জৈষ্ঠ প্রতিবেদক:
বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিন পশ্চিম ইউনিয়নের কৃতিসন্তান প্রয়াত দুই এমপির বাড়ির রাস্তায় ব্রীজ এবং কালভার্টে তৈরি হয়েছে মরণ ফাঁদ এছাড়াও কুন্ডুর পাড় ব্রিজের গোড়ায় মাটি সরে গিয়ে সুরঙ্গ তৈরি হয়ে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে,বিষয়টি সম্পর্কে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে ১ সপ্তাহ আগে অবগত করা হলেও কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহন করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হবিগঞ্জ ০২ আসনের প্রয়াত এমপি বানিয়াচঙ্গের কৃতিসন্তান মরহুম শরীফ উদ্দীন আহমেদ’র বাড়িতে যাওয়ার প্রবেশ মুখের কালভার্টি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে, প্রতিদিনই কেউনা কেউ গর্তে পরে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকা বাসী। সরকারী জনাব আলী কলেজ ও জনাব আলী ঈদগাহ’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সাবেক এমপি জনাব আলী’র বাড়ির রাস্থায় একটি কালভার্ট ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। উক্ত কালভার্ট দিয়ে ৩- ৪ বছর যাবত মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে কয়েক শত ছোট বড় গাড়ি এবং কয়েক হাজার লোকজন। প্রতিদিন কেউনা কেউ আঘাত প্রাপ্ত হন বলে জানিয়েছেন আশপাশ এলাকার লোকজন সহ গাড়ি চালকগণ। প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্থাটি ১ বছর আগে পুনঃসংস্কার হলেও কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই রয়ে গেছে।
উক্ত বিষয়ে গত ৩ মাস আগে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মিনারুল ইসলামের সাথে কথা হলে,১ সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ৩ মাস পরে ২৮ জুলাই উনার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,’ সরকার থেকে এইগুলো অতি তাড়াতাড়ি মেরামত করার কোন উপায় নেই আরও ৬ মাসেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলেও আমার কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম ‘।
এবিষয়ে জেলা এলজিইডি উপ-প্রকৌশলী দিলীপ কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আশেপাশে কোথাও মাটির ব্যবস্থা থাকলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মাটির ব্যবস্থা করে যাদি দেওয়া হয় তাহলে ব্রিজের গোড়ার ভয়ানক গর্তটিতে মাটি ভরাট করে দেওয়ার জন্য কিছু সংখ্যক মহিলা শ্রমিক পাঠানো হবে। বাকি সমস্যা গুলো শিঘ্রই পর্যায়ক্রমে সমাধান করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।