ইসমাইল হোসেন শিমুল, গোয়াইনঘাট:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা বিভিন্ন সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিছনাকান্দি, জাফলং পর্যটন কেন্দ্র তাছাড়া রয়েছে সোয়াম ফরেস্ট (রাতারগুল), পান্তুমাই ঝর্না সহ অনেক পর্যটন স্পট। ২০১৩ সালের দিকে বিছনাকান্দি স্পটে পর্যটকের আনাগোনা শুরু সেখান থেকেই প্রকৃতির সাতপাহাড়ের মিলন মেলা ও সচ্ছ ঝর্নার কোল ছুঁয়া জলরাশি দেখতে প্রতিদিন দেখা মিলতো হাজার হাজার ভ্রমন পিপাসুদের। বিছনাকান্দি অপার সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়েছেন অনেক বিদেশি পর্যটকও। বিছনাকান্দি পর্যটনকে ভালোবেসে অনেক পাথরের বিছানা বলেও আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু করোনার মহামারি পর সিলেটের ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যা ইত্যাদি সমস্যাগুলো পর্যটন শিল্প অনেক ক্ষতি কারন হয়েছে। বর্তমানে বিছনাকান্দি পর্যটনের আশা পর্যটকের দেখা মিলছে না, এতে বিপাকে বিছনাকান্দি পর্যটনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী, নৌকার মাঝি, ফটোগ্রাফার, হোটেল রেস্তোরা সহ অনেক খেটে খাওয়া মানুষজন। স্হানীয় বিছনাকান্দি পর্যটনের নৌকার মাঝি সুহেল জানান, আগের তুলনায় পর্যটক কম এতে করে সিরিয়াল অনুযায়ী সপ্তাহে একবার যাত্রী নিয়ে যেতে পারি আগে প্রতিদিন ২/৩ বার আসা যাওয়া যেত। এর কারন জানতে চাইলে বলেন, রাস্তাঘাট খারাপ ও সিন্ডিকেট দোষ। বিছনাকান্দি টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, আগের তুলনায় পর্যটক কিছুটা আশা করছি পর্যটন আস্তে আস্তে আগের মতো আসবে, আমরা প্রতিনিয়ত পর্যটকের সেবা দানে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি । পর্যটন কমে যাওয়ার বিষয়ে স্হানীয় বাসিন্দা মুছা জানান, আগের যে সৌন্দর্য ছিলো বিছনাকান্দি এখন তা নেই, প্রতিনিয়ত পর্যটনের পাথর চুরি হচ্ছে এতে করে বিছনাকান্দি তার সৌন্দর্য হারিয়েছে এবং রাস্তাঘাট খারাপ বলেও উল্লেখ করেছেন। পর্যটনের ব্যবসায়ী জসীম বলেন, হরতার অবরোধের কারনেও পর্যটকের কিছু ঘাটতি দেখা দিয়েছে পর্যটনকেন্দ্রে। তাছাড়া জাফলং পর্যটন ব্যবসায়ী আলমগীর জানান অবরোধ কারণে লোক সমাগম কম এতে বিপাকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। রাতারগুল থেকে ফটোগ্রাফার এসোসিয়েশন লুৎফুর জানান, এই অবরোধে অনেকটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে পর্যটকে এত করে নৌকা মাঝি ও ফটোগ্রাফারা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
তাছাড়া বিছনাকান্দি পর্যটনের সৌন্দর্য ক্ষতি থেকে বাচাতে সকলের সহযোগিতা চান পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল স্হানীয়রা।