Categories
সারা বাংলাদেশ

টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন এস টি এম ফখর উদ্দিন

রাজা মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এস টি এম ফখর উদ্দিন।
৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে মটর সাইকেল প্রতীকে ৫৩১৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রার্থী নূর উদ্দিন নুনু আনারস মার্কা নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৫২০৬, নৌকা ৩৩৮৮,ঘোড়া ১৩৬ ও চশমা ৭৩৬ ভোট পেয়েছেন।
মোট ১৩ টি কেন্দ্রের ফলাফল শেষে পূর্ণরায় ৯১ টি ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
বিজয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও ইউনিয়নের সকল ভোটারদের
প্রতি কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রকাশ করে তাদের শুভেচ্ছা জানান।

টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন এস টি এম ফখর উদ্দিন

Categories
আলোচিত সংবাদ

বাহুবলে ২ টিতে নৌকা ও ৫ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী।

সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ ধাপে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় ৩১ জানুয়ারি সোমবার ৭ টি ইউনিয়নে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যাতীত, ইভিএম মেশিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত উপজেলার ২টিতে আ.লীগ মনোনীত নৌকা ও ৫ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

(১) ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হক(ঘোড়া) ৩৩৪৬,মোঃ তাজুল ইসলাম(আনারস) ২৭২৪,মুদ্দত আলী (মোটরসাইকেল) ২২২১,হারুন অর রশীদ(নৌকা) ২২২০ ও মনোরঞ্জন রায়(চশমা) প্রতীকে ১৬৫৯ ভোট পেয়েছেন।

(২) ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী মুদ্দত আলী(নৌকা) ৫৯৫৮,স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম(ঘোড়া) ৫০১১, শাহ ফয়জুল কবির (আনারস) ২৪১ ও মঈন উদ্দিন আরিফ (চশমা) প্রতীকে ১৯৯ ভোট পেয়েছেন।

(৩) ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুর রেজ্জাক(আনারস) ৪৮০৬, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রবীণ নেতা শাহ মোঃ আবদাল মিয়া (লাঙ্গল) ৪০০০ এবং আওয়ামিলীগ মনোনীত প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র পাল(নৌকা) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৩১ ভোট।

(৪) ৪নং বাহুবল সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আজলম হোসেন চৌধুরী(ঘোড়া) ৭৪০৮, আ.লীগ মনোনীত তরুণ প্রার্থী মোঃ রিফাত ইসলাম মুরাদ (নৌকা) ২৩৯০,স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজল তালুকদার (আনারস) ১৫৭৭ এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী(লাঙ্গল) প্রতীকে পেয়েছেন ১০২৩ ভোট।

(৫) ৫নং লামাতাসি ইউনিয়নে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর জাতীয় পার্টি মনোনীত আ.ক.ম. উস্তার মিয়া তালুকদার (লাঙ্গল) ৩২৪৮,স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহিন মিয়া (আনারস) ২৪৪৯ ও হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু (চশমা) ২১৩২,এস এম ফারুক (ঘোড়া) ১৫৮৭,আ.লীগ মনোনীত সাইফুর রহমান জুয়েল(নৌকা) ১৫২৩ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী
আব্দুল কাইয়ুম (চেয়ার) প্রতীকে পেয়েছেন ৬৮ ভোট।

(৬) ৬নং মিরপুর ইউনিয়নে মোঃ শামীম (চশমা) ৩৯১১,আওয়ামিলীগ মনোনীত মোঃ সাইফুদ্দিন (নৌকা) ২৭১৯,মীর এ কে এম জমীলুন্নবী (টেবিল ফ্যান) ১৭৫১ এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আওয়াল(মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ১৩৭৬ ভোট।

(৭) ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ মনোনীত কামরুজ্জামান (নৌকা) ৫৯০৮,স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুর রউফ বাহার (চশমা) ৪৯৬৬ এবং মোঃ জুনাইদ মিয়া (ঘোড়া) প্রতীকে পেয়েছেন ২২১০ ভোট।

উল্লেখ্য যে,বাহুবল উপজেলায় মোট ৭৬টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোট ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৭০। তন্মধ্যে পুরুষ ৭২ হাজার ৭১২ ও মহিলা ৬৮ হাজার ৫৪। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪০ চেয়ারম্যান, ১০২ সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ৩২৬ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ২৯ জানুয়ারি রোজ শনিবার সবকটি কেন্দ্রে মক (প্রশিক্ষণ) ভোটের আয়োজন করলেও সাড়া মেলেনি ভোটারদের,এমনকি ভোটের দিন ৩১ জানুয়ারি সোমবার নতুন-পুরাতন মিলিয়ে প্রায় ৪০ ভাগ ভোটারই ইভিএম-এ ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতা সহ ভোটার তালিকায় নাম ও সিরিয়াল না থাকার কারণে ভোট প্রদান করতে পারেননি।

বাহুবল উপজেলা নির্বাচন অফিস ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে ১০ ম্যাজিস্ট্রেট,বিজিবি’র ৮০,র‌্যাব-এর ৪৩ পুলিশ-এর ৮৬০ ও আনসার বাহিনীর ১,২৯২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ইভিএম মেশিন পরিচালনায় অভিজ্ঞ ২ জন করে অপারেটর প্রতিটি কেন্দ্রে এবং প্রতি তিন কেন্দ্রের জন্য একটি করে ইভিএম বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলার ৭৬ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুকিপূর্ণ ৩৪টি এবং ২২টিকে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছিলো।

Categories
অপরাধ

কানাইঘাটে এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

 

সিলেটে র কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়খেওড় এলাকায় দুবৃত্তরা কুপিয়ে ফরিদ উদ্দীনাসে এক যুবক হত্যা করেছে
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বড়খেওড় গ্রামে এফআইবিডিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদ উদ্দিন বাড়ি স্থানীয় খাসাড়ীপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যান কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করছে পুলিশ।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফরিদ উদ্দিন মোটরসাইকেলযোগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ভায়রাভাই শাহীন অাহমদকে নিয়ে স্থানীয় মমতাজগঞ্জ বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বড়খেওড় এফঅাইবিডিবি স্কুলের সামনে অাসামাত্র কয়েকজন দুর্বৃত্ত ফরিদ উদ্দিনের গতিরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। গুরতর আহত অবস্থায় প্রচুর রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফরিদ। দুর্বৃত্তদের হামলায় ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে থাকা তার ভায়রাভাই শাহীন অাহমদও অাহত হন।তবে কারা ফরিদ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।নিহতের স্বজনরা জানান, ফরিদ উদ্দিন তার ফেসবুকের নিজস্ব অাইডিতে এনাম খান নামে এক ব্যক্তি তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। যা গত কয়েকদিন থেকে ফরিদ উদ্দিন তার ফেসবুক অাইডিতে পোস্ট দিয়ে অাসছিলেন। এর জের ধরে এ হত্যাকান্ডটি ঘটতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।কানাইঘাট থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের অাটক করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Categories
অপরাধ

বানারীপাড়ায় সংখ্যালঘুর উপর হামলা, নারী ও শিশুসহ আহত ৫ জন ,থানায় অভিযোগ দায়ের

বরিশাল প্রতিনিধি:

বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার অভিযোগে বানারীপাড়া থানায় ২ জনকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাছ রং গ্রামের মৃত্যু আঃ গনি হাওলাদারের ছেলে সহিদুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলামকে আসামী করে পিতা মৃত্যু হেমন্ত মিস্ত্রির ছেলে লিটন মিস্ত্রি বাদী হয়ে এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগে জানা যায় গতকাল সকালে সহিদুল ও সাইদুল গং লাঠিসোটা ও হাতুরী নিয়া লিটন মিস্ত্রির বাড়ির সামনে এসে অহেতুক গালি গালাজ করে লিটনদের ঘর থেকে বের হতে বলে। লিটন গালি গালাজের প্রতিবাদ করলে সাইদুল ও সহিদ হাতে থাকা লাঠি ও হাতুরী দিয়া এলোপাথারী আঘাত করে। স্বামীকে বাঁচাতে এলে তার স্ত্রী শান্তনা রানীর উপর ও তারা হামলা চালায় এবং তার শ্লীলতাহানীকর ঘটনা ঘটে।

লিটনের পকেটে থাকা ৭৩০০ টাকা সাইদুল ছিনাইয়া নিয়ে যায় বলে অভিযোগে জানা যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় কমল মিস্ত্রির স্ত্রী নমিতা মিস্ত্রি, তার বৃদ্ধ শ্বাশুরী রেনুবালা মিস্ত্রি ও হামলার স্বিকার হয় এবং কমল মিস্ত্রির ১১ বছরের ছেলে কৌসুক মিস্ত্রি খালে ছুড়ে ফেলে দেয়।তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালাইয়া গেলে আহতদের বানারীপাড়া স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

লিটন মিস্ত্রিকে প্রাথমিক চিকিৎসা ছেড়ে দিলে ও লিটনের স্ত্রী শান্ততা মিস্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি।

Categories
আলোচিত সংবাদ

সদ্য বিবাহিত সুরমান আলী হত্যার সুষ্ট তদন্ত ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে নরসিংপুরে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গত ২৩ শে জানুয়ারি দোয়ারা বাজার উপজেলাধীন নরসিংপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র নরসিংপুর বাজারে বিকাল ৫ ঘটিকায় বেপরোয়া চালক ওমর ফারুকের পিক-আপ ভ্যানের ধাক্কায় চাপাপরে আহত হয়, পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত্য বলে ঘোষণা করেন।

সদ্য বিবাহিত সুরমান আলী হত্যার সুষ্ট তদন্ত ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে নরসিংপুরে মানববন্ধন।
দীর্ঘ এক সাপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোন সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ায় ঘিলাছড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে গত ৩০/০১/২০২২ এক মানববন্ধন আয়োজন করেন
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পুষ্পায়ন সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি জনাব ফখরুদ্দিন, মেধাবিকাশ নরসিংপুর এর সভাপতি শাহিন আহমেদ, আব্দুল আই ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মাহফুজুর রহমান বাহার, আল হাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম এর সভাপতি মকবুল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সামাজিক সংগঠন লাইফ শেয়ার এর সভাপতি মুহিবুর রহমান, সমাজকর্মী আবিদ রনি, তরুণ সমাজ কর্মী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফখরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ কর্মী ও ক্রীড়াবিদ মনোয়ার আলী মনোয়ার, বাজার ব্যবসায়ীবৃন্দ ও নরসিপুর ইউনিয়নের সর্বস্থরের সচেতন নাগরিক।
ঘিলাছড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ সংস্থা এর সভাপতি ফখর উদ্দিন ও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ

বক্তারা স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণে বলেন ৭২ ঘন্টা ভেতরে অপরাধীকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ করেন।

Categories
সিলেট-বিভাগ

বাহুবলে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা’র মধ্যে চলছে ভোট।

সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে আজ চলছে ভোট। উক্ত উপজেলার ৭৬ কেন্দ্র প্রস্তুত। উপকরণ পৌঁছেছে যথারীতি। প্রার্থীরাও সেরে নিয়েছেন শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। তবে,ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ অনুষ্ঠিতব্য এ ভোটকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। একেবারেই নতুন এ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিতে নির্বাচন কমিশন গত ২৯ জানুয়ারি রোজ শনিবার সবকটি কেন্দ্রে মক (প্রশিক্ষণ) ভোটের আয়োজন করলেও মেলেনি ভোটারদের তেমন সাড়া পাওয়া যায় নাই।
বাহুবল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোট ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৭০। তন্মধ্যে পুরুষ ৭২ হাজার ৭১২ ও মহিলা ৬৮ হাজার ৫৪। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪০ চেয়ারম্যান,১০২ সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ৩২৬ সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, আজ সোমবার(৩১ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে ১০ ম্যাজিস্ট্রেট,বিজিবি’র ৮০,র‌্যাব-এর ৪৩ পুলিশ-এর ৮৬০ ও আনসার বাহিনীর ১,২৯২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ইভিএম মেশিন পরিচালনায় অভিজ্ঞ ২ জন করে অপারেটর প্রতিটি কেন্দ্রে এবং প্রতি তিন কেন্দ্রের জন্য একটি করে ইভিএম বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। উপজেলার ৭৬ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুকিপূর্ণ ৩৪টি এবং ২২টিকে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছে।
(১) ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নঃ- স্নানঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে হারুন অর-রশীদ (নৌকা),মোঃ তাজুল ইসলাম (আনারস),মোঃ মুদ্দত আলী এডভোকেট (মোটরসাইকেল),মনোরঞ্জন রায় (চশমা) ও মোহাম্মদ তোফাজ্জল হক (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা পদে সদস্য ১৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন লড়াই করছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৫৯ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৫১৪ ও মহিলা ৯ হাজার ১৪৫ ভোট।

(২) ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নঃ- পুটিজুরি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোঃ মুদ্দত আলী (নৌকা), খোরশেদ আলম (ঘোড়া),শাহ ফয়জুল কবির (আনারস) ও মঈন উদ্দিন আরিফ (চশমা) এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৫১ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৮৬৫ ও মহিলা ৮ হাজার ৯৮৬ ভোট।

(৩) ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নঃ- সাতকাপন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নারায়ন চন্দ্র পাল (নৌকা), শাহ আব্দাল মিয়া (লাঙ্গল),মোঃ আব্দুর রেজ্জাক (আনারস), ফজলুল হক (ঘোড়া), আজিজুর রহমান তালুকদার (মোটর সাইকেল), মোহাম্মদ ছায়েদ আহম্মদ (দেওয়াল ঘড়ি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৫ জন শেষ লড়াইয়ে ব্যস্ত। উক্ত ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ১২৯ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৯৩ ও মহিলা ১১ হাজার ৩৬ ভোট।

(৪) ৪নং বাহুবল সদর ইউনিয়নঃ- বাহুবল সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে মোঃ রিফাত ইসলাম মুরাদ (নৌকা), নূর উদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (লাঙ্গল), আজমল হোসেন চৌধুরী (ঘোড়া) ও মোঃ কাজল তালুকদার (আনারস) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫০ জন লড়ছেন । এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৪১২ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ১০৩ ও মহিলা ১০ হাজার ৩০৯ ভোট।

(৫) ৫নং লামাতাসী ইউনিয়নঃ- লামাতাসী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সাইফুর রহমান জুয়েল (নৌকা), আ.ফ.ম. উস্তার মিয়া তালুকদার (লাঙ্গল), হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু (চশমা), আব্দুল কাইয়ূম (চেয়ার), এস.এম ফারুক (ঘোড়া)ও শাহীন মিয়া (আনারস) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৩ জন লড়ছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৩৩ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৫৯৭ ও মহিলা ৮ হাজার ২৩৬ ভোট।

(৬) ৬নং মিরপুর ইউনিয়নঃ- মিরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোঃ সাইফুদ্দিন (নৌকা), ডা. মোঃ রমিজ আলী (লাঙ্গল), মোঃ নূরুল হক আছকির (আনারস), আব্দুল আউয়াল (মোটর সাইকেল), মোঃ শামিম আহমেদ (চশমা), মীর একেএম জমিলুননব্বী (টেবিল ফ্যান), মোঃ হেলাল মিয়া (অটোরিক্সা), মোঃ আব্দুল মুতালিব রুবেল (ঘোড়া) ও মোঃ শামীম মিয়া (টেলিফোন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন ভোট যোদ্ধের শেষ লড়াই লড়ছেন । এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ১০৬জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ২০৩ ও মহিলা ৮ হাজার ৯০৩ ভোট।

(৬) ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নঃ- ভাদেশ্বর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কামরুজ্জামান (নৌকা), মোঃ শাহাব উদ্দিন (হাতপাখা), মোঃ আব্দুর রউফ বাহার (চশমা), মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী (আনারস), মোঃ মাখন মিয়া (মোটর সাইকেল) ও মোঃ জুনায়েদ মিয়া (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৬১ জন ভোট যুদ্ধের শেষ লড়াই লড়ছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৮০ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩৩৭ ও মহিলা ১১ হাজার ৪৪৩ ভোট।

বাহুবল উপজেলার এই ০৭ টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ৭৫ ভাগ ভোটারদেরই অভিযোগ,”আমাদের নাম ভোটার লিস্টে পাচ্ছিনা এবং ঐদিকে সেন্টারে ভোটার স্লিপ ব্যতীত গেলে দায়িত্বরত অফিসারেরা ভোট নিচ্ছেন না। উনারা বলছেন পরে আসতে,নতুবা স্লিপ নিয়ে আসতে” এমতাবস্থায় সেন্টারের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন প্রার্থীদের এজেন্টরাও বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়েছেন।

উক্ত সমস্যার বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান’কে ফোন করা হলে তিনি বলেন,’ এ সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতেছি। মোঃ মনিরুজ্জামান ডেইলি সিলেট নিউজ24”কে আরও জানান,’ সুষ্ঠু,সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার ৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ ধরেই সেই ভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে ৪ স্থরের নিরাপত্তা বাহিনী সার্বক্ষণিক কাজ করবে। আজ সোমবার(৩১ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে এবং ৪টা পর্যন্ত চলবে।