Categories
রিপোর্টার তথ্য

ঘাটাইলে নবনির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ

মোঃ মশিউর রহমান, টাংগাইল জেলা প্রতিনিধিঃ

টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিকাল ০২ঃ০০ ঘটিকায় দেউলাবাড়ী, ঘাটাইল সদর, জামুরিয়া, লোকেরপাড়া, আনেহলা, দিঘলকান্দি, দিগড় ও দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ এর নবনির্বাচিত সংরক্ষিত সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যগণের শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সোহাগ হোসেন এ শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাংগাইল-০৩ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম লেবু, পৌরসভা মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রসিদ মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা সুলতানা, ঘাটাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজহারুল ইসলাম সরকার (পিপিএম)।

Categories
সাক্ষাৎকার

দোয়ারাবাজারে দিনব্যাপী আশ্রয়ণ প্রকল্প, ফসল রক্ষা বাঁধ ও বিভিন্ন অফিস পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দিনব্যাপী আশ্রয়ণ প্রকল্প ও ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ ও বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন ও স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো:জাহাঙ্গীর হোসেন

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী তিনি মুজিববর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের গৃহনির্মাণ আশ্রয়ণ প্রকল্প ও ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। এর পরে উপজেলা ভূমি অফিস ও থানা পরিদর্শন, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রাম আদালত, ডিজিটাল তথ্য সেবা পরিদর্শন করেন তিনি। পরে তিনি বাশতলা হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক করেন ও ঝুমগাও আদিবাসীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

জেলা প্রশাসক নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

দিনব্যাপী পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ,সহকারী কমিশনার(ভূমি)ফয়সাল আহমেদ,দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদুলাল ধর,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমেদ,বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রোটারিয়ান এম আবুল হোসেন, প্রেসক্লাব উপদেষ্টা বজলুর রহমান,
সভাপতি মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, সহসভাপতি আলাউদ্দিন, কামাল পারভেজ,সাধারণ সম্পাদক আশিক মিয়া,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মোতালিব ভুইয়া, সদস্য মনির হোসেন প্রমুখ।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো:জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সততা, আন্তরিকতার সাথে ঘরের কাজ তদারকি করা হচ্ছে। যাদের ভূমি ও ঘর নেই এবং যারা প্রকৃতভাবে ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের মাঝেই ঘর বিতরণ করা হবে।

Categories
অপরাধ

সিলেটে নিজ শিশু সন্তানকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ মহিলার

সিলেট সংবাদ ডেস্কঃ

সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে নিজের এক বছর ৫ মাস বয়সী মেয়েকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পন করেছেন নাজমিন আক্তার নামের এক নারী।

বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের শাহপরাণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। নিহত শিশুর নাম সাবিহা আক্তার। বিকেলে হাসপাতাল থেকে নাজমিনকে কতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নাজমিনের স্বামী সাব্বির আহমদকেও আটক করেছে পুলিশ।

পারিবাহিক কলহের জেরে সাবিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন বলে থানায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান নাজমিন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোলাপগঞ্জ এলাকার নাজমিনের সাথে দক্ষিণ সুরমার বদলি এলাকার সাব্বির আহমদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তারা শাপরান এলাকায় থাকেন। নাজমিন একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও তার স্বামী কাতার প্রবাসী।

এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিলো নাজনিনের। সেই সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে।

থানায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নাজমিন বলেন, বিয়ের পর আমার স্বামী বিদেশ চলে যায়। এরপর চার বছর পর দেশে ফিরে। কিন্তু বিদেশ থাকা অবস্থায় তিনি আমার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেননি। দেশে ফিরে আমাকে অনেক বুঝিয়ে আবার সংসার শুরু করেন তিনি। তখন আমি গর্ভবতী হই। আমাকে গর্ভবতী রেখেই তিনি আবার কাতার চলে যান।

নাজমিন অভিযো্গ করে বলেন, বিদেশে গিয়ে সাব্বির অভিযোগ করেন আমার গর্ভের সন্তান তার নয়। আমি তখন ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলি। কিন্তু সাব্বির ও তার তার পরিবার আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে থাকে।

মেয়ের চেহেরা অবিকল তার বাবার মতো হয়েছে জানিয়ে নাজমিন বলেন, সাব্বির ১৫ দিন আগে দেশে এসেছেন। কিন্তু একবারও মেয়েকে দেখতে আসেননি। বরং আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছেন। এই দুঃখে আমি আমার মেয়েকে হত্যা করেছি।

নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে নাজমিন বলেন, আমি কাউকে ফাঁসাবো না। সাব্বিরকেও ফাঁসাবো না। তাকে ফাঁসালেও সে কম শাস্তিতে পার পেয়ে যাবে। তার বিচার আল্লাহ করবেন। আমি আমার মেয়েকে খুন করছি। আমার ফাঁসি হোক।

পরে প্রতিবেশিরা মেয়েকে নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে আসেন বলে জানান এই নারী।

ক্ষোভ প্রকাশ করে নাজমিন বলেন, হাসপাতালে সাব্বিরের ভাইকে পাইছিলাম। তাকে জুতা দিয়ে মারতে চাইছিলাম। মারতে পারলে শান্তি হতো। কিন্তু পারিনি।

পারিবাহিক কলহের জেরে সাবিহাকে গলা টিপে তার মা নাজমিন হত্যা করেন জানিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, নাজমিনকে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তার স্বামীকেও আটক করেছি। ঘটনাটি যেহেতু শাহপরান থানা এলাকার তাই শাহপরান থানা পুলিশকে খবর দিয়েছি। তারাই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিহত শিশুর মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

Categories
সাংস্কৃতিক সিলেট-বিভাগ

বাহুবলের মৌড়ীতে “হরিনামযজ্ঞ মহোৎসব” সম্পন্ন।(ভিডিও সহ)

সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):

“কলিযুগে ধর্ম হয় নাম সংকীর্ত্তণ;
চারিযুগে চারিধর্মে জীবের কারণ,
অতএব কলিযুগে নামযজ্ঞ সার,
আর কোন ধর্ম কৈলে নাহি হয় পার”
বিশ্বশান্তি ও মানবকল্যাণ কামনায় সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মৌড়ী গ্রামের শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে অষ্টপ্রহর ব্যাপী মৌড়ীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ অনুষ্ঠান “শ্রী শ্রী হরিনামযজ্ঞ মহোৎসব” ০৮ ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য বিধি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অষ্টপ্রহর ব্যাপী হরিনামযজ্ঞ মহোৎসব উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছে মৌড়ী গ্রামবাসী ও পারিজাত যুব সংঘ। গত ০৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার মঙ্গল ঘট স্থাপন ও পারিজাত গীতা নিকেতনের শতকন্ঠে গীতা পরায়ণ এবং শ্রীল শ্রীমৎ অনন্ত দাস মোহন্ত মহারাজ-এর শ্রীমদভগবদগীতা আলোচনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো মহোৎসব।

০৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ব্রাহ্ম মুহূর্ত হতে অষ্টপ্রহর হরিনাম যজ্ঞে বিখ্যাত দল সমূহ শ্রীহরিনাম কীর্ত্তণ করেন। দলগুলো হলোঃ-

(১) শ্রী শ্রী গোপাল সংঘ,চুনারুঘাট,হবিগঞ্জ।
(২) শ্রী শ্রী নিতাইগৌর সম্প্রদায়,মাসকান্দি, মৌলভীবাজার।
(৩) শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ সম্প্রদায়,হবিগঞ্জ।
(৪) শ্রী শ্রী গৌরবাণী সংঘ,মৌড়ী,বাহুবল,হবিগঞ্জ। তারপর দুপুর ০২ঃ০০ ঘটিকায় অষ্টপ্রহর হরিনামযজ্ঞ মহোৎসবে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভক্তরা আসেন এবং আগত ভক্তদের মাঝে আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
০৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার পূণ্য উষালগ্নে কৃষ্ণনাম মহামন্ত্র সংকীর্ত্তণ সহযোগে নগর পরিক্রমা শেষে  দধিভাণ্ড ভঞ্জন সহকারে মোহন্ত বিদায় ও মহোৎসবের সমাপন ঘটে। উক্ত দধিভান্ড ভঞ্জন পরিবেশনায় ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার জনপ্রিয় শ্রী বিদ্যুৎ মল্লিক। দধিভান্ড ভঞ্জনের পর উপস্থিত গৌর ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। মহাপ্রসাদ বিতরণে ছিলেন পারিজাত যুব সংঘের সেচ্ছাসেবীরা।

করোনা মহামারীর সময়ে ১১তম বর্ষে পা দেওয়ায় পারিজাত যুব সংঘ উক্ত অষ্টপ্রহর ব্যাপী হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান সফল ও স্বার্থক করে তোলার জন্য দায়িত্বে ছিলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রী শশাঙ্ক পাল ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রদীপ পাল,সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী মোহিত পাল,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শ্রী প্রদেশ পাল ও সাজসজ্জা সম্পাদক শ্রী নিদুল পাল এবং নিতাই পাল সহ সকল সদস্যরা।
শ্রী শ্রী হরিনামযজ্ঞ মহোৎসব অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন সার্থকতার জন্য সকল ভক্তচরণে প্রণতিপূর্বক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পারিজাত যুব সংঘ পরিবারের সকল সদস্য সদস্যাবৃন্দ।
উৎসব পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শ্রী রামকুমার পাল ডেইলি সিলেট নিউজ 24’কে বলেন,’ প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সর্বপ্রকার বিধি নিষেধ ও কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য বিধি পালন পূর্বক মহোৎসব সুন্দরভাবে সমাপন করতে পেরেছি। বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ এখানে সব ধর্মের বসবাস। এখানে একে অপরের সাথে ভাতৃত্ব বন্ধনে যুক্ত। একে অপরের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোন ধর্মই খারাপ বা মন্দ কাজ কে সমর্থন করে না। আমরা সবাই ভাল কাজ করে যাব অবশ্যই তার ফল ভাল হবে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশে ধর্ম যারযার হলেও যে কোন উৎসবে আমরা স্বতপূর্ত ভাবে আমরা অংশগ্রহন করি ‘।