাপন করলেন, ফজর পর্যন্ত তিনি কিয়ামুল্লাইল করেছিলেন। তিনি ফজর আদায়ের জন্য দ-ায়মান হয়েছিলেন। তখন আকাশ চেপে বৃষ্টি নেমে এল, এবং মসজিদে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পড়ল। আমি কাদা ও পানি দেখতে পেলাম। ফজর সালাত শেষে যখন তিনি বের হলেন, তখন তার কপাল ও নাকের পাশে ছিল পানি ও কাদা। সেটি ছিল একুশের রাত।’ [মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ : হা. ১১৭৪, মুসলিম]

৪- হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত হাদিসে উভয়টির (দশ দিন, বিশ দিন) উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি বলেন,
‘রাসূলুল্লাহ সা. প্রতি রমজানে দশ দিন এতেকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি পরলোকগত হন সে বছর তিনি বিশ দিন এতেকাফে কাটান। [সহীহ বুখারী]

৫- হযরত আয়েশা রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সা. -এর সাথে তাঁর জনৈকা স্ত্রী-ও এতেকাফ করলেন। তখন তিনি ছিলেন এস্তেহাজা অবস্থায়। রক্ত দেখছেন। রক্তের কারণে কখনো তাঁর নীচে গামলা রাখা হতো। [বুখারী]

৬- রাসূল সা. বলেন, আমি কদরের রাত্রির সন্ধানে প্রথম দশ দিন এতেকাফ করলাম। এরপর এতেকাফ করলাম মধ্যবর্তী দশদিন। অতঃপর ওহি প্রেরণ করে আমাকে জানানো হল যে তা শেষ দশদিন। সুতরাং যে এতেকাফ পছন্দ করবে, সে যেন এতেকাফ করে। ফলে, মানুষ তাঁর সাথে এতেকাফ যাপন করল। [মুসলিম]

এতেকাফের উপকারিতা: ১. এতেকাফকারী এক নামাজের পর আর এক নামাজের জন্য অপেক্ষা করে থাকে, আর এ অপেক্ষার অনেক ফজিলত রয়েছে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সা. বলেছেন, ‘নিশ্চয় ফেরেশতারা তোমাদের একজনের জন্য দোয়া করতে থাকেন যতক্ষণ সে কথা না বলে, নামাজের স্থানে অবস্থান করে। তারা বলতে থাকে- ‘ হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন, যতক্ষণ তোমাদের কেউ নামাজের স্থানে থাকবে, ঐ নামাজ তাকে আটকিয়ে রাখবে, তার পরিবারের নিকট যেতে নামাজ ছাড়া আর কিছু বিরত রাখবে না, ফেরেশতারা তার জন্য এভাবে দোয়া করতে থাকবে। [বুখারী ও মুসলিম]

২. এতেকাফকারী কদরের রাতের তালাশে থাকে, যে রাত অনির্দিষ্টভাবে রমজানের যে কোন রাত হতে পারে। এই রহস্যের কারণে আল্লাহ তা’আলা সেটিকে বান্দাদের থেকে গোপন রেখেছেন, যেন তারা মাস জুড়ে তাকে তালাশ করতে থাকে।

৩. এতেকাফের ফলে আল্লাহ তা’আলার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় হয়, এবং আল্লাহ তা’আলার জন্য মস্তক অবনত করার প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠে। কেননা আল্লাহ তা বলেন- ‘আমি মানুষ এবং জিন জাতিকে একমাত্র আমারই এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। [সূরা আজ-জারিয়াত : ৫৬]

আর এ এবাদতের বিবিধ প্রতিফলন ঘটে এতেকাফ অবস্থায়। কেননা এতেকাফ অবস্থায একজন মানুষ নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহর ইবাদতের সীমানায় বেঁেধ নেয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির কামনায় ব্যাকুল হয়ে পড়ে। আল্লাহ তা’আলাও তাঁর বান্দাদেরকে নিরাশ করেন না, বরং তিনি বান্দাদেরকে নিরাশ হতে নিষেধ করে দিয়ে বলেছেন- ‘(হে নবী আপনি) বলুন, আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। [সুরা ঝুমার : ৫৩]

অন্যত্র ইরশাদ করেন-
‘আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে, বস্তুত আমি রয়েছি সন্নিকটে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করি যখন সে প্রার্থনা করে। কাজেই তারা যেন আমার হুকুম মান্য করে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। সম্ভবত তারা পথ প্রাপ্ত হবে। [আল-বাকারা : ১৮৬]

৪. যখন কেউ মসজিদে অবস্থান করা পছন্দ করতে লাগে, যা সম্ভব প্রবৃত্তিকে অভ্যস্ত করানোর মাধ্যমে। কেননা প্রবৃত্তিকে যে বিষয়ে অভ্যস্ত করানো হবে সে বিষয়েই সে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। মসজিদে অবস্থান করা পছন্দ হতে শুরু করলে মসজিদকে সে ভালোবাসবে, সেখানে নামাজ আদায়কে ভালোবাসবে। আর এ প্রক্রিয়ায় আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ক মজবুত হবে। হৃদয়ে সৃষ্টি হবে নামাজের ভালোবাসা, এবং নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই অনুভব করতে শুরু করবে হৃদয়ের প্রশান্তি। যে প্রশান্তির কথা রাসূলুল্লাহ সা. এভাবে বলেছিলেন : হে বেলাল! নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং এর মাধ্যমে আমাদেরকে শান্ত করো। [সহীহ আবু দাউ : ৪৯৮৫]

৫. মসজিদে এতেকাফের মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে নেওয়ার কারণে মুসলমানদের অন্তরের কঠোরতা দূরীভূত হয়, কেননা কঠোরতা সৃষ্টি হয় দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা ও পার্থিবতায় নিজেকে আরোপিত করে রাখার কারণে। মসজিদে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখার কারনে দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসায় ছেদ পড়ে এবং আত্মিক উন্নতির অভিজ্ঞতা অনুভূত হয়। মসজিদে এতেকাফ করার কারণে ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকে, ফলে এতেকাফকারী ব্যক্তির আত্মা নিম্নাবস্থার নাগপাশ কাটিয়ে ফেরেশতাদের স্তরের দিকে ধাবিত হয়। ফেরেশতাদের পর্যায় থেকেও বরং উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস পায়। কেননা ফেরেশতাদের প্রবৃত্তি নেই বিধায় প্রবৃত্তির ফাঁদে তারা পড়ে না। আর মানুষের প্রবৃত্তি থাকা সত্বেও সব কিছু থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর জন্য একাগ্রচিত্ত হয়ে যায়।

৬. এতেকাফের মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি আসে।
৭. বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াতের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
৮. ঐকান্তিকভাবে তওবা করার সুযোগ লাভ হয়।
৯. তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত হওয়া যায়।
১০. সময়কে সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যায়।
১১. দিল নরম হয়।
১২. গুনাহ থেকে বাঁচার উপায় হয়।

এতেকাফের আহকাম:
শরীয়তের দৃষ্টিতে এতেকাফ: এতেকাফ করা সুন্নাত। এতেকাফের সবচেয়ে উপযোগী সময় রমজানের শেষ দশক, এতেকাফ কুরআন, হাদিস ও এজমা দ্বারা প্রমাণিত।

ইমাম আহমদ রহ. বলেন, কোন মুসলমান এতেকাফকে সুন্নাত বলে স্বীকার করেনি এমনটি আমার জানা নেই।

এতেকাফের উদ্দেশ্য

১. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা: আল্লাহর দিকে আকৃষ্ট হওয়া ও আল্লাহ কেন্দ্রিক ব্যতিব্যস্ততা যখন অন্তর সংশোধিত ও ঈমানি দৃঢ়তা অর্জনের পথ, কেয়ামতের দিন তার মুক্তিও বরং এ পথেই, তাহলে এতেকাফ হল এমন একটি ইবাদত যার মাধ্যমে বান্দা সমস্ত সৃষ্টজীব থেকে আলাদা হয়ে যথাসম্ভব প্রভুর সান্নিধ্যে চলে আসে। বান্দার কাজ হল তাঁকে স্মরণ করা, তাঁকে ভালোবাসা ও তাঁর ইবাদত করা। সর্বদা তার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা, এরই মাধ্যমে আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক দৃঢ় ও মজবুত হয়।

২. পাশবিক প্রবণতা এবং অহেতুক কাজ থেকে দূরে থাকা: রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন অতিরিক্ত পানাহার ও যৌনাচারসহ পশু প্রবৃত্তির বিবিধ প্রয়োগ থেকে, অনুরূপভাবে তিনি এতেকাফের বিধানের মাধ্যমে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন অহেতুক কথা-বার্তা, মন্দ সংস্পর্শ ও অধিক ঘুম হতে।

৩. আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপূর্ব সুযোগ: এতেকাফের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ অর্থে আল্লাহর জন্য নিবেদিত হয়ে যায়। নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়া ইত্যাদির নির্ঘাত চর্চার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের অফুরন্ত সুযোগের আবহে সে নিজেকে পেয়ে যায়।

৩. শবে কদর তালাশ করা: এতেকাফের মাধ্যমে শবে কদর খোঁজ করা রাসূলুল্লাহ সা. -এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, হযরত আবু সায়ীদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে একথারই প্রমাণ বহন করে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন :
‘আমি কদরের রাত্রির সন্ধানে প্রথম দশকে এতেকাফ করলাম। এরপর এতেকাফ করলাম মধ্যবর্তী দশকে। অতঃপর ওহি প্রেরণ করে আমাকে জানানো হল যে তা শেষ দশকে। সুতরাং যে এতেকাফ পছন্দ করবে, সে যেন এতেকাফ করে। ফলে, মানুষ তাঁর সাথে এতেকাফ যাপন করল।’ [মুসলিম, হা. ১১৬৭]

৪. মসজিদে অবস্থানের অভ্যাস গড়ে তোলা: এতেকাফের মাধ্যমে বান্দার অন্তর মসজিদের সাথে জুড়ে যায়, মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠে। হাদিস অনুযায়ী যে সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা আরশের ছায়ার নীচে স্থান দান করবেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ওই ব্যক্তি মসজিদের সাথে যার হৃদয় ছিল বাঁধা। হাদিসে এসেছে : এবং যার অন্তর মসজিদে বাঁধা । [বুখারী : ৩/২৯২]

৫. ইচ্ছাশক্তি প্রবল করা এবং প্রবৃত্তিকে খারাপ অভ্যাস ও কামনা-বাসনা থেকে বিরত রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা
কেননা, এতেকাফ দ্বারা খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত থাকার প্রবণতা গড়ে উঠে। এতেকাফ তার জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় নিজেকে ধৈর্যের গুণে গুণান্বিত করতে ও নিজের ইচ্ছাশক্তিকে শানিত করতে। এতেকাফ থেকে একজন মানুষ সম্পূর্ণ নতুন মানুষ হয়ে বের হয়ে আসার সুযোগ পায় যা পরকালে উপকারে আসবেনা এমন গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকার ফুরসত মেলে।

এতেকাফের বিধানাবলি
১. এতেকাফের সময়-সীমা: সবচেয়ে কম সময়ের এতেকাফ হল, শুদ্ধমত অনুযায়ী একদিন একরাত। কেননা সাহাবায়ে কেরাম রা. নামাজ অথবা উপদেশ শ্রবন করার অপেক্ষায় বা জ্ঞান অর্জন ইত্যাদির জন্য মসজিদে বসতেন, তবে তারা এসবের জন্য এতেকাফের নিয়ত করেছেন বলে শোনা যায়নি। সর্বোচ্চ কতদিনের জন্য এতেকাফ করা যায় এ ব্যাপারে ওলামাদের মতামত হল এ ব্যাপারে নির্ধারিত কোন সীমা-রেখা নেই।

২. এতেকাফে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময়: এতেকাফকারী যদি রমজানের শেষ দশকে এতেকাফের নিয়ত করে তা হলে একুশতম রাত্রির সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করবে, কেননা তার উদ্দেশ্য কদরের রাত তালাশ করা, যা আশা করা হয়ে থাকে বেজোড় রাত্রগুলোতে, যার মধ্যে একুশের রাত-ও রয়েছে। [মুসলিম, ফাতওয়া শামি: ২/৪৫২] তবে এতেকাফ থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে উত্তম হল চাঁদ রাত্রি মসজিদে অবস্থান করে পরদিন সকালে সরাসরি ঈদগাহে চলে যাওয়া। তবে চাঁদ রাতে সূর্যাস্তের পর মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেও কোন সমস্যা নেই, বৈধ রয়েছে।

৩. এতেকাফের শর্ত: এতেকাফের অনেকগুলো শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো নিন্মরূপ :
এতেকাফের জন্য কেউ কেউ রোজার শর্ত করেছেন, কিন্তু বিশুদ্ধ মত হল রোজা শর্ত নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ সা. থেকে প্রমাণিত আছে যে তিনি কোন এক বছর শাওয়ালের প্রথম দশকে এতেকাফ করেছিলেন, আর এ দশকে ঈদের দিনও আছে। আর ঈদের দিনে তো রোজা রাখা নিষিদ্ধ। তবে মান্নত ও রমজান মাসে এতেকাফ করার জন্য রোজা শর্ত। [প্রমাণ : আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৪/৬২৫, ফাতাওয়া আলমগীরী : ১/২১১]

এতেকাফের জন্য মুসলমান হওয়া শর্ত। কেননা কাফেরের ইবাদত গ্রহণযোগ্য হয় না। এতেকাফকারীকে বোধশক্তিসম্পন্ন হতে হবে। কেননা নির্বোধ ব্যক্তির কাজের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, আর উদ্দেশ্য ব্যতীত কাজ শুদ্ধ হতে পারে না। ভালো-মন্দ পার্থক্য করার জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা কম বয়সী, যে ভাল-মন্দের পার্থক্য করতে পারে না, তার নিয়তও শুদ্ধ হয় না।

এতেকাফের নিয়ত করতে হবে। কেননা মসজিদে অবস্থান হয়তো এতেকাফের নিয়তে হবে অথবা অন্য কোন নিয়তে। আর এদু’টোর মধ্যে পার্থক্য করার জন্য নিয়তের প্রয়োজন। ইহার সমর্থনে হাদিসটি হলো- ‘প্রত্যেক কাজের নির্ভরতা নিয়তের উপর, যে যা নিয়ত করবে সে কেবল তাই পাবে। [ বুখারী : ১]

এতেকাফ অবস্থায় মহিলাদের হায়েজ-নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া জরুরি। কেননা এ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করা হারাম, অবশ্য এস্তেহাজা অবস্থায় এতেকাফ করা বৈধ।

দলিল : আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা.-এর সাথে তাঁর স্ত্রীগণের মধ্য হতে কেউ একজন এতেকাফ করেছিলেন এস্তেহাজা অবস্থায়। তিনি লাল ও হলুদ রঙ্গের স্রাব দেখতে পাচ্ছিলেন, আমরা কখনো তার নীচে পাত্র রেখে দিয়েছি নামাজের সময়। [বুখারী, হা. ২০৩৭]

গোসল ফরজ হয় এমন ধরনের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হতে হবে। অপবিত্র লোক মসজিদে অবস্থান করা হারাম। যদিও কোন কোন আলেম ওজুর শর্তে মসজিদে অবস্থান বৈধ বলেছেন। আর যদি অপবিত্রতা যৌন স্পর্শ অথবা স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলে হয়, তবে সকলের মতে এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর যদি স্বপ্নদোষের কারণে হয়, তাহলে কারোর মতে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না। আর যদি হস্তমৈথুনের কারণে হয় তা হলে সঠিক মতানুসারে এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে।

এতেকাফ মসজিদে হতে হবে: এ ব্যাপারে সকল আলেম একমত যে এতেকাফ মসজিদে হতে হবে, তবে জামে মসজিদ হলে উত্তম কেননা, এমতাবস্থায় জুমার নামাজের জন্য এতেকাফকারীকে মসজিদ থেকে বের হতে হবে না। [ফতহুল কাদির : ২/১১০, ফাতওয়া আলীমগীরী : ১/২১২]

মেয়েরা ঘরের এক কোনে জায়গা নির্ধারিত করে তথায় এতেকাফ করবে। তাহলে সে মসজিদে এতেকাফের সওয়াব পাবে। [বুখারী ও মুসিলম, আলমগিরী : ১/২১১, হাসিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুররুল মুখতার : ১/৪৭৩, আপকে মাসাঈল আওর উনকা হল : ৪/৬২৪]

মসজিদ থেকে বের হওয়ার বিধান এতেকাফকারী যদি বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হয় তাহলে তার এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। [আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪৪৭ ফাতহুল কাদির : ২/১১২]

আর এতেকাফের স্থান থেকে যদি মানবীয় প্রয়োজন মিটানোর জন্য বের হয় তাহলে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না। [আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৪/৬২৪, আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪৪৫, হাসিয়াতুত তাহতাবী : ১/৪৭৪] মসজিদে থেকে পবিত্রতা অর্জন সম্ভব না হলে মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতি আছে। [ফাতহুল কাদির : ২/১১০]

বাহন না থাকার কারণে এতেকাফকারীকে যদি পানাহারের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয় অথবা মসজিদে খাবার গ্রহণ করতে লজ্জা বোধ হয় তবে এরূপ প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে। [ফাতহুল কাদির : ২/১১০]

যে মসজিদে এতেকাফে বসেছে সেখানে জুমার নামাজের ব্যবস্থা না থাকলে জুমার নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ, এক্ষেত্রে এতটুকু সময় নিয়ে আগে ভাগেই রওয়ানা হওয়া তার জন্য মুস্তাহাব যাতে সেখানে গিয়ে সে তাহিয়্যাতুল মসজিদ, জুমার পূর্বের চার রাকাত সুন্নাত পড়তে পারে। আর নামাজ শেষে সাথে সাথে পূর্বের মসজিদে ফিরে আসবে। [ফাতহুল কাদীর : ২/১১০, হাসিয়া তাহতাবী : ১/৪৭৫, আলমগিরী : ১/২১২, আপকা সওয়াল আওর উনকা জওয়াব : ৪/৬২৪]

ওজরের কারনে এতেকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারে। ছাফিয়্যা রা. থেকে বর্ণিত হাদিস এর প্রমাণ :‘ছাফিয়া রা. রমজানের শেষ দশকে এতেকাফস্থলে রাসূলুল্লাহ সা.-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে এলেন। রাসূলুল্লাহ সা. -এর সাথে কতক্ষণ কথা বললেন অতঃপর যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন রাসূলুল্লাহ সা.-ও তাকে বিদায় দিতে উঠে দাড়ালেন। [বুখারী : ২০৩৫]

কোন নেকির কাজ করার জন্য এতেকাফকারীর মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। যেমন রোগী দেখতে যাওয়া, জানাজায় উপস্থিত হওয়া ইত্যাদি। এ মর্মে আয়শা রা. বলেন, ‘এতেকাফকারীর জন্য সুন্নত হল সে রোগী দেখতে যাবে না, জানাজায় উপস্থিত হবে না, স্ত্রীকে স্পর্শ করবে না ও তার সাথে কামাচার থেকে বিরত থাকবে এবং অতি প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ থেকে বের হবে না। [আবু দাউদ : হা. ২৪৭৩]

এতেকাফ-বিরুদ্ধ কোন কাজের জন্য এতেকাফকারীর মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়, যেমন ক্রয়-বিক্রয়, স্বামী-স্ত্রীর মিলন ইত্যাদি। হ্যাঁ যদি এতেকাফকারী গরীব মানুষ হয়, ঘরে খাবারের কিছুই না থাকে, তাহলে এতেকাফ অবস্থায় ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। তবে শর্ত হলো মসজিদে কেনা-বেচার জিনিসপত্র আনতে পারবে না। [আর্দ্দুরুল মুখতার : ২/৪৪৮-৪৪৯, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৪/৬২৫]

এতেকাফকারীর জন্য যা কিছু বিধিবদ্ধ ইবাদত আদায়, যেমন নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়া ইত্যাদি। কেননা এতেকাফের উদ্দেশ্য হল আল্লাহ তা’আলার সমীপে অন্তরের একাগ্রতা নিবেদন করা এবং তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া যা উপরোক্ত ইবাদত আদায় ছাড়া সম্ভব নয়।

অনুরূপভাবে যেসব ইবাদতের প্রভাব অন্যদের পর্যন্ত পৌঁছায়, যেমন সালামের উত্তর দেওয়া, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বারণ, প্রশ্নের উত্তর দেয়া, পথ দেখানো, ইলম শিক্ষা দেয়া, কুরআন পড়ানো ইত্যাদিও করতে পারবে। কিন্তু শর্ত হল এগুলো যেন এত বেশি না হয় যে এতেকাফের মূল উদ্দেশ্যই ছুটে যায়। [ফতহুল কাদীর : ২/১১২, আলমগীরী : ১/২১২, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৪/৬২৪]

এতেকাফকারীর জন্য মুস্তাহাব হল তার এতেকাফের স্থানে কোন কিছু দ্বারা পর্দা করে নেয়া। প্রমাণ: ‘রাসূল সা. তুর্কি গম্বুজের ভিতরে এতেকাফ করেছেন যার দরজায় ছিল চাটাই। [মুসলিম : হা. ১১৬৭]

এতেকাফকারী তার প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র সঙ্গে নেবে যাতে নিজের প্রয়োজনে তাকে বার বার মসজিদের বাইরে যেতে না হয়, আবু সাঈদ খুদরি রা. হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন : ‘আমরা রাসূলুল্লাহ সা. -এর সাথে রমজানের মাঝের দশকে এতেকাফ করলাম, যখন বিশ তারিখ সকাল হল আমরা আমাদের বিছানা-পত্র নিয়ে নিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সা. এসে বললেন, যে এতেকাফ করেছে সে তার এতেকাফের স্থানে ফিরে যাবে। [বুখারী : হা. ২০৪০]
এতেকাফের জন্য যা অনুমোদিত

এতেকাফকারীর জন্য মসজিদে পানাহার ও ঘুমানোর অনুমতি আছে। এ ব্যাপারে সকল ইমামদের ঐক্যমত রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত, কেননা আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশের জন্য কম খাওয়া কম ঘুমানো সহায়ক বলে বিবেচিত।

গোসল করা, চুল আঁচড়ানো, তেল ও সুগন্ধি ব্যবহার, ভাল পোশাক পরা, এ সবের অনুমতি আছে। প্রমাণ আয়েশা রা. -এর হাদিস :

‘তিনি মাসিক অবস্থায় নবী সা.-এর মাথার কেশ বিন্যাস করে দিতেন, যখন রসূল সা. মসজিদে এতেকাফরত অবস্থায় থাকতেন, আয়েশা রা. তার কক্ষে থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সা. -এর মাথার নাগাল পেতেন। [বুখারী : ২০৪৬]

এতেকাফকারীর পরিবার তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে, কথা বলতে পারবে, কেননা নবী করীম সা.-এর স্ত্রীগণ এতেকাফকালীন তার সাথে সাক্ষাৎ করতেন। তবে সাক্ষাৎ দীর্ঘ না হওয়া বাঞ্ছনীয়।

এতেকাফকারী যা থেকে বিরত থাকবে: ওজর ছাড়া এতেকাফকারী এমন কোন কাজ করবে না যা এতেকাফকে ভঙ্গ করে দেয়, আল্লাহ তা’আলা বলেন,”তোমরা তোমাদের কাজসমূহকে নষ্ট করো না।”

ঐ সকল কাজ যা এতেকাফের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে, যেমন বেশি কথা বলা, বেশি মেলামেশা করা, অধিক ঘুমানো, ইবাদতের সময়কে কাজে না লাগানো ইত্যাদি। এতেকাফকারী মসজিদে বসে ক্রয়-বিক্রয় করবে না।

প্রমাণ: হযরত আমর বিন শুআইব রা. তাঁর পিতার উদ্বৃতিতে বর্ণনা করেন যে রাসূল সা. মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। [তিরমিযী, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ: হা.৬৯৯১]

তেমনিভাবে যা ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ বলে বিবেচিত, যেমন বিভিন্ন ধরনের চুক্তিপত্র, ভাড়া, মুদারাবা, মুশারাকা, বন্ধক রাখা ইত্যাদি। কিন্তু যদি মসজিদের বাহিরে এমন ক্রয়-বিক্রয় হয় যা ছাড়া এতেকাফকারীর সংসার চলে না তবে তা বৈধ বলে বিবেচিত হবে।

মসজিদে বায়ু ত্যাগ থেকে বিরত থাকবে। কেননা হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, যখন বেদুইন লোকটি মসজিদে প্রস্রাব করেছিল তখন রাসূল সা. বলেছিলেন : মসজিদ প্রস্রাব, ময়লা-আবর্জনার উপযোগী নয়, বরং মসজিদ পবিত্র স্তান আল্লাহর ঘর অবশ্যই আল্লাহর জিকির এবং নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াতের জন্য। [মুসলিম : ২৮৫]

প্রিয় পাঠক! আসুন আমরা রমজান মাসকে যথাযথ কাজে লাগাই এবং এর শেষ দশককে এতেকাফের মাধ্যমে অতিবাহিত করি। এতেই আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখকঃ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

Categories
আলোচিত সংবাদ সাক্ষাৎকার

বানারীপাড়ায় হতদরিদ্রের সম্পত্তি জবর দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

 বরিশাল প্রতিনিধি :

বরিশালের বানারীপাড়ায় হতদরিদ্র পরিবারের সম্পত্তি জবর দখল করে পুকুর খনন ও পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভুমি খেকো চক্রের চক্রাস্তে ও মদদে অন্যের জমি দখল করে বসত বিল্ডিং করছে এলাকার চিহ্নিত একটি পক্ষ। বারবার শালিশ বৈঠকে বসে ও নিজ পৈত্ত্বিক জমি ভোগ দখর করতে পারছে না ভুক্তভোগী পরিবারটি। তাইতো ঐ পরিবারটি
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করে । এতে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা অংশ গ্রহণ করেন। জানা গেছে বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামের মৃত মৌজে আলী মাঝির ৬ কন্যার ওয়ারিশকৃত জমির দুই কন্যার কাছ থেকে ২৫ শতক জমি ক্রয় করেন রফিকুল ইসলাম মিলনের পুত্র মো. রাসেল ! তিনি ২৫ শতক জমি ক্রয় করলেও অন্য বোনদের ওয়ারিশী সম্পত্তিসহ ১১০ শতক সম্পত্তি স্থানীয় ভূমিদস্যুদের সহায়তায় জোরপূর্বক দখল করেন । এতে অন্য ওয়ারিশ বোনেরা বাধা দিলে দুই সহোদর মিলন ও সেলিম তাদের খুন – জখমের হুমকি দেয় । ফলে সম্প্রতি মৃত মৌজে আলী মাঝীর মেয়ে রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমপি মামলা ৪৯৫/ ২০২৪ দায়ের করেন। ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী ১৪৪ / ১৪৫ জারি করেন। ঘটনা স্থলে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেন । কিন্তু প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সেলিম ও মিলন ওই সম্পত্তিতে পুকুর খনন ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন । এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী রাবেয়া বেগম অভিযোগ করেন, মিলন তাদের ওয়ারিশ প্রাপ্ত ৬ বোনের মধ্যে দুই বোনের কাছ থেকে ২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু সে ১১০ শতক জমি দখল করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করায় খুন জখমের হুমকি দেয়া হয় ।এমনকি তাদের লাশ বানিয়ে পুঁতে ফেলবে বলে মিলনের ভাই সেলিম হুমকি দেয় । হত দরিদ্র হওয়ায় তারা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না বলেও রাবেয়া বেগম জানান। মিলন এ অভিযোগ স্বীকার করে জানান রাবেয়া ও তার অন্য বোনেরা ওয়ারিশ মূলে ৭৫ শতাংশ জমি পাবেন । আমরা এটা পরবর্তীতে বসে সমাধান করে নেবো।

Categories
অপরাধ আলোচিত সংবাদ সাক্ষাৎকার

কুমিল্লায় র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ক্রাইম রিপোর্টার, কুমিল্লা:

কুমিল্লা র‍্যাব-১১, সিপিসি-২, লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান- র‍্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‍্যাব ফোর্সেস নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

৩১ মার্চ ২০২৪ইং (রবিবার) তারিখ রাতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন অশোকতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী মোঃ শাহ আলম প্রকাশ্যে শাহজাহান (৪০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ১,০৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত নগদ ৪,১৮,০৮০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহ আলম প্রকাশ্যে শাহজাহান (৪০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শুভপুর গ্রামের মোঃ আলী মিয়া এর ছেলে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র‍্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র‍্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।ৃ

Categories
আলোচিত সংবাদ সাক্ষাৎকার

টেকনাফ পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ২১ দিন পর শিশু সোয়াদ কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার,চক্রের ১৭ সদস্য আটক

মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি

কক্সবাজার টেকনাফে চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা ছাত্র শিশু সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) অপহরণের  ২১ দিনের মাথায় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে সুদুর কুমিল্লাহ থেকে সোয়াদ  কে  অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছ।এঘটনায়জড়িত  অপহরণকারী চক্রের মোট ১৭ সদস্যকে পর্যায়ক্রমে আটক করা হয়েছ বলে  টেকনাফ  মডেল থানা পুলিশের  এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
ভিক্টিম উদ্ধারের বিষয়ে রবিবার ( ৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় টেকনাফ মডেল থানা কন্ফারেন্স হল রুমে সাংবাদিকদের  নিয়ে এক সংবাদসম্মেলনের আয়োজন করে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
সংবাদসম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( উখিয়া সার্কেল) মোঃ রাসেল পিপিএম   জানান, দীর্ঘ ২১ টা দিন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামের  নির্দেশে টেকনাফ  মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ  মোঃ উসমান গনির নেতৃত্বে পুলিশের চৌকশ অফিসার এস আই সুদর্শন  সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টেকনাফ, কক্সবাজার,ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্ঘুম রাত জেগে গোয়েন্দা  তৎপরতার মাধ্যে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা  করে। এই অভিযানে  অপহরণ চক্রের মাস্টার মাইন্ড সাদেক শাহিন, নাগু ডাকাত হোসনে আরা, সহ পরিবারও চক্রের মোট ১৭ জন  নারী পুরুষ  সদস্য কে পর্যায় ক্রমে  আটক করতে স্বক্ষম হয়েছে। সেই সাথে  শিশু  সোয়াদ কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার সহ তার মুক্তিপণের জন্য দেয়া ৪ লক্ষ টাকা ও অপহরণে ব্যবহারিত ৭ টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল সেটও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার  করা হয়েছে বলে সাংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এদিকে অপহৃত ছয় বছরের  শিশু  সোয়াদ কে দীর্ঘ ২১ দিন পর অক্ষত অবস্থায়  ফেরত পেয়ে  মা নুর জাহান শোকে কাতর হয়ে পড়েছে এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের এই অভিযান কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Categories
আলোচিত সংবাদ সাক্ষাৎকার

মৌলভীবাজারে যেন শহীদ মিনার নয়, ডেটিং পার্ক

রিপন মিয়া মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

 

ব্যস্ততম শহর মৌলভীবাজারের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র  কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ফুরসত করে কাজের ফাঁকে অবসরে কুশল বিনিময়ে সময় কাটাতে ব্যস্ত এই শহরের বুকে সাধারণ মানুষজনদের পছন্দের একটি জায়গা শহীদ মিনার। https://www.facebook.com/share/p/2AY59nSAC5apWeEN/?mibextid=qi2Omg

তবে শহরবাসীর স্বস্তির এই জায়গায় এখন আর স্বাচ্ছন্দে পরিবার কিংবা পছন্দের কোনো মানুষের সাথে গল্প করা বা ঘুরে বেড়ানোর পরিস্থিতি এখন আর নেই। 

উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীর উচ্ছৃঙ্খল বিচরণে অতিষ্ঠ শহরবাসী।https://www.facebook.com/share/p/2AY59nSAC5apWeEN/?mibextid=qi2Omg

বলা হয়ে থাকে মৌলভীবাজারের অনত্যম প্রাণকেন্দ্র শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত এই শহীদ মিনার। 

কিশোর-কিশোরি থেকে বৃদ্ধ সকলেরই ব্যস্ততার মাঝে একটু স্বস্তির সময় কাটানোর ও কাছের মানুষের সঙ্গে গল্প করতে শহীদ মিনার পছন্দের একটি জায়গায়র মধ্যে অন্যতম।

সকলের প্রিয় এই শহীদ মিনার যেন এখন স্কুল-কলেজের কিছু  শিক্ষার্থীদের আড্ডাখানা। পুরো শহীদ মিনারজুড়েই তাদের আনাগোনা এবং প্রকাশ্যেই চলে ধূমপান। এছাড়াও কিছু উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী প্রকাশ্যে করছে অবাধ মেলামেশা। এসবের সবই হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে। এদের এমন দৃশ্যে আগত সবাই বিব্রত হলেও অজানা কারণে কেউ এসবের প্রতিবাদ করছে না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, কাশীনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল এন্ড কলেজ , মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শহীদ মিনারে এসে সময় কাটাচ্ছে। এসময় তাদের একে অন্যের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট সময় কাটাতেও দেখা গেছে। 

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদদের সম্মানে নির্মিত এই শহিদ মিনারটিতে শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে জুতা পা দিয়ে উঠছে, অনেককে আবার দেখা যায় বেশ স্বস্তির সঙ্গে বসে শহিদ মিনারের উপর জুতো পায়ে দিয়ে ধুমপান করছে, এদের এসব কর্মকান্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে নানান ভোগান্তিতে। 

শহরের অধিকাংশ জায়গাতেই নেই এরকম খোলা মাঠ তাই বিকেলবেলা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে খেলতে আসেন অনেকেই, তবে কিছু উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের প্রকাশ্যে এরকম অবাধ মেলামেশার কারণে অনেকের পরিবার থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞাও করা হয়েছে এই জায়গায় না আসার জন্য। 

 

তাদের এসব কর্মকাণ্ডে নজর নেই যেমন অভিভাবকদের, একইভাবে শিক্ষক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের তদারকির অভাবে এরকমটা হচ্ছে বলে মনে করছে সচেতনমহল।

 

এ বিষয় শহিদ মিনারে আসা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক সময় স্কুল ছুটির পর এখানে আসি, এখানে বসে আমাদের বন্ধু-বান্ধব মিলে অবসর সময় কাটাই। এমন সময় আমরা এসে দেখি আমাদের বড় ভাইয়েরা কিছু মেয়েদেরকে নিয়ে বসে আড্ডা দেন। এটা আড্ডা দেওয়ার জায়গা নয়, এটি শহীদ মিনার যেহেতু আমরা বসতে আসি তখন তাঁরা আমাদের তাড়িয়ে দেন। বলেন এখানে আসতে পারবে না। দেখছো আমরা এখানে বসা এমন মন্তব্য করে আমাদের তাড়িয়ে দেন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের ঠিকমতো অধিকারটুকু পাচ্ছি না। কিন্তু এটা নিয়ম নয়, আমাদের অভিযোগ করার মতো জায়গায় নেই, কাকে জানাবো এমন প্রশ্ন রাখেন ওই শিক্ষার্থী।

তিনি আরও বলেন, বড় ভাইয়েরা যদি এমন কর্মকাণ্ড করেন তাহলে তাদের দেখে আমরা কি শিখবো। এমন কর্মকাণ্ডে  একদিন আমাদের সমবয়সীরাও তো জড়াতে পারে। 

প্রশাসনের প্রতি আমাদের একটাই দাবি এ সকল অসামাজিক কার্যকলাপ অতিদ্রুত বন্ধ করা হোক। এখানে বিকেলে খেলাধূলা হয়। আর শহীদ মিনারটি আমাদের সংস্কৃতি এর আশেপাশে যেনো এরকম খারাপ দৃশ্য না দেখতে হয়।

একই কথা বলেন আরেক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, তাদের জন্য আমরা এখানে এসে বসতে পারিনা, তাদের থেকে দূরে সরে বসলেও আমাদের বলেন এখান থেকে চলে যাও। অনেক সময় তাঁরা পায়ে জুতা নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠেন এটা ঠিক নয়। আমরা চাই এটি বন্ধ হোক।

 

এ বিষয় পৌর মেয়র মো: ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয় জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রদক্ষেপ নিবেন। আর পৌর মেয়র হিসেবে আমি প্রতিনিয়তই সাধারণ মানুষজন এবং শিক্ষার্থীদের শহিদ মিনারে জুতো পায়ে দিয়ে না উঠার আহবান করেছি। এবং ইতিমধ্যে শহীদ মিনারের ভারসাম্য রক্ষায় মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে নানান ধরনের অভিযান করেছি, যে বা যারা শহীদ মিনারের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নিব।

 

রিপন মিয়া মৌলভীবাজার প্রতিদিন। 

মোবাইল ০১৭৪০০২৩৬০৭

Categories
আলোচিত সংবাদ সারা বাংলাদেশ

কুমিল্লা জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টারের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও কুমিল্লা জেলা কমিটি ঘোষণা

 চট্টগ্রাম  ব্যুরো প্রধান:

পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে ২৯ মার্চ ২০২৪ইং (১৮ রমযান) শুক্রবার জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে কুমিল্লা কান্দিরপাড় আনন্দ সিটি সেন্টার ইয়াম্মী রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ওমর ফারুকী তাপসের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মনিরুজ্জামান বিদ্যুৎ ও উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ।
জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি আজগর আলী মানিক বিশেষ কারণ বশত উপস্থিত থাকতে না পারায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে বলেন, ২০১৯ সালে জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। করুনাকালীন সময়ে সারা বাংলাদেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং সাংবাদিকদেরকে আইনী সহযোগিতা করে আসছেন। জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার শত প্রতিক‚লতার মাঝেও সর্বদা দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও সুবিধা বঞ্চিত সাংবাদিকদের সহ সাধারণ মানুষের পাশে আছে। আর এ কারণেই নানাবিধ জটিলতা ও প্রতিক‚লতার মাঝেও এই সংগঠন ব্যাপক হারে সকলের সমর্থন পেয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সকল সদস্যদের পেশাগত সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আজকের দর্পন কুমিল্লা প্রতিনিধি এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ রবিউল বাশার খাঁন, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড কুমিল্লা জোনের চীফ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম মাসুদ, জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আজকের সত্য প্রকাশের সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ এবং কুমিল্লা বরুড়া উপজেলা আগানগর ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম।
উক্ত অনুষ্ঠানে জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের কুমিল্লা জেলা কমিটি ঘোষণা করেন জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম।
কমিটির সদস্যবৃন্দরা হলেন, সভাপতি- এটিএম মাজহারুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি- একেএম আজাদ মোঃ এমরান, সাধারণ সম্পাদক- মোঃ রুবেল আহমেদ তানভীর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মোঃ আনজার শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক- এডভোকেট মোঃ আবুল খায়ের, অর্থ সম্পাদক- মোঃ মনিরুল ইসলাম নিজামী, প্রচার সম্পাদক- মোঃ সোহাগ উদ্দিন (এল.এল.বি, ফলপ্রার্থী), দপ্তর সম্পাদক- পারুল আক্তার, সহ-দপ্তর সম্পাদক- জামাল বিন হোসাইন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- ইয়াছমিন আক্তার এবং নির্বাহী সদস্য মোঃ শাহীন হোসাইন।
জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টারের জেলা কমিটির সদস্যদের মাঝে আই.ডি কার্ড প্রদান করেন উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস এবং মোঃ রবিউল বাশার খাঁন ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা এবং দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মোঃ আনজার শাহ।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্য এবং ইফতার গ্রহণের পর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

Categories
আলোচিত সংবাদ সারা বাংলাদেশ

ছাতকে একতা ফ্রেন্ডস্টাফের কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ডেস্ক নিউজ:

ছাতকে একতা ফ্রেন্ডস্টাফের ২০২৪-২০২৫ সেসনের কার্যকরী কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি তানভীর হাসান জাহেদের সভাপতিত্বে ও মোঃ আল আমিন, হামিদুর রহমান মাসরুরের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানভীর আহমদ জাকির। শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ মোঃ মাসনুন চৌধুরী, ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন হামিদুর রহমান মাসরুর ও মাওলানা ইমরান হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক আলী হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, একতা শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা হাফিজ মোঃ মাসনুন চৌধুরী, মাওলানা ইমরান হোসেন, কার্যকরী পরিষদের পরিচালক মাহমুদুল হাসান মিছবাহ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানভীর আহমদ জাকির বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে সামাজিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমে ছাতক একতা ফ্রেন্ডস্টাফ ২০১৩ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নেতৃত্ব বাঁচাই এবং নতুন নেতৃত্ব একটি গতানুগতিক ধারার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। তাই সংগঠন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত যতটুকু কার্যক্রম হয়েছে, নতুন নেতৃবৃন্দ সেগুলো মাথায় রেখে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা এবং আন্তরিকতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০২৪-২০২৫ সেসনের কার্যকরী কমিটিতে সভাপতি পদে মোঃ আল আমিন ও মাসহুদ আহমেদ মুশিক কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মোঃ মাসনুন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার সালমান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হোসাইন আহমদ, অর্থ সম্পাদক মোঃ জাকির আহমদ, প্রচার সম্পাদক কাওছার আহমদ, দপ্তর সম্পাদক রুবেল আহমদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অমিত আচার্য, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রিপন আহমদ, প্রকাশনা সম্পাদক আশিক হাসান জুয়েল, ক্রীড়া সম্পাদক মাহবুব আলম, সাহিত্য সম্পাদক বাসির আহমদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হামিদুর রহমান মাসরুর। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে মোনাজাত করেন মাওলানা ইমরান হোসেন।

Categories
আলোচিত সংবাদ সারা বাংলাদেশ

ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের অফিস উদ্বোধন ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

ছাতক প্রতিনিধি:

ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ের নিজস্ব অফিস উদ্বোধন শেষে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে এস এমএ চৌধুরী সুপার মার্কেটের ২য় তলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ মনিরের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনলাইন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি শংকর দত্ত।

ছাতক সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মঈনুদ্দিন আহমদ, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. সুফি আলম সুহেল, উপজেলা ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবিব, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামছুর রহমান শামছু, সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আহমদ নিউটন, সমতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি (এডহক) প্রভাষক সিতাব আলী, প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সম্পাদক শামসুর রহমান বাবুল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, ছাতক প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি বদর উদ্দিন, ছাতক প্রেসক্লাবের সদস্য তমাল পোদ্দার, যুবলীগ নেতা মাহফুজ বাবলু, হোয়াইট বার্ড একাডেমির প্রিন্সিপাল আহমেদ আল কবির চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউল সানী, ছাতক বাউবি উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্বাস উদ্দিন, স্বপন চৌধুরী, জুবায়ের আহমদ, নোমান ইমদাদ কানন, মোঃ হোসাইন আহমেদ, মোঃ আলি নুর, মকরম আলী প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ফজলুল হক, সহসাধারণ সম্পাদক সুমন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জীবক সুজন তালুকদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মুন্সি, কোষাধ্যক্ষ জামরুল ইসলাম রেজা, দপ্তর সম্পাদক আবু সুফিয়ান আলীরাজ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক এম এইচ আদর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম জিয়াউর রহমান, সদস্য দিলুয়ার হুসেন জয়, জুয়েল।

Categories
আলোচিত সংবাদ

শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

মো:ফাহাদ আল-আবিদ:

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০শে মার্চ সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে মাওনা চৌরাস্তা হেলিম মাস্টার টাওয়ার ৪র্থ তলায়। শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সার্বিক সহযোগিতায় ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।
ইফতারের আগে কোরআন তেলাওয়াত ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ মোনাজাতে আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ- সভাপতি মোশারফ হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল হাসান নাহিদ, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা পির্পোটার্স ক্লাবের আইন বিষয়ক সম্পাদক অনায়েল হোসাইন, শ্রীপুর উপজেলা রির্পোটার্স ক্লাবের কার্য নির্বাহী সদস্য আল- আমিন হোসেন প্রমুখ।