বিয়ানিবাজারঃ
আজ অমর নায়ক সালমানের জন্মবার্ষিকী।
আজকের এই দিনে তিনি জন্মেছিলেন এবং আলোকিত করেছেন চলচ্চিত্রাঙ্গন। আজকের এই দিনে রইলো তার প্রতি গভীর স্রদ্ধা ও ভালবাসা।
হুট করেই বাংলা চলচ্চিত্রের আকাশে নক্ষত্র হয়ে ধরা দেন ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহ। মাত্র তিন বছরেই তিনি জয় করে নেন কোটি ভক্তের হৃদয়।
মৃ’ত্যুর ২৪ বছর পরও শেষ হয়নি তার আবেদন, কাটেনি তার প্রভাব। বেঁচে থাকতেই তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিণত হয়েছিলেন। তার স্টাইল, ফ্যাশন ছিলো ট্রেন্ড৷ আর অকালমৃ’ত্যু তাকে দিয়েছে অম’রত্ব। আজও তার জনপ্রিয়তায় কেউ এই দেশের সিনেমাতে নেই।
এদেশে সর্বকালের সেরা স্টাইলিস্ট ও ফ্যাশনেবল আইকন হিরো সালমান শাহের আজ জন্ম’দিন। বেঁচে থাকলে এবারে তিনি ৪৯ বছরে পা রাখতেন।
সালমান শাহ ১৯৭১ সালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজে’লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কম’র উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। তিনি পরিবারের বড় ছে’লে ছিলেন। ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ইভান। তার পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিনেমায় আসার পর তার স্ত্রী’ সামিরার সঙ্গে পরাম’র্শ করে নাম রাখেন সালমান শাহ। সেই নামের রোশনাই ছড়িয়ে গেছে সারা বাংলায়।
কিশোর বয়সে সালমান ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। তার অ’ভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শি’শুশিল্পী হিসেবে।
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিতে অ’ভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে জগতে পা রাখেন এই নায়ক। প্রথম ছবিতেই সারাদেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে সালমান শাহ ২৭টি ছবিতে অ’ভিনয় করেন। তার প্রায় প্রতিটি ছবি ছিল ব্যবসা’সফল। সালমানের সর্বমোট মুক্তিপ্রাপ্ত ২৭টি ছবির ১৪টিতেই তার নায়িকা ছিলেন শাবনূর।
নায়ক সালমান শাহ অ’ভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় কেয়ামত থেকে কেয়ামত, দেন মোহর, তোমাকে চাই। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় বি’ক্ষোভ ও আনন্দ অশ্রু, চাওয়া থেকে পাওয়া, বিচার হবে। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় জীবন সংসার, মহা মিলন, স্বপ্নের পৃথিবী, স্বপ্নের ঠিকানা, এই ঘর এই সংসার।
১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় কন্যাদান, মায়ের অধিকার, প্রে’মযু’দ্ধ, সত্যের মৃ’ত্যু নাই, সুজন সাথী, স্বপ্নের নায়ক, তুমি আমা’র প্রভৃতি। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় বুকের ভেতর আ’গুন ও প্রে’ম পিয়াসী চলচ্চিত্র।