তিমির বণিক(মৌলভীবাজার):সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের মৌলভীবাজার রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন ব্যাংকার সঞ্জয় কুর্মী ও তাঁর সহধর্মিণী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চাতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ঝর্না কুর্মী।
১৮ মার্চ রোজ শুক্রবার দুপুরের পর সঞ্জয় কুর্মী বাসায় এসে দেখেন তার স্ত্রী ঝর্না কুর্মী’র মরদেহ গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছেন। এমতবস্থায় সঞ্জয় কুর্মী তৎক্ষনাৎ মোবাইল ফোনে তাঁর শাশুড়ীকে বিষয়টি জানালে তারা এসে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অথচ হাঁটু ঘরের ফ্লোরে মধ্যে লাগানো। ঝর্না কুর্মী’র মা (সঞ্জয় কুর্মীর শাশুড়ীর) ধারণা তাদের মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য নাটক তৈরি করেছে জামাই। মৃত ঝর্ণার মা জামাই সঞ্জয় কুর্মীকে হত্যাকারী বলে মনে করছেন। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একটি দল সরিজমিনে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করার কথা থাকলেও বিকেল ৫ টার পর ময়নাতদন্ত হয় না বলে থানায় রাখা হয়। আগামীকাল শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করবেন বলে জানান শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এদিকে সঞ্জয় কুর্মী’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।