সরোয়ার উদ্দিন নিরব
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৩৪ হাজার ৮১৩ জন ভোটার ১৭টি কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন।তরুণ প্রজন্ম সব সময় ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে।তবে পক্ষে বিপক্ষে মতামত যাই থাক না কেন ইসির বড় চ্যালেঞ্জ ভোটার উপস্থিতি নিয়ে।
ব্যালট পেপারের মতো কেউ ইচ্ছা করলেও ইভিএমে ভোট জালিয়াতিও করতে পারবেন না।ভোটার যদি ভোট দিতে কেন্দ্রে না যান, তাহলেও তার ভোট অন্য কেউ দিতে পারবেন না।এর মধ্যে এমন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে যার ভোট কেবল তিনিই দিতে পারবেন।একবার ভোট হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার ভোট দেয়ার কোন সুযোগ থাকছে না। ফিঙ্গার প্রিন্ট অথবা এনআইডি অথবা ভোটার নম্বরের মাধ্যমে যাচাইয়ে ভোটার শনাক্ত হওয়ার পরই কেবল একজন ভোটার ভোট দিতে পারবেন।ভোটারের এই শনাক্তকরণ ডিসপ্লেতে পোলিং অফিসার বা এজেন্টরা দেখতে পাবেন। মোটকথা একজন ভোটার শনাক্ত হওয়ার পরই কেবল ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড হওয়ায় অনুমোদিত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কারও পক্ষে এটি অপারেট করার সুযোগ থাকছে না। ইভিএম ছিনতাই করে নিয়ে অবৈধ ভোট দেয়াও সম্ভব হবে না। যেটা ব্যালট বাক্সের ক্ষেত্রে সম্ভব।ভোটদানের ক্ষেত্রে বায়োম্যাট্রিক ভেরিফিকেশন ও ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বিধায় কেন্দ্র দখল করেও ভোট দেয়া সম্ভব হবে না।একজন ভোটার যাচাই-বাছাইয়ের পরই তিনি কেবল ভোট দেয়ার জন্য বুথে প্রবেশ করতে পারবেন। বুথে প্রবেশের পর প্রতীক নির্ধারণের সাদা বাটনে চাপ দেয়ার পরই ভোট নিশ্চিত করতে সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে।সবুজ বাটনে চাপ দেয়ার পর ভোট সম্পন্ন হয়েছে বলে ধন্যবাদ সূচক শব্দ হবে।এরপর হাজারবার বাটন চাপলেও কারও পক্ষে দ্বিতীয়বার ভোট দেয়া সম্ভব হবে না।ভোট শেষে অতিদ্রুত ভোট গণনা করা সম্ভব হবে।