বরিশাল প্রতিনিধিঃ
কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার তাপস কুমার তালুকদারের অনিয়ম ও সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরন এবং সাংবাদিকদের হয়রানি ও অপচিকিৎসার অভিযোগে (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৭ দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন কাঠালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ বাদল হাওলাদার।
অভিযোগে সভাপতি বলেন আমি ২০১৪ সালে ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি থাকা কালিন সময় ৪ জন সাংবাদিক নিয়ে কাঠালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের একাধিক দূর্নীতি তথ্য আসে। তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হবে আশংকা করে সাংবাদিকদের নামে ভয় পেয়ে নার্সের পেটের বাচ্চার ক্ষতি হয়েছে এবং ডিউটিরত ডাক্তারের সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলে একটি মিথ্যা মামলা করে ডাঃ তাপশ। মামলাটি তদন্ত করেন তখনকার সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান, মামলাটি তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়। সুধু এই নয় আরো একাধিক সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন ও হয়রানির অভিযোগ নিয়ে আমি বাদি হয়ে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা, আঞ্চলিক পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশাল, উপ পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশাল, সিভিল সার্জন ঝালকাঠি, জাতীয় প্রেস ক্লাব ঢাকা, বরিশাল প্রেস ক্লাব, এবং ঝালকাঠী প্রেস ক্লাবে অভিযোগ দিয়েছি।
কিছুদিন পুর্বে কাঠালিয়া সদরের মৃতঃ সাহজাহানের মেয়ে মাহিনুর গর্ভবতী অবস্থায় হাসপাতালে গেলে তাকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে ব্যবসায়িক ক্লিনিকে নিয়ে সিজার করতে গিয়ে রোগীর জরায়ু কেটে ফেলে ডাঃ তাপস। রুগীর অবস্থা আশঙ্কনীয় হলে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। তখন সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ ও কাঠালিয়া নাগরিক ফোরামে আন্দলনের চাপের মুখে মাহিনুরের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় ডাঃ তাপশ। এই সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক প্রশান্তকে মিথ্যা ইভটিজিং এর অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
সাংবাদিক রাজিব তালুকদার বলেন আমি কিছুদিন পূর্বে তথ্য নিতে হাসপাতালে ফোন করলে আমাকে তথ্য না দিয়ে ফিটিং মামলার হুমকি দেয় ডাঃ তাপস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার প্রশান্তর বিষয়ে বলেন প্রশান্ত হাসপাতালে গিয়ে কর্মরত নার্স ফাতিমার সাথে খারাপ আচর করেছে এবং তার পেটে লাথি মেরেছে তখন তাকে ধরে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ ও নার্স গন। ঘটনার সতত্যা পেয়ে প্রশান্তকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের বিনাস্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।