মোঃ মশিউর রহমান, টাংগাইল:
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় বড়হরা গ্রামের আব্দুর রশিদ দেওয়ানের মেয়ে হালিমা আক্তার ইশা(২১) তার লেখা “মানবতার জয়গান” বইটি দেশব্যাপী জনতার কাছে সাড়া পেয়েছে। বর্তমানে কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে সে(ইশা) সমাজকর্ম বিভাগে অনার্স করতেছে। তিন বোনের মধ্যে সে সবার বড়, মাত্র ১৪ বৎসর বয়স থেকেই লেখালেখি করে আসছে। স্কুল জীবনে যখন লেখালেখি করতো, তখন তার বন্ধুরা এসব নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতো। এতে তার খুব খারাপ লাগতো কিন্তু সে থেমে থাকেনি। জীবন যুদ্ধে চলছে তার কলম। তার লেখা সে চালিয়ে যায়। কোন রকম কারো সমর্থন ছাড়াই সে এই পথে একাই লড়েছে। তথ্যসূত্রে জানা যায়, তার(ইশা) পিতা আব্দুর রশিদ দেওয়ান, যিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও মাতা লায়লা বেগম, তিনি একজন গৃহিণী। জন্ম ২৯ মার্চ ২০০১ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার বড়হরা গ্রামে ইশার জন্ম। ইশা স্থানীয় স্কুল নোয়াপাড়া ময়েজউদ্দিন আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পি.এস.সি.(২০১২), জে.এস.সি(২০১৫), এস.এস.সি.(২০১৮) সালে পাস করেছে। ২০২০ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি মহাবিদ্যালয়, উত্তরা, ঢাকা থেকে এইচ.এস.সি. পাস করেছে। এ যেন নীড়হারা এক পাখি। প্রথম যৌথকাব্যঃ স্বাধীনতার বাঁশিওয়ালা(২০২০) কাব্যগন্থটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার স্বপ্ন পূরণ শুরু হয়। এই বইটি বের হওয়ার পর থেকে তার পরিবার বিশেষ করে লেখিকা হালিমা আক্তার ইশার মা লায়লা বেগম অনেক সমর্থন করে এমনকি লেখালেখির জন্য আগ্রহ দিতে থাকে। এ বিষয়ে হালিমা আক্তার ইশা’র সাথে কথা বললে সে জানায় তার ২য় যৌথ কাব্যগ্রন্থ অন্তর বৃত্তে স্বাধীনতা(২০২১) প্রকাশিত হয়েছে। “মানবতার জয়গান” তার একক কাব্যগ্রন্থ যা (২০২১) সালে প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি প্রতিবাদমূলক বই। সে সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, সমাজকে বিভিন্ন কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি প্রবৃত্তির প্রেক্ষাপট থেকে বাঁচাতে চায়। আর কিশোর বিভাগ থেকেই এই মনোভাব নিয়েই “মানবতার জয়গান” বইটি লেখা পুরস্কারঃডিজিটাল সাহিত্য আড্ডা (ডিসাআ) সম্মাননা-২০২০ পেয়েছে । তার লেখায় ফুঁটে উঠেছে বিদ্রোহী, দেশপ্রেম, সমাজ বিনির্মানের কাব্যডাক সহ সময়োপযোগী সত্যের আহ্বান। সে ভ্রমনপিয়াসী। শুধু তাই নহে, বাংলাদেশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যে সে মুগ্ধ। তার(ইশা) কাছ থেকে জানা যায়, বর্তমানে আরো কিছু লেখা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেছে। সামনে পাঠকদের জন্য ভালো কিছু আসছে বলে আশা করা যায়। এই ইশা অমৃত্যু লিখে যেতে চায়।