এম. এম আতিকুর রহমান ঃ
বাংলাদেশেনবিমান বন্দরগুলিতে ভিজিট যাত্রীদের হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা না করার জন্য কন্স্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে দুবাইতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
ইউনাইটেড আরব আমিরাত দুবাই মহামারি করোনায় লোকডাউনের পর থেকে বিভিন্ন পেশাধারী লোকজনের স্বাভাবিক জীবনগতি থেকে ছিটকে পড়ে। অনেকে চাকরি হারান আবার অনেকে ব্যাবসায় লোকসান দিয়ে প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে ফেলেন।
বিদেশে যাওয়ার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এক শ্রেণীর অসাধু বাংলাদেশী ট্রাভেল এজেন্সী ও এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার একটি সিন্ডিকেট বাণিজ্য তৈরী করে। যার ভুক্তভুগী মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণী। ভিসিট ভিসা, রিটার্ন টিকেট ও ইন্সুরেন্সসহ সব বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ফ্লাইটে উঠতে দিচ্ছে না ইমিগ্রেশন পুলিশ। শুধু তাই না কিছু কিছু যাত্রীর পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়ে অফলোড সিল মেরে আরেক হয়রানির নতুন ফন্দি এটে দিচ্ছে। এই অফলোড সিল উঠাতে আবার কমপক্ষে প্রায় ৪০ হাজার টাকা যাত্রীদের থেকে আদায় করা হয়ে থাকে। এই নীরব অত্যাচার জুলুমের শেষ কোথায় জানা নেই কারো।
এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন ।
এরই প্রেক্ষিতে গত ০১/১২/২০২০ দুবাই কন্স্যুলেট অফিসে প্রবাসী ব্যাবসায়ীদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুবাইয়ে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মৌলভীবাজারের বড়লেখার কৃতি সন্তান আলহাজ শামীম আহমদ জানান, দুবাই কন্স্যুলেট জেনারেল আশ্বাস দিয়েছেন আরব আমিরাতে আসার ব্যাপারে সহযোগিতা করার। এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলিতে ভিজিট যাত্রীদের হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা না করার জন্য কন্স্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে দুবাইতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।