বিশেষ প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আব্দুল লতিফ খানের পুত্র  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য,স্কোয়াড্রন লিডার (অব) সাদরুল আহমেদ খানের উদ্যোগে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও হাট-বাজার সমুহে,ডিজিটাল পরিবেশনায় ‘শেখ হাসিনা’,শীর্ষক আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী।

এরই ধারাবাহিকতায় ০৭ নভেম্বর রোজ সোমবার আনোয়ার পারভেজ জনি তালুকদার এর পরিচালনায় ০৬ নং কাদিপুর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য মন্টু দেবনাথের সভাপতিত্বে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ব্রাম্মণবাজার গ্যাস পাম্পের পাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোকচিত্র,ভিডিও প্রদর্শনী ও ৩০ তম রোডশো আয়োজিত হয়। উক্ত ‘শেখ হাসিনা রোডশো’তে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাম্মণবাজারের আ.লীগ নেতা জসিম উদ্দিন,শ্রমিকলীগ নেতা আল-আমিন আহমেদ ও বীরেন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।

স্কোয়াড্রন লীডার (অব.) সাদরুল আহমেদ খান বলেন,জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়া দূরত্বে থেকে দায়িত্বপালন করেছি। সে অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৪৭ সাল থেকে আজ অব্দি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে ঘটে যাওয়া বিষয়াবলী নিয়ে এ ভিডিও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন।

তিনি জানান,১০ মিনিটের এই ভিডিওতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রযাত্রা ও প্রতিবন্ধকতার বিষয়গুলোও সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে এ বিষয়গুলো নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই রোডশো। কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে,সোমবার (০৭ নভেম্বর) ব্রাম্মণবাজারের গ্যাস পাম্পের নিকটে ‘শেখ হাসিনা রোডশো’ এর ৩০
তম পর্ব স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে সকলের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনী আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য,স্কোয়াড্রন লিডার (অব) সাদরুল আহমেদ খান আরও বলেন,’রোডশো হচ্ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম। সাধারণ খেটে খাওয়া,দিন মজুর,ব্যবসায়ী,বয়োবৃদ্ধ আওয়ামী সমর্থক যারা শহর তলীতে বড় বড় মিটিং সেমিনারে উপস্থিত থাকতে পারেনা বা কেউ দাওয়াত করে না। যাদের নেই স্মার্ট ফোন,ওয়াইফাই। এরাই প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের প্রোপাগাণ্ডা আর গুজবের বিরুদ্ধে হাট বাজারে সোচ্ছার।

অবহেলিত উপেক্ষিত এই মানুষগুলোই কিন্তু দিন শেষে অভিমান বুকে চেপে নৌকায় ভোট দেয়। তাদের জন্য,তাদের দোড়গোড়ায় রোডশো। হাট বাজারে বসে তারা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখছেন। বিরোধী মতের গুজব,প্রোপাগাণ্ডার জবাব দিতে পারছেন চোখে আঙুল দিয়ে। আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসই এই রোডশো। আগামীতে আরও বিষয় ভিত্তিক রোডশো করার পরিকল্পনা আছে। উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের যে সুযোগ এনে দিয়েছেন,তারই প্রতিফলন মান্টিমিডিয়া ‘শেখ হাসিনা রোডশো’।

সিলেট নিউজ/কুলাউড়া/রাজনীতি/এসডি.