শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বাহুবলে পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেল এর দাম তুঙ্গে।

Satyajit Das / ৬৬৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):হঠাৎ করেই রাজধানী ঢাকার সাথে তাল মিলিয়ে হবিগঞ্জের বাহুবল বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েছে। সংকট না থাকলেও তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। দুই দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা এবং এক দিনের ব্যবধানে ডিম ডজনে পাঁচ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে পনেরো টাকা। অতিরিক্ত বেড়েছে ছোট ও বড় মাছের দামও। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বাহুবল উপজেলা সদর এর কয়েকটি খুচরা বাজারে ও পাইকারী দোকান ঘুরে এই চিত্র দেখা গিয়েছে। দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ীরা ডেইলি সিলেট নিউজ24’কে বলেন, ‘বেশি দামে পণ্য কিনে আনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম শুনে অনেক ক্রেতা রাগারাগি করেন। তবে কিচ্ছু করার নেই,বাজার ঘুরে শেষ পর্যন্ত তারা ঠিকই কিনে নেন। ’

বাজার করতে আসা সদর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকার জুবাহিদ মিয়া ও সাদ্দাম মিয়া বলেন, ‘ বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। বাজারে এখন কোনো কিছুই নিম্নবিত্তের নাগালে নেই। মাছ, মাংস, চাল,ডাল,তেল,সবজি,পেঁয়াজ-সব কিছুরই দাম বাড়তি ‘।

ভিতর বাজার,কাঁচাবাজার,পান হাটা,চাল হাটা গলিতে গিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের সবজিতে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ২৫-৩০, বেগুন ৩০ থেকে ৫০, ক্ষীরা ২০-২৫, শিম ৩০-৫০, কাঁচামরিচ ৪০-৫০,গাজর ৫০-৬০,পেঁপে ২০-৩০ ও আলু ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ৪০-৫০, বাঁধাকপি ৩০-৪০, মাঝারি আকারের লাউ ৮০ ও বড় আকারের ১০০-১৫০, লেবুর হালি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাহুবল বাজারের সবজি বিক্রেতা মো.সালেখ ও আজিজ মিয়া বলেন,‘আমরা ফুলকপি বাঁধাকপি ছাড়া অন্যান সবজি বাহুবলের স্থানীয় সবজি চাষিদের কাছ থেকে কিনি। প্রতিদিনই আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়,কারণ বিক্রেতা সবজি চাষিরা বলেন,তাদের এ বছর সবজি চাষে খরচ বেশি হচ্ছে। এ কারণেই সবজির দাম বাড়ছে। তবে সবজির দাম কয়েকদিনের মধ্যে কমতে পারে ‘।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ী বাবু রিংকু চন্দ্র পাল ডেইলি সিলেট নিউজ24”কে বলন, ‘তিন-চার দিন আগে আমরা ৩০ ও ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৩৫ ও ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। দেশের পাইকারি (ঢাকা,সিলেট,শ্রীমঙ্গল)-এর বাজারে দাম বাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। ’এছাড়া আতপ চাল ৫৫,কাটারি চাল ৭০,চিনিগুড়া চাল ৮০, সরিষার তেল ২১০,সোয়াবিন ১৬৫-১৭০,চিনি ৮০,ছোলা ৬৫,রসুন ৪০,হলুদ ১১০,ধনিয়া ১১০,আদা ১২০,মসুর ডাল(দেশি) ১২০,মসুর ডাল(এলসি) ১০০,মটর ডাল ৫৫,মুগডাল ১৩০,সাদা মটর ৫৫ দরে বিক্রি করতেছি।

বাহুবল বাজারের পুরাতন মাছ ব্যবসায়ী মোঃ কাদির মিয়া বলেন,গত এক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম বাড়তি। প্রতি কেজিতে মাছের দাম কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। এক কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়। এক কেজি ওজনের কার্প মাছ ১৮০-২১০ ও তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন,’ দুই দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ১৫০ টাকার জায়গায় এখন ব্রয়লার মাংস কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। লাল ডিমের ডজন পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডিমের উৎপাদন কম ও পোল্ট্রি মুরগির খাদ্য ও ভ্যাকসিনের দাম বৃদ্ধির কারণে সামনে ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে ‘।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন