মোঃ মশিউর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় সংগ্রামপুর ইউনিয়ন তথা ০৪ নং ওয়ার্ডের ইউ.পি. সদস্য তোফায়েল আলম মিন্টুর সভাপতিত্বে এগারো কাহনিয়াতে একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়। বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে ৪০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে এ রাস্তার কাজ সমপন্ন হয়।
পরবর্তী সময়ে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পর নির্মাণকৃত রাস্তার উপর ঘর স্থাপন করা হয়। তবে সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম মিয়া, এই সংবাদ শোনার পর ইউ.পি. সদস্য তোফায়েল আলম মিন্টু এবং মহল্লাদারকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
রাস্তার উপরে ঘর দিচ্ছে এ সত্যতা প্রমাণ পায়। এক্ষেত্রে তাদেরকে বাধা নিষেধ করিলে স্বীকারুক্তি দেয় যে, তারা রাস্তার উপর ঘর স্থাপন করিবে না, অন্য জায়গায় ঘর স্থাপন করবে। কিন্তু পরবর্তীতে ঐ রাস্তার উপর টিন দিয়ে বেড়া দেয় এবং প্রতি রাতেই সেই ঘরের কাজ করতে থাকে।
যেহেতু, বাহিরে টিনের বেড়া থাকাকালীন ঘরের কাজ দেখা যায় না। পরে এক রাতের মধ্যেই ঘরের চাল লাগিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে ঘরের চাল লাগানোর পর এলাকার লোকজন বাদী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পরবর্তী সময়ে বার-বার তাদেরকে ডাকা হলেও বিবাদী পক্ষ উক্ত পরিষদে আসতে চায় না।
তারপর উক্ত পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম মিয়া তাদের বিরুদ্ধে ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে উপজেলার পি.আই.ও. এনামুল হক সাহেব এ বিষয়ে অবগতো আছেন। বার-বার তার সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ডিজে. এফ. আই. মোঃ রেজাউল করিম সাহেব এই পত্রিকাকে জানান, তিনি উপজেলার পি.আই.ও. এনামুল হক সাহেবকে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে অবগতো করেছেন। তিনি (এনামুল) ঐ নির্মাণকৃত রাস্তাটি সহজ করে দিবে বলছিলেন।
উক্ত পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম মিয়া এই পত্রিকাকে জানান, বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে মাত্র চল্লিশ দিনের মধ্যে এগারো কাহনিয়ায় আব্দুর রহিমের বাড়ি হইতে মাওলানা আব্দুল আজিজ সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার এ কাজ সম্পন্ন হয়।
ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইমান আলী(৭০) ও নুরুল ইসলাম(৩০) এই পত্রিকাকে জানান, বর্ষাকালে এ রাস্তার বেহাল অবস্থা, তার মধ্যে আবার নির্মাণকৃত রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করে রাস্তার প্রশস্ত কমিয়ে দেওয়াতে তারা অটো, ভ্যান, রিক্সা নিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। একদিকে রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করছে অন্যদিকে রাস্তা কেটে বাথরুমের কুয়া করছে।
বর্ষাকালে চাপা রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় পিছলে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে এলাকাবাসী। ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সামছুল হকের(৫৫) স্ত্রী মোছাঃ ইলিজা(৪৫) এই পত্রিকাকে জানান, তারা রাস্তার জন্য ১২ফুট ছেড়ে দিছে কিন্তু পাশের জন রাস্তার উপর ঘর তোলে এলাকার সবাইকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে। কিন্তু সে(ইলিজা) রাগের বশে রাস্তার উপরাংশ দিয়ে গাছ রোপন করেছে। এখন সে(ইলিজা) জানায় তারা যদি রাস্তার জন্য জায়গা রেখে ঘর তোলে তাহলে সে তার রোপন করা গাছ তুলে ফেলবে।