সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):শ্যাওলা সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের কয়েকটি জেল থেকে শনিবার(১২ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশী ২২ জন নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করানো হয়েছে। যদিও এ জটিল কাজ করা অনেক কঠিন,কষ্ট,ধৈর্য্য শক্তির ব্যপার, আর এর সাথে আছে অনেক অপবাদ। সে সব মাথায় নিয়েই অপবাদ ও নানা সমস্যাকে পিছনে ফেলে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২২ জন বাংলাদেশিকে পিতা-মাতার কাছে তোলে দিলেন সিলেটের গর্ব মানবতার ফেরিওয়ালা শ্রীযুক্ত অমলেন্দু দাস।ভারতের আসাম রাজ্যের জেল থেকে যে ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলো,তারা হলেনঃ- বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার (১) শহিদুল ইসলাম,রউমারী উপজেলার (২) আশিক মিয়া,(৩) মোঃ সাইজুদ্দিন,দিনাজপুর জেলার খানশামা উপজেলার (৪) জয় চন্দ্র শর্মা,শেরপুর সদর উপজেলার (৫) সাব্বির মিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার (৬) লিটন গাজী,পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার (৭) আলম হাওলাদার,নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার (৮) আব্দুল গণি, রাজশাহী জেলার তানুর উপজেলার (৯) মোঃ আছলম আলী, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার (১০) আইনুল হক।টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার (১১) অমূল্য বর্মন,খুলনা জেলার (১২) আব্দুল হাকিম,মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার (১৩) জুয়েল হাওলাদার,হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার (১৪) শরিফুদ্দিন মিয়া,সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার(১৫) নাসির আলী ও শাহিনুর,মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার (১৬) কয়েছ উদ্দিন,সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার (১৭) সেলিম আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলার (১৮) রুহান আহমদ,ঢাকা জেলার (১৯) জামাল উদ্দিন,কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার (২০) রাজু আহমদ ও নওগাঁ জেলার রানী নগর উপজেলার (২১) মোঃ ফিরুজ।
বাংলাদেশ লোকবিদ্যা এর প্রেসিডেন্ট,লেখক ও লোক গবেষক,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং সমাজসেবী শ্রীযুক্ত অমলেন্দু দাস ডেইলি সিলেট নিউজ 24”কে জানান,’ উল্লেখিত ২২ জনের দলটির সাথে আসার কথা ছিল সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার জামাল উদ্দিনের। কিন্তু তিনি মাসখানেক আগে অসুস্থ হয়ে ভারতের হাসপাতালে মারা যান। ১০/১৫ দিন আগে তাঁর মৃতদেহ বাংলাদেশে তাঁর স্বজনদের কাছে এসেছে। দীর্ঘদিন জেলে থাকতে থাকতে অনেকের ভাগ্যেই এরকম মৃত্যু আসে। আজ যারা নিজ দেশে পরিবার পরিজনদের কাছে ফিরে এলেন তারা হয়তো এদিক থেকে ভাগ্যবান। আমার এই কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে ভারতের গৌহাটিতে নিযুক্ত মান্যবর সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর সাহেবের ঐকান্তিক চেষ্টায়। তানভীর মনসুর সাহেবের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় আমি দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যাবাসনে স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে অসহায় মানুষকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ভারতের আসাম রাজ্যের ৫ টি ও মেঘালয় রাজ্যের ২টি জেল থেকে প্রায় ২৫০ জন বাংলাদেশীকে মুক্ত করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। শ্যাওলা সুতারকান্দি বর্ডারে আমাকে সহযোগিতা করেছেন মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী আজিজুল ইসলাম জয়। উনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ও সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা দীর্ঘদিন পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এই ২২ জন তাদের স্বজনদের সাথে যেনো ভালো থাকেন ‘।