থমকে আছি
নাজমুন নেসা পিয়ারি
কাছের দূরের
তৃণভূমি, পাহাড়,
শষ্যের মাঠ, রুক্ষ প্রান্তর
শহর, নগর,
গ্রাম,
নদী ও সাগর
টেনে দিল সীমানা —
তোমার আমার চৌকাঠে।
জনপথে, রাজপথে
নিষেধাজ্ঞা!
তোমার ঘরের বাহিরে
আমার পথ ঘোষে
যেতে যেতে বাধা!
দেশ থেকে দেশে
দেশান্তরে!
শৃঙ্খলে বাধা
মলিন সীমান্ত।
বাঁধা কি যায় সব
কোয়ারেনটাইনে —-
কিশোর-কিশোরি,
যুবক-যুবতী!
ছোট-বড়
কর্মকর্তা —
বৈজ্ঞানিক, রাজনীতিবিদ,
শিক্ষার্থী, প্রফেসর,
প্রতিবন্ধী,
বিপ্লবী, শ্রমিক,
কৃষক, মজুর, ভিখারি,
দেহকর্মি, একমুখি, সমকামী —
রাস্তায় ফুল হাতে
ক্ষুধার্ত মেয়েটি।
সফল, উজ্জ্বল
ছেলের কাঁধে
সস্নেহে
আলতো হাত রেখে
মমতায় শিক্ষক
জানাবেন না স্বীকৃতি!
ডাংগুলি খেলতে গিয়ে
গ্রামের দুষ্টু ছেলেটি
আছড়ে পড়বে না
বন্ধুর গায়ে!
ঢেউয়ের ওপরে
দুলে উঠে ঢেউ!
আকাশে মেঘেরা একাকার
সবুজ ক্লোরফিল
সজীব বাতাসে—
সমুদ্রে ডলফিন
নেচে ওঠে!
পাখীরা উড়ে যায়
উষ্ণতার স্বপ্ন নিয়ে বুকে
ঝাঁকে, ঝাঁকে
এ ওর কাছ ঘেঁষে
শীতের করুণা ছাড়িয়ে।
কফিঘর, রেস্তরায়
ভাল লাগা মেয়েটিকে
কোন অজুহাতে
শিহরণ ছাপিয়ে
ছুঁয়ে দেয়া যাবে না।
রাষ্ট্রীয় সফরে
পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকেন
প্রেসিডন্টের তফাতে —
ঠোঁটের কোনে
লুকানো বাঁকা হাসি
মাসকের আড়ালে!
কাছে ঝুঁকে
নিম্নস্বরে
করেনা উচ্চারণ
তাৎক্ষণিক কোন বাক্য!
ভুলেও যদি কিছু ভুল হয়
সোশাল ডিসটেনসে
সোশাল মিডিয়া তবে
তুলে দেবে ঢেউ।
দুপুর গড়িয়ে
গোধুলি রং ছড়ায় —
প্রকৃতি নানা সাজে
প্রচুর্যে ভরপুর!
দুজনে মুখোমুখি —
নীবিড় ঘন ভালবাসায়
ভরে তুলবে না চুম্বনে, চুম্বনে!