শিরোনাম
অসহায়-বিপদগ্রস্তদের পাশে ‘হাজীপুর সোসাইটি কুলাউড়া’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করছেন হবিগঞ্জের ‘শাওন’ কুমিল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলার বাজার জটি গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পঞ্চদশ সমাজ কল্যাণ সংস্হার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ১৭ রামাদ্বান ঐতিহাসিক বদর দিবস মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন তাড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন ঘাটাইলে গণহত্যা দিবস পালিত বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বসতবাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

৯০ বারেও হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি;২৪ আগষ্ট নতুন দিন ধার্য।

সত্যজিৎ দাস / ৪০২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:
সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের ১০ বছর পার হয়ে গেলেও এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা অভিযোগ করেছেন,সরকারের এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। ৯০ বারেও এ মামলার তদন্তের প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হয়নি। তারা বলেছেন,এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে যুগপৎ কর্মসূচি দিতে হবে।

এ বিষয়ে র‌্যাব’র আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক খন্দকার আল মঈন মানবজমিনকে জানান,’ ডিএনএ টেস্টে হত্যাকাণ্ডের ৯ ধরনের আলামতে ২৫ জনের ছাপ পাওয়া যায়। কিন্তু তা কারও সঙ্গে মিলেনি। ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি দম্পতি। এ ঘটনায় রুনির ছোট ভাই নওশের রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। তবে এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র‌্যাবকে। সেই থেকে ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ২৪ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।

এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯০ বার পেছালো। সিএমএম আদালতে শেরে বাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন এই তথ্য জানান।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অপর আসামিরা হলেন;-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম,বকুল মিয়া,মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু,কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল,তানভীর ও আবু সাঈদ।

২০২০ সালের ২৯শে আগস্ট উল্লেখিত পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য ইমেইল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বলা চলে তদন্ত ঝুলে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে কবে ফরেনসিক ও ডিএনএ প্রতিবেদন আসবে তা কেউ বলতে পারছেন না। এই মামলার যেহেতু এখনো কোনো চার্জশিট হয়নি তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পিপিও নিয়োগ দেয়া হয়নি। আদালতে মামলাটি দেখছেন জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও)।

মামলার তদন্তকারী যেমন বদলি হয় তেমনি জিআরও বদলি হয় বারবার। তদন্তকারী নিয়মিত আদালতেও যান না। জিআরও সময় নিতে বলে দেন। জিআরও একটি মুখস্থ মৌখিক আবেদন করেন। বিচারকও নতুন সময় ধার্য করেন। এভাবে একের পর এক মামলার ধার্য তারিখ পড়ে। এখন এই মামলার জিআরও হলেন,সাব ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান,আমার কাছে যে মামলাগুলো আছে তার মধ্যে এই মামলাটিতেই সবচেয়ে বেশি সময় নেয়া হচ্ছে। আর কোনো মামলায় এতবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে বলে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। হয়তো মামলাটা সেনসেটিভ তাই এত সময় লাগছে।

যদিও আইনে ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে এটি নির্দেশনা মূলক,বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগেই বছরের পর বছর সময় নিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন,ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারা অনুযায়ী একটি হত্যা মামলা ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। যে কারণে একটি মামলার তদন্ত শেষ করতে বছরের পর বছর সময় পান তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মো. ফারুক হোসেন ৩৮ ডিএলআর ১৫২ পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তদন্ত শেষ করার সময়সীমা এজাহার প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে তিনি জানান। অথচ ১০ বছরেও এ মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তিনি বলেন, দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ বা সহকারী দায়রা জজ বিচারের জন্য মোকদ্দমা প্রাপ্ত হওয়ার ৩৬০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। তদন্তই শেষ হয়নি বিচার শুরু হবে কবে,তা কেউ বলতে পারে না।

২০১৪ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তিন পৃষ্ঠার চতুর্থ অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ারেছ আলী মিয়া। এ প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্ঠার আগের প্রতিবেদনের তথ্য সংযুক্ত করা হয়। তবে প্রতিবেদনের ২য় পৃষ্ঠায় তদন্ত কার্যক্রমের কিছু নতুন তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকজন,নিহতদের আত্মীয়স্বজন, নিহতদের অফিসের সহকর্মী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ আগের ১৪৯ জনের সঙ্গে নতুন করে ৯ জন যুক্ত করে ১৫৮ জনের সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ ও পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া,যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ডিএনএ রিপোর্ট ও অপরাধ চিত্রের প্রতিবেদন বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আদালত থেকে কিছু নির্দেশনাবলী পাওয়া গিয়েছে।
সে আলোকে আসামি পলাশ রুদ্র পাল এবং আসামি এনামুল হক ওরফে হুমায়ুনদেরকে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ভিকটিমদ্বয়ের একমাত্র পুত্র মাহির ছরোয়ার মেঘকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তাকেসহ আরও সাক্ষীনূরুন্নাহার মীর্জা এবং নওয়াজীশ আলম বিমন দেবকে আদালতে হাজির করে তাদের জবানবন্দি সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। আসামি পলাশ রুদ্র পালের মোবাইল সেট উদ্ধারের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার পরপরই যেসব পুলিশ অফিসার এবং ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে,কিন্তু কেউই পলাশ রুদ্র পালের মোবাইল সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেনি।

আসামি এনামুল হক হুমায়ুনের মোবাইল কললিস্ট পর্যালোচনা করে তার সঙ্গে ঘটনার পূর্বে আলাপ করা ব্যক্তিদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। আসামি পলাশ রুদ্র পাল বা আসামি এনামুল হক হুমায়ুনদের মোবাইলের কললিস্ট পাওয়ার জন্য নতুন করে পরিচালক ইনটেলিজেন্স উইং মহোদয়ের মাধ্যমে মোবাইল কোম্পানিতে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে,যা অদ্যাবধি পাওয়া যায়নি। কললিস্ট পাওয়া গেলে এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপের ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর পত্র দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিটিআরসি আমাদেরকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পত্র দিতে অনুরোধ করেন। ওই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পত্র দেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার ভিকটিমদ্বয় মিডিয়াকর্মী হওয়ায় তদন্তকালে ২৭ জন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।

৫ম অগ্রগতি প্রতিবেদনে যা বলা হয়: ঘটনাস্থল থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপের ব্যাপারে মোবাইল কোম্পানিগুলো থেকে স্বল্প সংখ্যক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। যা পর্যালোচনা করে তদন্ত কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। মামলাটি তদন্তকালে যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাব দু’টি থেকে প্রাপ্ত ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত দুই পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। ওই দু’জনকে চিহ্নিত করতে ব্যাপক তদন্ত করা হচ্ছে।

৬ষ্ঠ অগ্রগতি প্রতিবেদনে যা বলা হয়: আসামি পলাশ রুদ্র পাল এবং আসামি এনামুল হকের মোবাইলের কললিস্ট পাওয়ার জন্য নতুন করে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আসামি পলাশ রুদ্র পালের ঘটনার সময় ব্যবহৃত একটি সিমকার্ডের নম্বর পাওয়া গেছে। ওই সিমকার্ডের সিডিআর প্রাপ্তির পর পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং ওই সিডিআর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা পূর্বক তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ঘটনাস্থল থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের বিষয়ে জানানো হয়, বর্তমানে ওই ল্যাপটপটির ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় তা খুঁজে বের করা সম্ভব নয়।

৭ম অগ্রগতি প্রতিবেদনে যা বলা হয়: এ মামলার ঘটনার সঙ্গে মিল আছে এবং যাদের অপরাধ সংঘটনের প্রক্রিয়া একইরূপ সেরকম বেশ কিছু সন্দিগ্ধ আসামির একটি তালিকা প্রস্তুত করে তাদের নাম ও ঠিকানা যাচাই এবং পূর্ব ইতিহাস জানার জন্য নিজ নিজ থানায় অনুসন্ধান লিপি পাঠানো হয়। প্রেরিত অনুসন্ধান লিপিগুলো ফেরত পাওয়া গেছে। উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আসামির গতিবিধি, চালচলন ও পূর্ব ইতিহাস গভীর ও নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

৮ম অগ্রগতি প্রতিবেদনে যা বলা হয়: ২০১৬ সালের ৩রা অক্টোবর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দপ্তরের ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক উইংয়ের সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহম্মদ ৮ম অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রীতবেদনে তিন বলেন, তদন্তকারী অফিসার সিনিয়র এএসপি মো. ওয়ারেছ আলী মিয়া র‌্যাব থেকে অন্যত্র বদলি হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর আমি মামলার তদন্তভার গ্রহণ করি।

৯ম অগ্রগতি প্রতিবেদনে যা বলা হয়: ১ম থেকে ৮ম অগ্রগতি প্রতিবেদনে যেসব অগ্রগতির কথা বলা হয়,সেসব প্রতিবেদনের সারাংশ নিয়ে ৯ম অগ্রগতি প্রতিবেদন করা হয়।

১০ম অগ্রগতি প্রতিবেদনে যা বলা হয়: ২০২০ সালের ৫ই অক্টোবর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১০ম অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন,২০১৯ সালের ৭ই জুলাই থেকে আমি এ মামলার তদন্ত করে আসছি। মামলাটি তদন্তকালে পূর্ববর্তী তদন্তকারী অফিসার তদন্তের আনুষাঙ্গিক কাজ করাসহ মোট ৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ৬ জন বর্তমানে জেল হাজতে আছে এবং ২ জন আসামি জামিনে আছে। তদন্তকালে অজ্ঞাতনামা পুরুষ ব্যক্তিদ্বয়কে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউএসএ’র অপর একটি ডিএনএ ল্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটির ডিএনএ থেকে অপরাধী/জড়িত ব্যক্তির ছবি প্রস্তুত করার সক্ষমতা রয়েছে। এ জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে এক হাজার দুইশ’ ডলার ফি ব্যাকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯শে আগস্ট উল্লিখিত পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য ই-মেইল প্রেরণ করেছি। কিন্তু তারা এখনো এ বিষয়ে কোনো মতামত প্রদান করেননি।

র‌্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,র‌্যাব’র হাতে তদন্তভার স্থানান্তরের পর অন্তত ৯৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে অধিকতর সন্দেহভাজন হিসেবে একটি ‘শর্ট লিস্ট’ তৈরি করা হয়েছিল। এর মধ্যে রুনির এক ঘনিষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন লাইম লাইটে। কিন্তু,শেষ পর্যন্ত ওই খুনের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি (একাংশ) এম. আবদুল্লাহ বলেন,‘আমরা প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ,বিস্মিত। দুই তারকা সাংবাদিক তাদের নিজ বেডরুমে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। কিন্তু,এখনও পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হলো না। ৯০ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানো হলো। এটা প্রমাণ করে বাংলাদেশে বিচার হীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন,এখন কোনো  হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি ধরা যায়। কিন্তু,সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ধরা গেল না।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ডিএনএ টেস্টে আলামত মিলেনি বলে জানিয়েছে র‌্যাব। টেস্টে ৯৭ শতাংশ মিল হলেও কোনো ব্যক্তিকে এ খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাবা হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত শতভাগ মিল না পাওয়া যাবে। হত্যাকাণ্ডের ৯ ধরনের আলামত ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এতে মিলে ২৫ জনের ছাপ। যাদের ছাপ পাওয়া গেছে তাদের তদন্তের আওতায় আনে র‌্যাব। তাদের সঙ্গে সাগর-রুনির সম্পর্ক কী ছিল বা কোনো ঘটনার বিরোধের জের ধরে তাদের হত্যা করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা শুরু করা হয়। কিন্তু,ডিএনএ টেস্টে খুব একটা ভালো ফল পাওয়া যায়নি।

খুনের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে ওই ২৫ জনের কাউকে এ মামলায়  গ্রেপ্তার দেখানো হবে না। র‌্যাব প্রযুক্তির পাশাপাশি তারা ম্যানুয়ালিও তদন্ত করছে। মামলাটি সংবেদনশীল হওয়ায় দ্রুত তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। যে সব বিষয় ডিএনএ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে; হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি,একটি ছুরির বাঁট,সাগর ও রুনির রক্তমাখা জামা-কাপড়ের অংশ,সাগরের হাত-পায়ে বাঁধা দড়ির অংশ,সাগরের মোজা ও একটি কম্বল। ডিএনএ করা হয়েছে ভিসেরা, ফুট প্রিন্ট ও ফিঙ্গার প্রিন্ট। র‌্যাব বলছে,তারা খুনিকে চিহ্নিত করতে কাজ করছেন।

তথ্যসুত্রঃ- র‍্যাব/দৈনিক মানবজমিন.


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন