বিশেষ প্রতিনিধি (শাল্লা):
সুনামগঞ্জের শাল্লায় চার-পাঁচ জনের একটি নটরাজ চক্র বার বার সম্মানী ব্যক্তিবর্গের সম্মান নিয়ে খেলতে মরিয়া হয়ে যায়। হাসপাতাল কান্ডে ও এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ওরা জানে না যে,মিথ্যা ও সত্যের মধ্যে ব্যবধান অনেক। হিংসাপরায়ণ হয়ে গত ৩১ মে তেমনি আরও একটি বানোয়াট সাজানো আবেদন করান আনন্দপুর গ্রামের আশুতোষ রায়কে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে।
আশুতোষ রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি বলেন,’ টিউবওয়েলের জন্য পীযুষ বাবুকে নিয়ে জনস্বাস্থ্য অফিসে গিয়ে সিকিউরিটির টাকা দিয়েছি টিউবেলও পেয়েছি। আমার সঙ্গে উনার কথা কাটাকাটি হয়েছে অন্য বিষয়ে। দরখাস্ত কেন করলেন বলতেই তিনি তৎক্ষণাৎ ফোন কেটে দেন।
জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভারত থেকে ফোনে জানান, পীযুষ বাবু আশুতোষ রায়ের টিউবওয়েলের জন্য সুপারিশ করেছিলেন,টিউবওয়েল দেয়া হয়েছে। এর বেশি আমি কিছুই জানিনা।
এদিকে উপজেলা কৃষকলীগ যুগ্ম আহবায়ক ও শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক পিসি দাশ পীযুষ বলেন,’ সরকারি ঘর দেয়ার আমি কে। টিউবওয়েলের জন্য আমি সুপারিশ করেছি ও তিনি টিউবওয়েল পেয়েছেন। এখন শুনি আমার নামে অভিযোগ।
তিনি আরো জানান,আমি তার নিকট ব্যক্তিগতভাবে ১৫ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা চাইতে গিয়ে আশুতোষ রায়ের সঙ্গে আমার সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে এই নাটক। সম্প্রতি কিছু লোক আমার লিখা লিখিতে ক্ষুব্ধ। তাই তারা আশুতোষ রায়কে দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট সাজানো অভিযোগ করেছেন।
এর পিছনে রয়েছে আনন্দপুরের মাতাল মিহির রায়। তার বিরুদ্ধে নিউজ করায়,সে তার আত্মীয় দ্বারা তাই সাজানো অভিযোগ তৈরি করেছে। তবে যাই হউক তদন্তে সবকিছু প্রমাণিত হবে ও সত্যের জয় হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। আমি উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর বুঝা যাবে বিষয় কি।