ছবিটা দেখে আপনাদের মস্তিষ্কে নানা রকম বিচার বিবেচনা জাগরিত হতে পারে, তাই ধৈর্য সহকারে গল্পটি পড়তে হবে।প্রথমে বুজা জায় না,কিন্তু আসল সত্যটা জানলে নিজেই মানবতার মমতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন,,,
এই ছবিটা ইউরোপের এক চিত্রশিল্পী “মুরলি” এর চিত্রায়ন করা । রোম সম্রাজ্যে একসময় একটি লোকের না খেয়ে মরার শাস্তি মিলল । ঐ ব্যক্তিকে একটি জেলের ভেতরেই শিকল দিয়ে বেধে বন্দি করে রাখা হলো । আর শাস্তিটা ছিল এমন যে যতদিন না ওনার মৃত্যু হয় ততদিন ওনাকে কোনো কিছু না খেয়েই থাকতে হবে । এরকম শাস্তি আগে বহু লোককেই দেয়া হয়। তারা বেশিরভাগই বৃদ্ধ ছিলো।
এমত অবস্থায় ওনার কন্যা ওনার সাথে প্রতিদিন দেখা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করে অনুমতি পেলেন এবং প্রতিদিন দেখা করার আগে ওনাকে ভালো করে পরীক্ষা করে নেওয়া হতো যাতে উনি ওনার বাবার জন্য কোনো রকমের খাবার কোনো জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন । কিন্তু বাবার এ হেন অবস্থা মেয়েটি প্রতিদিন আর দেখতে পারছিলেন না । তাই নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য নিরুপায় হয়ে নিজের বুকের দুধ পান করাতে থাকেন । আর এদিকে যখন কিছুদিন যাবার পরও ঐ লোকটির মৃত্যু হলোনা তখন প্রহরীদের সন্দেহ হয় এবং বাবাকে নিজের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় মেয়েটিকে ধরে ফেলে । এই বিষয়ের উপর আবার মামলা মোকদ্দমা হয় । তখন সরকার আইন কানুনের জায়গা থেকে সরে ভাবনার জায়গা থেকে এই বিষয়ের বিচার করে রায় দেন । দুজনকেই মুক্তি দেওয়া হয় ।
এটা নিয়ে পৃথিবীতে বহু সিনেমা ও বই লিখা হয়েছে।
এই ছবিটি ইউরোপের সব থেকে দামী ছবি । নারী যাই রূপেই হোকনা কেনো , তা সে “মা” , তা সে “স্ত্রী” , তা সে “বোন” আর তা সে “মেয়ে”ই হোক প্রতিটি রূপেই এরা বাৎসল্য , ত্যাগ আর মমতার মূর্তি । এদের সম্মান করুণ । আর নারীদের কাছে অনুরোধ আপনারা আপনাদের এই সৌন্দর্য্য কে অক্ষুণ্ণ রাখুন ।
এই পোস্টটা আপনার কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন l