কবিতাঃ
দিনমজুরের শশুর বাড়ি নাইঃ
কলমে কবি মুকলেছ উদ্দিন–
ও ভাই সুখী জনের সুখের সীমা নাই
এদিকে দিনমজুরের শ্বশুর বাড়ি নাই।
এগুলি অনেক দিনের পুরনো কথা
কেন যে মাঝে মাঝে মনে হয় তা।
অনেকের ঘরে রাখিত দিনমজুর
সময় সীমা ছিল আট মাস বা একবছর।
সেই সমাজের আইন প্রচলন ছিল
তাকে নির্দিষ্ট মাসের জন্য কিনে নিল।
কথা ছিল মনিবের বাড়িতে তাকিবে যে দিনক্ষন
নিজ বাড়িতে যাইবে অসুস্থতা হইলে তখন।
আপদে বিপদেও কভূ যেতে পারবে না
এমনকি সে তার শ্বশুর বাড়িতেও না।
এখন আর সেই মনিব মজুরের দিন নাই
যান্ত্রিক উপায়ে কাজ করে ফেলে সবাই।
তখন সকলেই ছিল গ্রাম এলাকার
আইন থাকা সত্ত্বেও অনেকে দিত তাদের ছাড়।
এখন আর দেশের বাড়িতে
নেই সেই কাজ আর
বিদেশ পাড়ি দিয়ে করে টাকা রোজগার।
সেই বিদেশ বাড়িতে এসে যারা কাজ করে
বাড়িতে মা বাবা মরিলেও দেখিতে পারেনি তারে।
এদিকে ভাইয়ের বিবাহ বোনের শশুর বাড়ি
ব্যথা ভরা হৃদয়ে ঝড়ে নয়নের বাড়ি।
গর্ভ ধারিণী মা লড়ছে মৃত্যুর সাথে
বলে বারবার তার ছেলেকে দেখিতে।
কারো পিতা মরে গেছে পুত্র পুত্র করে
পুত্র শোক নিয়ে বুকে চলে গেল ওপারে।
সকল ব্যাথা যন্ত্রণা তারা সয়ে অন্তরে
নিরবে কাঁদে আর টাকা রোজগার করে
সেই টাকা আদরের স্ত্রীর ব্যাংকে জমা করে
আরও স্ত্রীর চাহিদা যত পূরণ করে।
পাঁচ বা সাত বছর পর যখন আসিবে বাড়ি।
স্ত্রী তখন গহনা ঘাটি নিয়েই রাখে বেগে ভরি
রাতে ছেলে মেয় বাড়ির সবাই ঘোমাইলে পরে
নতুন স্বামী নিযে বেরিয়ে যায় অন্ধকারে
এই করুন দৃশ্য প্রবাসীরা সয়েছে অনবরত
এতে কি করে তা্রা থাকিতে পারে শান্ত।
তাহাদের নাই কিছু আর চোখের জল ছাড়া
জীবনের সব হারিয়ে আজ সর্বহারা।
তারা সকল ব্যাথা সয়েছিল নীরবে অন্তরে
এই দৃশ্য দেখে অনেকই গ্যান হারিয়ে মরে
আসুন আমরা প্রবাসীদের হয়ে দাবি জানাই
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যেন সহায়তা পাই
এই আদরের স্ত্রীরা যেন পালাতে না পারে
সুব্যবস্থা করার জন্য
অনুরোধ রাখি দরবারে।
কবি মুকলেছ উদ্দিন
চান গাঁও ঠাকুরবাড়ি
মদন নেত্রকোনা।