শিরোনাম
জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে জুবায়ের আহমদ মনি তালুকদার ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুবের লস্কর
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

হবিগঞ্জের হাওর গুলো তে বন্ধ হচ্ছে না অতিথি পাখি শিকার।।

Coder Boss / ২৮৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০

রিতেষ কুমার বৈষ্ণব (হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি)

হবিগঞ্জ জেলায় পাখি শিকার রোধে প্রশাসনের কঠিন হুশিয়ারী থাকা সত্বেও বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি শিকারীদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। বন্ধ হচ্ছে না পাখি শিকার।

পাহার,বন- জঙ্গল, নদী- নালা, হাওর- বিল, গাছ -পালা সহ সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা অপরূপ সাজে সু-সজ্জিত এবং মাছ, বন্য প্রাণী, এবং পাখিদের আবাস স্থল আমাদের এই সিলেটের মাটি।

শীতের তীব্রতা যতই বাড়ছে তার সাথে সাথে অতিথি পাখিদের আগমন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে পূন্য ভূমি সিলেটের মাটিতে।

সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা গুলোর তুলনায় হবিগঞ্জ জেলার ৯ টি উপজেলায় তুলনা মূলক ভাবে খাল- বিল, নদী- নালা সহ গাছপালার পরিমান একটু বেশিই রয়েছে, প্রচুর পরিমাণ ফসলী জমি ও থাকায়, পাখিরা হবিগঞ্জের দিকেই ছুটে আসছে।

বিভিন্ন এলাকার হাট বাজার এবং হাওরের আশপাশের পয়েন্ট গুলোতে পাখি ক্রয় বিক্রয় এবং বিভিন্ন সময় শিকারীদের আনা গোনা টের পেয়ে বেশ কিছু দিন যাবত আমাদের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির তথ্য অনুসন্ধান শুরু হয়।

অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে পাখি শিকারের অজানা কাহিনী এবং পাখি শিকার করার বিভিন্ন কৌশল।

দিনের শেষের দিকে পাখিদের আনাগোনা আংশিক চোখে পড়লেও সন্ধ্যার পরে পাখিদের ডানার শো শো আওয়াজ এবং আকাশে বিচরন চোখে পড়ার মতো।

প্রতি রাতের শেষের দিকে ও হরেক রকম পাখিদের ডাক লক্ষ্য করা যায়।

একশ্রেণীর চতুর প্রকৃতির শিকারী গন সুযোগ কাজে লাগাতে সন্ধ্যা থেকেই পাখির গন্তব্য অনুসরণ করে হাওর, নদী – বিল এলাকার পরিচিত লোক জনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাখিদের অবস্থান নিশ্চিত হতে থাকে।

চিকন সূতা দিয়ে তৈরি পাখি ধরার ফাঁদ, আবার কেউ বা বন্দুক ও এয়ারগান নিয়ে হাওরের দিকে সংঘবদ্ধ ভাবে ছুটতে শুরু করে।

যে দিকে পাখি গুলো উড়ে যায় সেই দিকেই পাড়ি জমায় শিকারীর দল।

রাতের প্রথম দিকে পাখিরা মুক্ত আকাশের অনেক উপর দিকে উড়তে শুরু করে এবং উপর থেকেই খাদ্য আহরণ যোগ্য স্থান নির্ধারণ করে নেয়।

যেখানেই জলমগ্ন নিচু ভূমি পাখিদের চোখে পড়ে, সেখানেই শুরু হয় পাখিদের কিচির মিচির শব্দ, এই শব্দ যেন পাখিদের খুশির সংকেত।

শো- শো আওয়াজ তোলে বিমানের গতিতে ছুটে চলা পাখি গুলো নিমিষেই জড়ো হয়ে গুলাকার আকৃতি ধারণ করে।
চোখের পলক মারতে মারতে মূহুর্তের মধ্যেই অনেক উপর থেকে নেমে পড়ে জল মগ্ন নিচু জমিতে।

খাদ্য আহরণের জন্য বিচরণ করতে থাকে পুরো এলাকা জুড়ে।

খাদ্য গ্রহণ পরিপূর্ণ হয়েগেলে রাতের শেষের দিকে আবারও শুরু হয় কিচিরমিচির শব্দ, এ যেন একে অপরের সাথে কথোপকথন।

নিরাপদ গন্তব্য স্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য সব পাখিরা আবারো জড়ো হয়ে যায় এক সাথে ডানা মেলে উড়তে শুরু করে ।

তবে তখন আর পাখিদের আগের মতো হুট করেই আকাশের দিকে উঠে যাওয়া সম্ভব হয়না, কারণ খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে পাখি গুলো থাকে ক্লান্ত।

পালকে কাদা আর পানি লাগায় এবং পেটে খাবার থাকায় শরীর থাকে ভারী।
মুক্ত আকাশ মনে করে অনেকটা নিচের দিকেই ডানা মেলে উড়তে শুরু করে ক্লান্ত পাখি গুলো।

প্রায় কয়েক’ শ গজ জায়গা মাটির সাথে ঘেঁষেই উড়ে যেতে দেখা যায় ।

পাখিদের ডানার শো শো আওয়াজ আর কিচিরমিচির শব্দ পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা চতুর শিকারী গন আঁচ করতে পেরে,
পাখিদের এই দুর্বলতার সুযোগ কে কাজে লাগাতে কয়েক ‘শ গজ জায়গা জুড়ে

চিকন সূতার তৈরি ফাঁদ, লম্বা বাঁশের খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখে।
নিতে থাকে পাখি ধরার প্রস্তুতি।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাখিদের ডানার ঝাপটা ঝাপটি আর বিকট আওয়াজ যেন অন্য পাখিদেরকে বিপদ সংকেত দেওয়া হচ্ছে, মূহুর্তের মধ্যেই থমকে গিয়ে ঝাঁক ভেঙ্গে এলোপাতাড়ি ভাবে উড়তে শুরু করে মুক্ত পাখি গুলো।

আবার ফাঁদে আটকে যায় অধিকাংশ পাখি। তাৎক্ষণিক ধরে নিয়ে বস্থায় অথবা খাঁচায় বন্দী করে নেওয়া হয় পাখিদের।

আগাম অর্ডার করা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের বাড়িতে।

আবার মোবাইলে যোগাযোগ করে কোন কোন ক্রেতা গন নিজেই কিনে নিয়ে আসেন পছন্দ মতো পাখি।

পাখির মাংস কেখো ভদ্রবেশী পয়সা ওয়ালারা একটু বেশি মুল্যে হলেও গোপনে মিটিয়ে নেন পাখির মাংসের স্বাদ।

অল্প টাকায় পাখি পেতে এবং অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমাজের কিছু নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষকে পুঁজি দিয়ে ব্যবসার ও সুযোগ করে দিচ্ছে লোভী প্রকৃতির টাকা ওয়ালারা।

এই রকম চলতে থাকলে অতিথি পাখিদের দেখা বাংলাদেশে আর কখনও মিলবেনা বলে ধারনা করছেন প্রকৃতি প্রেমী সচেতন মহল ।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাখি শিকারীদের উপর ২-৩ দিন প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা করে কয়েক জন শিকারীদের সাজা প্রদান করা হলেও এখন ঠিক আগের মতই অবাধে পাখি শিকার চলমান রয়েছে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাওর গুলো সহ বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবী গঞ্জ, লাখাই, এবং মাধপুরের হাওর গুলো থেকে পাখি শিকার করে এনে বিভিন্ন হাট বাজারে ভোর বেলা পাখি বিক্রি করতে লক্ষ্য করা যায়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্ম কর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান

আমি এখানে নতুন এসেছি সকল এলাকা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছি পর্যায়ক্রমে সকল এলাকা পরিদর্শন করব, বন্য প্রাণী ও অতিথি পাখি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

বন্য প্রাণী হত্যা কারী এবং অতিথি পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহীত আছে বলে ও জানিয়েছেন তিনি ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন