রিতেষ কুমার বৈষ্ণব,এইচ,জে,পিঃ
অসুস্থ হয়ে টাকার অভাবে মরন যন্ত্রণায় ছটফট করছে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৩নং ইউনিয়নের ছিলাপাঞ্জা গ্রামের ১০ বছরের শিশু জিহাদ।
জানা যায়- গত মে মাসের ৪ তারিখে পাখির বাচ্চা আনতে গিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে জিহাদ। নিজের অজান্তেই বৈদ্যুতিক লাইনে হাত লেগে যায় জিহাদের। এতে বিদ্যূৎ স্পৃষ্ট হয়ে জিহাদ গুরুতর আহত হয় এবং একটি হাত ও একটি পা ঝলসে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় জিহাদকে সিলেটের এম.এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও জিহাদের অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগনের পরমর্শে জিহাদের একটি হাত অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়।
দারিদ্রতা আর অভাব, অনটনের কারণে আট সদস্য বিশিষ্ট সংসারের হাল ধরতে গিয়ে চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার আগেই বাড়িতে নিয়ে আসতে হয় জিহাদকে।
বাড়িতে এসে অভাবের কারনে চিকিৎসা হিনতায় জিহাদের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রতি ৩ দিন পর পর বানিয়াচং থেকে হবিগঞ্জ শহরে নিয়ে যেতে হয় ড্রেসিং এবং থেরাপী দেওয়ার জন্য। এতে খরচ হয় ২- ৩ হাজার টাকা।
৪ মেয়ে এবং ২ ছেলের মধ্যে সংসারের হাল ধরার মতো তেমন কেউ না থাকায়, পরিবারের একমাত্র ভরসা ৪৫ বছর বয়সী দিনমজুর সেবুল মিয়া এবং ১৪ বছরের ছেলের সামান্য আয়ে কিছুতেই জিহাদের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না পিতা সেবুল মিয়া।
আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় এতটুকু চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিহাদের বাবা সেবুল মিয়া।
এই বিষয়ে সেবুল মিয়ার স্ত্রী দুলেনা খাতুন বলেন – যদি আমার জায়গা সম্পত্তি থাকতো তাহলে বিক্রি করে হলেও ছেলেকে চিকিৎসা করাতাম। ভিটেমাটি ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। আমার চোখের সামনে নিজের গর্ভের সন্তানের মরন যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখলে কষ্টে আমার বুক ফেটে যায়, সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আমার আর কোন ভরসা নাই। সরকারি সহায়তার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান চিকিৎসার শুরুতে বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের সদ্য বিদায়ী কর্মকর্তা মাসুদ রানার মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা আর্থিক সহয়তা পেয়েছি। সন্তানটিকে বাঁচাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
যোগাযোগ –
জিহাদের বাবার মোবাইল নাম্বার –
01703259831
উনার নিজস্ব বিকাশ নাম্বার নিচে দেওয়া হলো-
01795126372