বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ওসমানীনগরে ইউ.কে প্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যুর ১দিন পরও মামলা হয়নি

হাবিবুর রহমান / ২৬৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

 ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ

বন্ধ কক্ষের দরজা ভেঙে প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকায়
বন্ধ কক্ষের দরজা ভেঙে প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে।

সিলেটের ওসমানীনগরে অচেতন অবস্থায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারের পাঁচজনকে উদ্ধারের পর বাবা-ছেলের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে দরজা ভেঙে প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তাঁর ছেলে মাইকুল ইসলামকে (১৮) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
উদ্ধার অন্য তিনজন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে মেয়ে সামিরা ইসলামের জ্ঞান ফেরেনি। তবে হোসনে আরা বেগম (৪৫) ছেলে সাদিকুল ইসলামের (২৫) জ্ঞান ফিরেছে।

রফিকুল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার বড় দিরারাই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তিনি বেশ আগেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। ১২ জুলাই রফিকুল স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে দেশে এসেছিলেন। পরে ১৮ জুলাই তিনি তাজপুরের চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালকের স্ত্রী ছিলেন।

সিলেট ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাঈনুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী পরিবারের বাবা-ছেলে মৃত্যুর ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে স্বজনসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় পুলিশ,RAB-9,PBI,CID তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. আবদুল গফফার বলেন, অচেতন অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসা মা ও দুই ছেলে-মেয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে গতকাল সাদিকুল ইসলামের জ্ঞান ফিরেছে। তবে সকালে মায়ের জ্ঞান ফিরেছে এবং মেয়ের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন