সত্যজিৎ দাস,
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া প্রেস ক্লাবে ১৯/০২/২০২১ইং রোজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেন গৃহবধূ ফরিদা ইয়াসমিন (৩০),উনার স্বামী হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় স্ত্রী-সন্তানরা তিন মাস থেকে গৃহহারা। প্রচলিত আইনে স্বামীর বিচার হোক কিন্তু সন্তান নিয়ে বাড়িতে ফিরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন গৃহবধূ ফরিদা ইয়াসমিন (৩০)। লিখিত এক বক্তব্যে অসহায় গৃহবধূ ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামে সংঘটিত মনাফ হত্যাকাণ্ডের ২নং আসামি উনার স্বামী সামছুদ্দিন গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ওই দিন রাতে গৃহবধূর বসতগৃহে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে নির্যাতন ও মারপিট করা হয়। তার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে দুই সন্তানসহ গৃহবধূ ফরিদা ইয়াসমিন বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগে বোনের বাড়িতে রয়েছেন। কিন্তু তিনি বাড়িতে ফিরতে চাইলেই মনাফ হত্যা মামলার বাদীপক্ষ আকুল মিয়া ও তার চার ভাই মিলে তাকে বাড়িতে না ফিরতে হুমকি দেয় এবং এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি ফের বাদীপক্ষ পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বসতগৃহে অনধিকার প্রবেশ করে ঘর ভাংচুর চালায়। শুধু ঘর ভাংচুর করে থেমে থাকেনি,বাড়ির গাছপালাও কেটে ক্ষতিসাধন করেছে। গৃহবধূ ফরিদা ইয়াসমিন তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমার স্বামী অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। তিনিও কারাগারে আছেন। এখন আমি সন্তানসহ বাড়িতে ফিরতে পারছি না। ফিরতে চাইলে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার দুই ছেলে কুলাউড়া আহমদাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী।কিন্তু এই পরিস্থিতে তাদেরও লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে।এ ব্যাপারে গৃহবধূ ফরিদা ইয়াসমিন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৫/০২/২০২১ তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের অভিযোগটি বর্তমানে কুলাউড়া থানায় তদন্তাধীন আছে বলে সিলেট নিউজ24 কে ফরিদা ইয়াসমিন জানান। কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান,আদালতের দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্তের কোনো নির্দেশনা তিনি পাননি। পেলে তিনি অতি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।