শিরোনাম
মার্চ ফর ঢাকা-১৫ আসন, শফিকুল ইসলাম মিল্টনের পক্ষে লক্ষ জনতা  এ কর্মসূচীতে মৌলভীবাজারে সুজনের প্রতিষ্টাবার্ষিকী পালিত বানারীপাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের নৈরাজ্য ও সহিংসতা প্রতিরোধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  ঘাটাইলে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকের আইন বহির্ভুত কাজ লক্ষ্যণীয় তাড়াইলে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজারে বিদ্যমান আস্থাহীনতা বনাম বিএসইসির মিউচুয়াল ফান্ড নীতিমালা সিলেটে ভোরের আলোর ৮১ সদস্যের বিএনপিতে যোগদান সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মিথ্যা ছাগল চুরি নিয়ে সাজানো নাটক !! নেপথ্যে ছিনতাইকারী রানা, জুলহাস, মক্ষীরাণী লাকী চক্র সিলেট মহানগর ৩৬নং ওয়ার্ড কৃষকদলের পরিচিতি সভা আল্লাহর পরিচয় ও কর্তৃত্ব: কুরআনের আলোকে হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকীর ব্যাখ্যা
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আমাদের রিয়েল জীবন নিয়ে একটু কি চিন্তা করি?

Coder Boss / ১০২১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

Manual2 Ad Code

সিলেট নিউজ ডেস্কঃ

মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনি, একটু পড়েই দেখুন না! বিশ্বাস করেন এই তিনটি মেয়ে কিন্তু একই।

Manual2 Ad Code

উনি খুবই বিখ্যাত একজন আর্টিস্ট, নাম “নিশা ঘিমেরী”। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিলো। উনি নেপালের  খুবই বিখ্যাত মডেল। গুগলে ওনার নাম Nisha Ghimire লিখে সার্চ করলে শুধু ওনার রঙিন জীবন খুজে পাবেন। উনি যে হাসপাতালে কাতরাচ্ছিলেন এই নিউজ খুবই কম। এ থেকে বোঝা যায় পৃথিবী আসলে শারীরিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট। মৃত্যু যেটা অবশ্যই নির্ধারিত!! আমরা এটা মুখে মানি ঠিকই, কিন্তু ডুবে আছি অন্য এক রঙিন জগতে।মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনি, একটু পড়েই দেখুন না! বিশ্বাস করেন এই দুটি মেয়ে কিন্তু একই। উনি খুবই বিখ্যাত একজন আর্টিস্ট, নাম "নিশা ঘিমেরী"। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিলো। উনি খুবই বিখ্যাত মডেল। গুগলে ওনার নাম Nisha Ghimire লিখে সার্চ করলে শুধু ওনার রঙিন জীবন খুজে পাবেন। উনি যে হাসপাতালে কাতরাচ্ছিলেন এই নিউজ খুবই কম। এ থেকে বোঝা যায় পৃথিবী আসলে শারীরিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট। মৃত্যু যেটা অবশ্যই নির্ধারিত!! আমরা এটা মুখে মানি ঠিকই, কিন্তু ডুবে আছি অন্য এক রঙিন জগতে। পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ -র মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি - "মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে মৃত্যুর পর, সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ বা চিন্তা আমার নেই। এই চিন্তার চাইতে অতি জরুরি আমি সেখানে কি নিয়ে যেতে পারলাম। মৃত্যুর পর তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে, আমার এতো দামী পোশাক ওরা খুলে নেবে। আমাকে গোসল করাবে, (তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে, স্রেফ সাদা একটা কাপড়। অথচ আমি ব্রান্ড ছাড়া কাপড় পরিনি। আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে,(যেখানে আমি সারাজীবন কাটাবো ভেবেছিলাম, এতো টাকা পয়সা অর্জন করলাম, দিন রাত এতো পরিশ্রম করলাম যেখানে থাকার জন্য। সেখান থেকেই আমাকে বের করে দেয়া হবে যত দ্রুত সম্ভব) আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে, আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে, অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে, আত্নীয়রা কান্নাকাটি করবে, মায়া দেখাবে। দাফন সমাপ্তির পর আমার (ব্যক্তিগত) জিনিষের উপর আমি অধিকার হারাবো, আমার চাবির গোছাগূলো, আমার বইপত্র, আমার মোবাইল, আমার একান্ত খাবার প্লেট, আমার ব্যাগ, আমার ‍জুতোগুলো, হয়তো আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে উপকৃত করার জন্য আমার ব্যবহারের জিনিসপত্র দান করে দেবার বিষয়ে একমত হবে। একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে, এই দুনিয়া কারো জন্য দু:খিত হবে না, অপেক্ষাও করবে না, এই দুনিয়ার দুরন্ত ছুটে চলা এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যাবে না, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা ব্যবসা -বাণিজ্য সবকিছু চলতে থাকবে, আমার দায়িত্ব (কাজ) অন্য কেউ সম্পাদন করা শুরু করবে, আমার ধনসম্পদ বিধিসম্মত ভাবে আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে, অথচ এর মাঝে এই সম্পদের জন্যই কবরে আমার হিসাব-নিকাশ আরম্ভ হয়ে যাবে কিভাবে সম্পদ কামিয়েছি, কিভাবে ব্যয় করেছি, ছোট এবং বড়….অনুপরিমাণ এবং কিয়দংশ বা ভগ্নাংশ পরিমান, (সবকিছুর হিসাব) আমার কবরে দিতে হচ্ছে। আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম যা হারাতে হবে, তা আমার নাম!! ব্যাপারটা কেমন সহজ হলেও আজব তাইনা! কেননা, যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো, তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, কোথায় “লাশ”?.... তখন কেউ আমাকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করবে না!! যখন তারা আমার জন্য (জানাযার) নামাজ আদায় করবে, বলবে, “জানাযাহ” নিয়ে আসো, তারা আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করবে না….! আর, যখন তারা দাফন শুরু করবে বলবে, মৃতদেহকে কাছে আনো, তারা আমার নাম ধরে ডাকবে না…! অথচ দুনিয়ায় আমার বংশপরিচয়, আমার গোত্র পরিচয়, আমার পদমযার্দা, এবং আমার খ্যাতি সবকিছু নিয়েই কতটাইনা সিরিয়াস ছিলাম। এই দুনিয়ার জীবন কতই না তুচ্ছ, আর, যা কিছু সামনে আসছে তা কতই না গুরুতর এবং ভয়ংকর! অতএব, (শোন) তোমরা যারা এখনো জীবিত আছো,….জেনে রাখো, তোমার মৃত্যুর পর তোমার জন্য তিনভাবে দু:খ করা হবেঃ ১. যারা তোমাকে বাহ্যিক ভাবে চিনতো, তারা তোমাকে বলবে হতভাগা। ২. তোমার বন্ধুরা বড়জোর তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন দু:খ করবে, তারপর, তারা আবার গল্পগুজব বা হাসিঠাট্টাতে মত্ত হয়ে যাবে। ৩. যারা খুব গভীর ভাবে দু:খিত হবে, তারা তোমার পরিবারের মানুষ, তারা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, একমাস, দুইমাস কিংবা বড় জোর একবছর দু:খ করবে। এরপর, তারা তোমাকে স্মৃতির পাতায় যত্ন করে রেখে দেবে!!! মানুষদের মাঝে তোমাকে নিয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে, অত:পর, তোমার জীবনের নতুন গল্প শুরু হবে, আর, তা হবে পরকালের জীবনের বাস্তবতা, তোমার নিকট থেকে নি:শেষ হবে তোমারঃ ১. সৌন্দর্য্য ২. ধনসম্পদ ৩. সুস্বাস্থ্য ৪. সন্তান-সন্তানাদি ৫. বসতবাড়ি ৬. প্রাসাদসমূহ ৭. জীবনসঙ্গী তোমার নিকট তোমার ভালো অথবা মন্দ আমল ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, শুরু হবে তোমার নতুন জীবনের বাস্তবতা, আর, সে জীবনের প্রশ্ন হবে: তুমি কবর আর পরকালের জীবনের জন্য এখানে কি প্রস্তুত করে এনেছো? তখন কি জবাব দিবো? বেশি কিছুনা শুধু যত্নবান হও, ১. ফরজ ইবাদতগুলোর প্রতি ২. নফল ইবাদতগুলোর প্রতি ৩. গোপন দান সাদাকাহ’র প্রতি ৪. ভালো কাজের প্রতি ৫. রাতের নামাজের প্রতি বিশ্বাস করুন এই জিনিসগুলো একটা একটা করতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগে। আর আমরা বেহুদাই বসে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা। এই লিখাটির মাধ্যমে তুমি মানুষকে উপদেশ দিতে পারো, কারণ তুমি এখনো জীবিত আছো, এর ফলাফল আল্লাহ’র ইচ্ছায় তুমি কিয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় দেখতে পাবে, আল্লাহ বলেন: ""আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয়ই এই স্মরণ মুমিনদের জন্য উপকারী"" (মৃত্যুর কথা স্মরণ) তুমি কি জানো কেন মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ প্রদানের আকাঙ্খা ব্যক্ত করবে, মৃত ব্যক্তিরা আফসোস করবে যদি আর একবার দুনিয়ার জীবনে ফিরতে পারতো? ((হে আমার রব! যদি তুমি আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে দুনিয়ার জীবনে ফিরে যাবার, তাহলে আমি অবশ্যই সাদাকাহ প্রদান করতাম….)) তখন তাদের বলা হবেঃ দুনিয়ায় ফিরে গেলে কি করবে? জবাবে বান্দারা বলবে না, উমরাহ পালন করতাম জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে, নামাজ আদায় করতাম, রোজা রাখতাম। সবাই জানি মৃত ব্যক্তি আর কখনোই ফিরে আসবেনা। আর নামাজের গুরুত্ব এতো কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে এটা কে না জানে, কিন্তু আমরা কেউই নিজের ফালতু জীবন থেকে মাত্র ৫টা মিনিট মুল্যবান জাগায় ব্যয় করতে চাইনা। আলেমগণ বলেন: মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ’র কথা বলবে, কারণ তারা সাদাকাহ প্রদানের ফলাফল তাদের মৃত্যুর পর দেখতে পাবে, এক টাকা দান সাদকাহ, বা কারো প্রতি একটু উপকার পাহাড় পরিমান আমলের মত। আর, গুরুত্ববহ এই সাদাকাহ’র কাজটি তুমি এই কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে করতে পারো, যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় এর মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ প্রদান করা। কারণ, উত্তম কথা হল এক ধরণের সাদাকাহ। ©সংগৃহীত

পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ -র মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি –

“মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে মৃত্যুর পর, সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ বা চিন্তা আমার নেই। এই চিন্তার চাইতে অতি জরুরি আমি সেখানে কি নিয়ে যেতে পারলাম।

মৃত্যুর পর তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে, আমার এতো দামী পোশাক ওরা খুলে নেবে।
আমাকে গোসল করাবে,

(তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে, স্রেফ সাদা একটা কাপড়। অথচ আমি ব্রান্ড ছাড়া কাপড় পরিনি।

আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে,(যেখানে আমি সারাজীবন কাটাবো ভেবেছিলাম, এতো টাকা পয়সা অর্জন করলাম, দিন রাত এতো পরিশ্রম করলাম যেখানে থাকার জন্য। সেখান থেকেই আমাকে বের করে দেয়া হবে যত দ্রুত সম্ভব)

আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে,

আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে,

অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে, আত্নীয়রা কান্নাকাটি করবে, মায়া দেখাবে।

দাফন সমাপ্তির পর

আমার (ব্যক্তিগত) জিনিষের উপর আমি অধিকার হারাবো,

আমার চাবির গোছাগূলো,
আমার বইপত্র, আমার মোবাইল, আমার একান্ত খাবার প্লেট,
আমার ব্যাগ, আমার ‍জুতোগুলো,

হয়তো আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে উপকৃত করার জন্য আমার ব্যবহারের জিনিসপত্র দান করে দেবার বিষয়ে একমত হবে।

একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে, এই দুনিয়া কারো জন্য দু:খিত হবে না, অপেক্ষাও করবে না,

এই দুনিয়ার দুরন্ত ছুটে চলা এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যাবে না,

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা ব্যবসা -বাণিজ্য সবকিছু চলতে থাকবে,

আমার দায়িত্ব (কাজ) অন্য কেউ সম্পাদন করা শুরু করবে,

আমার ধনসম্পদ বিধিসম্মত ভাবে আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে,

অথচ এর মাঝে এই সম্পদের জন্যই কবরে আমার হিসাব-নিকাশ আরম্ভ হয়ে যাবে কিভাবে সম্পদ কামিয়েছি, কিভাবে ব্যয় করেছি,

Manual1 Ad Code

ছোট এবং বড়….অনুপরিমাণ এবং কিয়দংশ বা ভগ্নাংশ পরিমান, (সবকিছুর হিসাব) আমার কবরে দিতে হচ্ছে।

আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম যা হারাতে হবে, তা আমার নাম!! ব্যাপারটা কেমন সহজ হলেও আজব তাইনা!

কেননা, যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো, তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, কোথায় “লাশ”?….

তখন কেউ আমাকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করবে না!!

যখন তারা আমার জন্য (জানাযার) নামাজ আদায় করবে, বলবে, “জানাযাহ” নিয়ে আসো,

তারা আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করবে না….!

আর, যখন তারা দাফন শুরু করবে বলবে, মৃতদেহকে কাছে আনো, তারা আমার নাম ধরে ডাকবে না…!

অথচ দুনিয়ায় আমার বংশপরিচয়, আমার গোত্র পরিচয়, আমার পদমযার্দা, এবং আমার খ্যাতি সবকিছু নিয়েই কতটাইনা সিরিয়াস ছিলাম।

এই দুনিয়ার জীবন কতই না তুচ্ছ, আর, যা কিছু সামনে আসছে তা কতই না গুরুতর এবং ভয়ংকর!

অতএব, (শোন) তোমরা যারা এখনো জীবিত আছো,….জেনে রাখো, তোমার মৃত্যুর পর তোমার জন্য তিনভাবে দু:খ করা হবেঃ

১. যারা তোমাকে বাহ্যিক ভাবে চিনতো, তারা তোমাকে বলবে হতভাগা।

২. তোমার বন্ধুরা বড়জোর তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন দু:খ করবে, তারপর, তারা আবার গল্পগুজব বা হাসিঠাট্টাতে মত্ত হয়ে যাবে।

৩. যারা খুব গভীর ভাবে দু:খিত হবে, তারা তোমার পরিবারের মানুষ, তারা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, একমাস, দুইমাস কিংবা বড় জোর একবছর দু:খ করবে। এরপর, তারা তোমাকে স্মৃতির পাতায় যত্ন করে রেখে দেবে!!!

মানুষদের মাঝে তোমাকে নিয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে, অত:পর, তোমার জীবনের নতুন গল্প শুরু হবে, আর, তা হবে পরকালের জীবনের বাস্তবতা,

Manual4 Ad Code

তোমার নিকট থেকে নি:শেষ হবে তোমারঃ
১. সৌন্দর্য্য
২. ধনসম্পদ
৩. সুস্বাস্থ্য
৪. সন্তান-সন্তানাদি
৫. বসতবাড়ি
৬. প্রাসাদসমূহ
৭. জীবনসঙ্গী

তোমার নিকট তোমার ভালো অথবা মন্দ আমল ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না,

শুরু হবে তোমার নতুন জীবনের বাস্তবতা,

আর, সে জীবনের প্রশ্ন হবে: তুমি কবর আর পরকালের জীবনের জন্য এখানে কি প্রস্তুত করে এনেছো?

তখন কি জবাব দিবো?

বেশি কিছুনা শুধু যত্নবান হও,

১. ফরজ ইবাদতগুলোর প্রতি
২. নফল ইবাদতগুলোর প্রতি
৩. গোপন দান সাদাকাহ’র প্রতি
৪. ভালো কাজের প্রতি
৫. রাতের নামাজের প্রতি

বিশ্বাস করুন এই জিনিসগুলো একটা একটা করতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগে। আর আমরা বেহুদাই বসে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা।

এই লিখাটির মাধ্যমে তুমি মানুষকে উপদেশ দিতে পারো, কারণ তুমি এখনো জীবিত আছো, এর ফলাফল আল্লাহ’র ইচ্ছায় তুমি কিয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় দেখতে পাবে,

আল্লাহ বলেন: “”আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয়ই এই স্মরণ মুমিনদের জন্য উপকারী””

(মৃত্যুর কথা স্মরণ)

তুমি কি জানো কেন মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ প্রদানের আকাঙ্খা ব্যক্ত করবে, মৃত ব্যক্তিরা আফসোস করবে যদি আর একবার দুনিয়ার জীবনে ফিরতে পারতো?

Manual5 Ad Code

((হে আমার রব! যদি তুমি আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে দুনিয়ার জীবনে ফিরে যাবার, তাহলে আমি অবশ্যই সাদাকাহ প্রদান করতাম….))

তখন তাদের বলা হবেঃ দুনিয়ায় ফিরে গেলে কি করবে?

জবাবে বান্দারা বলবে না,
উমরাহ পালন করতাম জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে, নামাজ আদায় করতাম, রোজা রাখতাম।

সবাই জানি মৃত ব্যক্তি আর কখনোই ফিরে আসবেনা। আর নামাজের গুরুত্ব এতো কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে এটা কে না জানে, কিন্তু আমরা কেউই নিজের ফালতু জীবন থেকে মাত্র ৫টা মিনিট মুল্যবান জাগায় ব্যয় করতে চাইনা।

আলেমগণ বলেন: মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ’র কথা বলবে, কারণ তারা সাদাকাহ প্রদানের ফলাফল তাদের মৃত্যুর পর দেখতে পাবে, এক টাকা দান সাদকাহ, বা কারো প্রতি একটু উপকার পাহাড় পরিমান আমলের মত।

আর, গুরুত্ববহ এই সাদাকাহ’র কাজটি তুমি এই কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে করতে পারো, যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় এর মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ প্রদান করা। কারণ, উত্তম কথা হল এক ধরণের সাদাকাহ।

©সংগৃহীত


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

বিভাগের খবর দেখুন

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code