জাকির হোসেন, বরিশাল।।
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব রোধে দুই মাসের অধিক সময় ধরে দেশে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ১ জুন থেকে ফের লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এতে স্বাভাবিক যাত্রীদের চেয়ে তুলনামূলক কয়েক গুণ যাত্রীর চাপ বেড়েছে বরিশাল লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে।
সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বরিশাল বন্দরে লঞ্চের ডেক, টিকিট কাউন্টার এবং পন্টুনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস টার্মিনালে। তবে বাসের ভেতরে কিছুটা সামাজিক দূরত্ব লক্ষ্য করা গেছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১ জুন) সকাল ১০টায় বরিশালে সীমিত আকারে যাত্রী পরিবহন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে লঞ্চ-বাস মালিকদের সঙ্গে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বরিশালে লঞ্চ ও বাস চলাচলের ব্যাপারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনা, বাস এবং লঞ্চে যাত্রার আগে ও পরে অবশ্যই জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে, সবাইকে মাস্ক এবং যথাযথ সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে, বাসে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দিতে হবে।
এছাড়া লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন, যাত্রার আগে যাত্রীদের কেবিন এবং ডেকের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ডেকে বসার ব্যবস্থা, লঞ্চ টার্মিনালের বাইরে ডেকের যাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করা সহ অসুস্থ যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, বরিশালে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। নথুল্লাবাদ থেকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানান, প্রথম দফা লকডাউন শেষে ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে যাত্রী পরিবহন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আজকের সভার গৃহীত নির্দেশনা কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পরিবহন মালিক সমিতি ভাড়ার তালিকা ও টানিয়ে দিয়েছে।