রিতেষ কুমার বৈষ্ণব (স্টাফ রিপোর্টার )
কবি আর কবিতা। একই শরীরের দুটি অংশ। কবি না থাকলে কবিতার জন্ম হয়না আবার কবিতার জন্ম না দিলে কাউকে কবি বলা যায় না।
মানবিক মানসিকতার রূপান্তর প্রক্রিয়াই কবিতার মূল নির্দেশক। সমকালের সাথে সর্বকালের অন্তর্নিহিত সত্য থেকেই কবিতার জন্ম। হৃদয় আর মগজ মিলে একাকার হওয়ার পর সার্থক সংশ্লেষে কবিতার সার্থকতা।
আজ যে মানুষ কে নিয়ে লেখার প্রস্তুতি নিয়েছি উনাকে নিয়ে লেখার কোন যোগ্যতাই আমার নেই তবুও এমন উজ্জ্বল নক্ষত্র কে নিয়ে লেখার দুঃসাহস করেছি, ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
উনাকে যতই জানতে চাচ্ছি ততই জানার আগ্রহ টা যেন বেড়েই চলেছে, কথার ফাঁকে কৌশলে যতটুকু জেনে নেওয়া, যতটুকু জেনেছি ঠিক ততটুকুই সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
সাধনা রানী সুত্রধর ১৯৭৫ সালের জুন মাসের ০২ তারিখে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন পিতাঃ মৃত সুবল চন্দ্র সূত্রধর ও
মাতাঃ হেমলতা সূত্রধর।
খুব ছোট বেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন এই কবি, “চাষীর বাড়ি” নামের একটা ছড়া লিখেন তিনি তখন স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, এই ছড়া, তিনি তখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। মোড়াকরি গ্রামের পুষ্পময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু।
১৯৯০ সালে এস. এস. সি ১৯৯২সালে
এইচ. এস. সি- ১৯৯৪ সালে বি. এ.
২০০২ সালে এম. এ পাশ করেন।
১৯৯২, সালের ১৫ই ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরী পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অমৃতলাল সূত্রধর” র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অমৃত লাল সুত্রধর অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
শিক্ষকতাঃ ১৯৯৬ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।
বর্তমানে বানিয়াচং উপজেলার মাখাল কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
পৃথিবী যখন বৈষ্যিক মহামারী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বেঁচে থাকাই যেখানে হুমকির মুখে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ও তিনি শিক্ষাদান থেকে থেমে নেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে শিশু বাচ্চাদের শিক্ষা দান করে যাচ্ছেন।
লেখা লেখির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রচার বিমুখ এই কবি বলেন এগুলো আমার আত্মতৃপ্তির একটা আশ্রয় মাত্র,
লেখাটা একটা হাতিয়ার , আমার গন্তব্য লেখা নয় সংস্কার, পারবো কি না জানি না।
বর্তমান ঘুণে ধরা সমাজে এই লেখার কোন মূল্য নেই।
একটা কবিতার জন্য অনেক সময় রীতিমতো হুমকি আসে, কি বলবেন এই সব হুমকিদাতাদের?
সমাজের চিত্রই আজ আমাদের বিনিদ্র করেছে, উত্তর মেলে না!
শুধু দুচোখ ভরে দেখে যেতে হবে, আমাদের সন্তান, আমাদের যুব সমাজের ধ্বংস, আর দেখতে হবে পিতামাতার অসহায় চোখের উষ্ণ নোনাজল।
একটা কবিতা লিখেছিলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শত বার্ষিকী উপলক্ষে, অনেক হুমকি পেয়েছি, তাই বলে আমি থেমে থাকিনি থাকব ও না।
সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকা “বাংলার কণ্ঠ ” পত্রিকায় আমার লেখা “”জাতির জনক”” কবিতাটি স্থান পেয়েছে।
আমার বান্ধবী রীতা এবং তার স্বামী আমার অজান্তেই “” জাতির জনক”” কবিতাটি সহ কিছু সংখ্যক কবিতা প্রচার করে ফেলেছে।
হুমকি দাতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন – না ওরা কোন না কোন মায়ের সন্তান, আমি চাই ওরা নিজে থেকেই শুদ্ধ হোক, আমি জানি ওরা একদিন ভুল গুলো বুজতে পেরে আমার কাছেই আসবে, ঈশ্বরের প্রতি পুরো বিশ্বাস আছে।
প্রকাশিত বই সমূহ—
১। স্মৃতিপটে’ ৭১ ( সম্পাদিত বই)। ২০১৫।
২। একুশের ছন্দ (ছড়ার বই) ২০১২।
৩। একুশের রঙ (কবিতার বই )২০১৪।
এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে অসংখ্য কবিতা রচনা করেছেন তিনি । কবিতা গুলো শুনলে মন ছুঁয়ে যায়, সম্পুর্ণ বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে এই কবির লেখনিতে।
বই গুলো স্থানীয় ভাবে ছাপানো হলেও প্রচারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
এই বইগুলোর প্রকাশনায় সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী ছিলেন মেহেদী হাসান বানিয়াচং উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব এ বি এম মসিউর রহমান। অপ্রকাশিত রয়েছে আরও অসংখ্য কবিতা।