দীপঙ্কর সমাদ্দার:
সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদ তাদের ৪৫ তম সমাবর্তন উৎসব পালন করল দুদিন ব্যাপী কলকাতার মহাজাতি সদন মঞ্চে।
দেশ ও বিদেশের গুণীজনেরা উপস্থিত হলেন এই সমাবর্তন উৎসবে,মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন করলেন ঝাড়গ্রাম সাদুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক অমিয়কুমার পান্ডা। প্রধান অতিথির আসুন অলংকৃত করলেন আসাম ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য জিতেন হাজারিকা এবং উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অতিথি বাংলাদেশের যশোর শহরে অবস্থিত প্রাচ্যসংঘের প্রতিষ্ঠাতা,লেখক, গবেষক মাননীয় বেনজীন খান এবং বাংলাদেশ নওগাঁ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কায়েসুদ্দিন মহাশয়।
আরো গুণীজনদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়,ড: থাঙ্কু মুনি কুট্টি , পন্ডিত সমর সাহা,ড: মহুয়া মুখোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী শংকর রক্ষিত,অমিত চৌধুরী প্রমূখ।
বিশেষ আকর্ষণ ছিল পরিষদের পক্ষ থেকে “কলামনি” পুরস্কার এ সম্মানিত হলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়,চিত্রশিল্পী সমীর আইচ, এবং ও সঙ্গীত শিল্পী অলক রায় চৌধুরী ।
“কলা মনি ” পুরস্কার প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন প্রফেসর অমীয়কুমার পান্ডা, পরিষদের সম্পাদক শ্রী কাজল সেনগুপ্ত এবং অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়। চিত্রশিল্পী সমীরবাবু’র কন্ঠে পরিবেশিত গান অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকবৃন্দের মন জয় করে নিল। বিভিন্ন শিল্পের কৃতিত্বের জন্য সর্বভারতীয় অ্যাওয়ার্ড এ সম্মানিত হলেন সুশান্ত সরকার,ইন্দ্রজিৎ নারায়ণ, তরুণ কুমার দাস,শিবনাথ সর্ববিদ্যা,সঙ্গীতা চাকী, তপন সরকার,চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী,নির্মল চন্দ্র সিনহা সুমিত নাথ প্রমূখ।
একান্ত সাক্ষাৎকারে সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক কাজল সেনগুপ্ত জানালেন ৪৫ বছর ধরে পরিষদ শুধু ভারত নয় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করছে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানালেন সমগ্র পৃথিবী জুড়ে যে সমস্ত শিল্পপ্রিয় মানুষেরা পরিষদের আয়োজনে চিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে।
পরিষদের সহ-সম্পাদক শান্তনু সেনগুপ্ত জানালেন পাঁচ হাজারেরও বেশি সাংস্কৃতিক সেন্টার ৫ লক্ষের ও বেশি ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় এটা অত্যন্ত গৌরবের। তিনি আরো জানালেন,পরিষদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে যে সমস্ত চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল তার মধ্যে তিনটি ছিল আন্তর্জাতিক এর জন্য শান্তনু বাবু ভারতসহ বিদেশি চিত্রশিল্পীদের ধন্যবাদ জানালেন।
এই সমাবর্তনে ১২০০ জন ছাত্রছাত্রীকে সাংস্কৃতিক নানা ক্ষেত্রের জন্য সম্মানপত্র তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা। সমাবর্তনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা সঙ্গীত নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন যা ছিল অত্যন্ত দৃষ্টি নন্দন। সঞ্চালনায় ছিলেন দেবাশীষ বসু ও সংস্কৃতি পরিষদের সমাবর্তন উৎসব।
সিলেট নিউজ/সাহিত্য-সংস্কৃতি/ভারত/দীপঙ্কর সমাদ্দার/এসডি.