বড়ই ওঝারে কলিজাডা ছ্যাঁত করে পুড়ে ওঠে
পাশে বাড়ির করুণ বিলাপে
আটকে যায় – আমার গলার স্বর
কিছুই বলবো এমন হাই তুললে বকের ঝাঁক উড়ে যায় – মায়ের শিথান থেকে !
মা দীর্ঘ উপোসে চেতনা হারিয়ে
বাড়ির ছন- চালা ছিঁড়ে ছিঁড়ে জোড়াতালিতে
ছোট্ট ফুটো করে – আল্লাহ কে গুজরে ডাকে
তিনি কি আর কথা শুনে ?
লাশের পর লাশ পড়ছে, অনাহারে দরদী ভিটেমাটি থেকে পালাতে চায় মানুষ
কোথায় একরত্তি সবরখানা নেই, আরামখানা নেই
আছে অভাবের থালি।
এসব দেখতে দেখতে বড় মা বলে
সবাই দোয়া কুনুত পড়ো, বিপদ কেটে যাবে
এইদিকে সখিনার মা বলে, চল-
বিলের ধারে শাখ খুটি
কোথাও একদানা সবুজ নেই, কোথাও এক মগ
সুখ নেই
পুরোটা গ্রাস করেছে কীটের গুষ্ঠি
চারিদিকে হাহাকার, ধুসর উপত্যকায়
বেঁচে আছি সেই এক জীবন্ত কবর।
লিখেছেনঃ নাসিমা হক মুক্তা।