সিনিয়র রিপোর্টার:
সিলেট শহরের উপশহর এলাকার জে ব্লক-এর ময়না মিয়ার কলোনির সামনে গত ২৫ জুলাই সোমবার রাত আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটের সময় দুই পক্ষের কয়েশত লোক জড়ো হয়ে এক ভয়ানক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রস্তুতি চলছিলো, ঠিক এই সময়ে নিজের ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি চোখে পরে পুলিশ কনস্টেবল রেজাউল আলম নাসিমের।
কোন রকম অস্ত্র সাথে না থাকায় এবং পুলিশ আসতে দেরী হবে মনে করে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সামাল দেওয়ার বিকল্প ফন্দি আটেন তিনি। তখনই পকেটে থাকা বাঁশিটির কথা মনে পরে যায় তার। উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার পকেটে থাকা বাঁশি বাঁজিয়ে টানা হুইসেল বাজাতে শুরু করেন এবং দৌঁড়াতে শুরু করেন। নাসিমের উচ্চ স্বরে বাঁশির হুইসেল আর দৌঁড়ানো দেখে দাঙ্গাকারীরা আতংকিত হয়ে ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায়,এতে বড় ধরনের একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কোনরকম হতাহত ছাড়াই পন্ড করে দেয় সে তার উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে।
নাসিম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিন পশ্চিম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্রথমরেখ মহল্লার বাসিন্দা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলী মিয়ার সন্তান।পুলিশ কনস্টেবল রেজাউল আলম এর বীরত্বগাঁথা সাহসীকতায় আলোচনায় পঞ্চমুখ সিলেটবাসী। নাসিমের সাহসী ভুমিকায় জে ব্লক বাজার ব্যবসায়ীগণ বুধবার ২৭ জুলাই তাকে ফুল দিয়ে সাহসীকতার অভিনন্দন জানান। এছাড়াও উপ-পুলিশ কমিশনের ট্রাফিকের কার্যালয়ে উপ পুলিশ কমিশনার জনাব ফয়সাল মাহমুদ নাসিমের সাহসী কাজের জন্যে ডাবল জিএস প্রধান করেন এবং পরবর্তী সময়ে কল্যাণ সভা ডেকে তাঁকে নগদ অর্থ পুরষ্কার সহ সম্মান প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।