অলিউর রহমান স্টাফ রিপোর্টার ঃজনতাকে কাঁদিয়ে বাবা-মায়ের পাশে শায়িত হলেন সিলেট সিলেট সিটি র্কপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সিলেটের কোটি মানুষের নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। সোমবার (১৫ জুন) দুইটা ২০ মিনিটে সিলেট নগরীর মানিকপীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে মানিকপীর টিলায় স্বল্প পরিসরে তাঁর দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় অংশ নেন সিলেটের জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। জানাযার নামাজ শেষে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাবেক এই মেয়রের মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অন্যদিকে জোহরের নামাজের পর নগরীর ছড়ারপারস্থ জামে মসজিদে কামরানের প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযায় ইমামতি করেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ভাইয়ের ছেলে ইমতিয়াজ আহমদ আবদাল। তার প্রথম জানাযায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ নেতাকর্মীরা শরিক হন।
এরআগে সাড়ে ১২টার দিকে কামরানের মরদেহ ছড়ারপাড়স্থ তাঁর নিজ বাসভবনের সামনে পৌঁছায়। যখন কামরানকে বহনকারী লাশবাহি গাড়িটি তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করে তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এসময় করোনার ভয় উপেক্ষা করেও তাঁর বাসার সামনে জড়ো হন অসংখ্য নেতাকর্মীরা। কামরানের মরদেহ আসার সাথে সাথে এলাকাজুড়ে কান্নার রুল শুরু হয়।
অপরদিকে কামরানের মরদেহ আসার আগে থেকেই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসমাগম না করতে পুলিশের পক্ষ থেকে কাজ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ জুন) ভোর রাত ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এরআগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের টানা দুইবারের মেয়র কামরান গত ৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শরীর আরও খারাপ হলে ৭ জুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮ জুন কামরানের শরীরে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিলো।
তবে, সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সোমবার ভোরে মারা যান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতি। এর আগে গত ২৭ মে কামরানের স্ত্রী আসমা কামরানেরও করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি অনেকটা সুস্থ রয়েছেন এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।