রনি মিয়া, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামের একটি ফিসারীর পাড় থেকে মহিলার গলাকাটা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
থানা পুলিশ জানায়, রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে পাইলগাঁও গ্রামের অনঙ্গমোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাশে একটি ফিসারির পাড়ে পশ্চিম পাইলগাঁও গ্রামের নুর আহমেদ এর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৫০) এর গলাকাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে আত্নীয় স্বজনরা আছিয়া বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মহিলা মৃত্যুবরণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী নুর আহমেদ এর সাথে আছিয়া বেগমের প্রায় সময় ঝগড়া লাগতো। সৌদিপ্রবাসী মেয়ের টাকা পাঠানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। সম্ভবত ভোরে স্বামী ও স্ত্রী ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গলাকাটার বিষয়টা আসতে পারে। স্ত্রী’র মৃত্যু খবর আসার পর থানা পুলিশ স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ কারলে স্বামী কাছ থেকে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্ধি দিয়েছে। স্ত্রীকে যে ধারালো দা দিয়ে হত্যা করেছিল সে দা সহ আলামত উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজি মখলুছ মিয়া জানান, গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথে মহিলার মৃত্যু হয়েছে জেনেছি। পরে থানা পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেন। গলাকাটা সাথে জড়িত দা সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী হত্যা করেছে কিনা এটা থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনজার্চ মো, মিজানুর রহমান জানান, পাইলগাঁও গ্রামে গলাকাটা অবস্থায় মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গলাকাটা সাথে জড়িত এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই।