সত্যজিৎ দাস,বাহুবল(সংবাদ প্রতিনিধি)
জীবনের তাগিদে অনেক সময় সহধর্মিনীকে সময় দিতে পারি না। এখন আমি রাজসাক্ষী মা হওয়া যে কত কষ্টের যা আমি আমার সহধর্মিনী কে দেখে বুঝতে পেরেছি। তারপরেও মেয়েরা অনেক কষ্ট করে কাজ করে যায়,অনেক সময় হাসিমুখে অভিনয় করে যায়।
মাতৃত্বকালীন ১০ মাস ১০ দিনের যে কষ্ট,আমরা ছেলেরা কতটুকু বুঝি?
প্রেম করার সময় আমরা অনেক কিছুই বলে থাকি কিন্তু বাস্তবে বিবাহিত জীবনে কতটুকু ঘরের লক্ষী কে সময় দেই? তা ভেবে দেখার বিষয় আপনার আমার সবার?
মনে রাখতে হবে সহধর্মিণী শুধু বিছানায় আপনার কাম সঙ্গী নয়,আর ঘরের দাসী নয়।ওরা নারী,ওরা “মা”,আর সবথেকে বড় পরিচয় ওরাও মানুষ,ওরাই এই পৃথিবীর শক্তি সঞ্চালক এবং ভারসাম্য রক্ষাকারী।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা ” মা”কে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শত কোটি প্রণাম।
ঈশ্বরের কৃপায় আর অল্প কিছুদিন পরই আমার জাদু সোনা পৃথিবীর আলো দেখবে। আশীর্বাদ ও দোয়া করবেন,যেন মানুষের মতো মানুষ বানাতে পারি।
অর্থ মুখ্য বিষয় নয়,প্রয়োজন শুধু একটু ভালোবাসা,শ্রদ্ধা,সম্মান। স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা কখনো শেষ হওয়ার নয়।
কে কি বলল কখনো পরোয়া করি না।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও যতটুকু সম্ভব সময় দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি ও যাবো। নিজের হাতে বানানো টোস্ট আর মাংস রান্না করেছি।
ঈশ্বরকে বলি পৃথিবীর প্রত্যেকটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এর থেকেও যেনো আরও গভীর হয়।। আমি এই বলে ইতি টানতে চাই
“সমাজের সকল কুসংস্কার দূর হোক”, স্ত্রী’কে ভোগের পণ্য ও কামবন্ধু হিসেবে নয়,মানুষ হিসেবে দেখুন। ঠাকুরঘরে বা মন্দিরে মায়ের রূপ দেবী কালী/লক্ষী কে শুধু পুজো করলেই হবেনা। নিজ ঘরের লক্ষীর প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে,ঘরের লক্ষী সন্তুষ্ট হলেই মায়ের রূপ ও নারী শক্তি র প্রতীক দেবীরাও সন্তুষ্ট হউন।।
জয় হোক মানবতার
জয় হোক শ্রমজীবী মানুষের
জয় হোক মানব মন্দিরের।।