সত্যজিৎ দাস,বাহুবল(সংবাদ প্রতিনিধি)
পপি, স্বপ্না, সুমি, লিপি, মালা, শান্তা, মমতা, নাজমা, কমলা, রুজিনা, নাতাশা, শাইনি। এরা সকলেই নগরীর চিহিৃত নারী। তাদের পেশা চুরি। বাড়ি সিলেটে না হলেও বসবাস নগর ও শহরতলীতে। বোরকা লাগিয়ে নগরজুড়ে ঘুরে বেড়ায় তারা। সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন মার্কেটে মার্কেটে দেয় ঢুঁ। আর সুযোগ পেলেই ছিনিয়ে নেয় মোবাইল কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক বার জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ প্রসিকিউশনের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করলেও বেশিদিন কারাবাস করতে হয়নি। জামিনে বেরিয়ে এসে আবার চুরির ধান্ধা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নারী প্রতারক চক্রটি চুরি করতে গিয়ে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তারা নগরের বিভিন্ন হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী সেজে যায়। সেখানে ‘টার্গেট’ ঠিক করে সেই টার্গেটের সাথে একই লাইনে দাঁড়ায়। তারপর সুকৌশলে টার্গেট ব্যক্তিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ব্যাগ থেকে মোবাইল,টাকা ও মূল্যবান জিনিস নিয়ে দ্রুত সহযোগীর কাছে পাচার করে দেয়।
*ব্যবসা প্রতিষ্ঠান : নগরীর বিভিন্ন কাপড় ও কসমেটিকসের দোকানে এই চক্রের সদস্যরা ৩-৪ জন একসাথে প্রবেশ করে। তাদের সাথে থাকে ৮-১০ বছরের এক বা একাধিক বাচ্চা। দোকানে ঢুকেই তারা কর্মচারী বা ব্যবসায়ীদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে। একেকজন একেক পণ্য দেখাতে বলেন। এ সময় সাথে থাকা বাচ্চা দোকানের ক্যাশে থাকা টাকা বা মোবাইল নিয়ে সটকে পড়ে। একই পন্থায় তারা স্বর্ণের দোকানেও চুরি করে থাকে।
*ক্বিনব্রিজ : রাত একটু ঘনিয়ে আসলে নারী চোরচক্রের সদস্যরা নগরীর ক্বিনব্রিজের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সেতু পারাপারকারী পুরুষদের ঘিরে ধরে আপত্তিকর ছবি তুলে টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়। কেউ না দিলে পুরুষ সহযোগিরা এগিয়ে এসে চোরচক্রের মহিলাদের সাথে আপত্তিকর ছবি তুলে টার্গেটকৃত পুরুষের। অতঃপর মান-সম্মানের ভয়ে ঐ পুরুষের সাথে থাকা টাকা, মোবাইল সব দিয়ে চলে যান। ক্বিনব্রিজ ছাড়াও এই নারী অপরাধীদের তৎপরতা রয়েছে সুরমা পয়েন্ট, কদমতলী বাসস্ট্যান্ড,রেলওয়ে স্টেশন ও ওসমানী শিশু পার্ক এলাকায়।