শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ইতালি যাবার পথে ‘তাপস সরকার’-এর মৃত্যু।

সত্যজিৎ দাস / ২৫৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার ৪ নং জয়শ্রী ইউনিয়ন এর ৩নং ওয়ার্ডের জয়শ্রী,বাগাচা গ্রামের মৃত শতিস চন্দ্র সরকারের পুত্র তাপস চন্দ্র সরকার (২৫) কয়েক বছর আগে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে যান। সেখান থেকে স্বপ্ন দেখেন ইতালি যাওয়ার। তাপস সরকারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছেন তার বড় ভাই সুমন সরকার।

গ্রিসে বসবাসকারী বাংলাদেশি শহিদ নামের এক দালালের মাধ্যমে চুক্তি করেন গ্রিস থেকে সার্বিয়া যাওয়ার। কথা ছিল পরে সার্বিয়া থেকে অন্য দালালের মাধ্যমে যাবেন ইতালি।

কিন্তু,গ্রিস থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে তাপস সরকারের মৃত্যু হয়। এ রুটে দালালরা প্রথমে গ্রিসের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আলবেনিয়া প্রবেশ করান। পরে আলবেনিয়া ২-৩ দিন রেখে সুযোগ বুঝে মন্টিনিগ্রো নিয়ে যান। মন্টিনিগ্রো নিয়েই আটকে রেখে চুক্তি করা অর্থ আদায় করেন এবং টাকা পরিশোধ হলে দালাল নিয়ে সার্বিয়া অথবা বসনিয়া’তে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে স্লোভেনিয়া হয়ে ইতালি পৌঁছান।

এদিকে সেই চুক্তি অনুযায়ী গত ৩ আগস্ট গ্রিস থেকে তাপসসহ প্রায় ৩০ জনের একটি দল আলবানিয়া পৌঁছায়। আলবেনিয়া স্থল সীমান্ত থেকে তীব্র গরমের মাঝে ৮ ঘণ্টায় উঁচু পাহাড় পাড়ি দিয়ে মন্টিনিগ্রো প্রবেশের সময় হঠাৎ পাহাড়ের মাঝে লুটে পড়েন তাপস।

এ সময় তার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে দালালসহ অন্যান্য যাত্রীরা তাকে রেখেই চলে যান। তার সঙ্গে থাকা পরিচিত দুইজন অনেক চেষ্টা করে তার কোনো সাড়া না পেয়ে তারাও চলে যান। তবে তারা একটি ভিডিও করে গ্রিসে থাকা স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে ঘটনাটি জানান এবং ভিডিওটি ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
মন্টিনিগ্রো প্রবেশের সময় পাহাড়ের মাঝে প্রাণ ত্যাগকারী তাপস-এর বড় ভাই সুমন সরকার ডেইলি সিলেট নিউজ24 বলেন,’ তাপস যে এভাবে মারা গিয়েছে তা এখনও আমরা বিশ্বাস করতে পারছিনা,তার লাশ কোনভাবে দেশে নিয়ে আসার কোন সিস্টেম নেই। আমার মা’কে জানানোর পর থেকে তিনি অনবরত কান্না করছেন ও জ্ঞান হারাচ্ছেন ‘।

সুমন সরকার আরও বলেন,’ শহিদ নামক দালালটির বাড়ী সুনামগঞ্জের আমবাড়ী,আমি এইটুকু জানতে পেরেছি। আমি তাপসের বড় ভাই ও অভিভাবক হিসেবে সিলেট সহ দেশের সকল তরুণদের বলবো এভাবে দালাল না ধরে বৈধ পথে একটু বেশি টাকা খরচ হলেও ইউরোপে যান। এরকম ভুল আর কেউ করে কোন মায়ের বুক খালি কইরেন না ‘।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন