মোঃ রাকিবুল হাসান সুমন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:
ফুল কে না ভালোবাসে, যার সুগন্ধি সুভাষ, অপরুপ সৌন্দর্য দেখে ক্লান্ত শরীরে ও বসন্তের ছোয়া লাগে।
সারা পৃথিবীতে ফুল কে অতি পবিত্র বলে গণ্য করা হয়, আর তাইতো পুজা পর্বন, বিভিন্ন দিবস সহ নানা অনুষ্ঠান ফুল ছাড়া যেন অপরিপূর্ণ।
এসব কারণে দিনে দিনে ফুলের চাহিদা সারা পৃথিবীতেই বেড়ে চলেছে,পূর্বে ফুলের বাণিজ্যিক চাষ ছিল না কিন্তু বর্তমানে ফুলের এত চাহিদার কারণে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে।
ফুল চাষিদের কথা অনুযায়ী ফুল চাষ খুব লাভজনক একটি ব্যবসা কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অবরোধ-হরতাল বা পরিবহন বন্ধের কারণে ফুল বাণিজ্যের ধ্বস নামে, আবার তারা উঠে দাঁড়াতে পারে কারণ এসব সমস্যা গুলো সর্বোচ্চ তিন থেকে চার দিনের ভিতরে মিটে যায়।
কিন্তু এই করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে তিন থেকে চার মাস তারা ফুল রপ্তানি করতে পারছে না,ফলে তাদের ফুল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ক্ষতি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
ফুলচাষীরা বলেন, এর আগে এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন তারা হয়নি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে যশোর কেশবপুরের এক ফুলচাষী, অঞ্জু সরকার(ফুল বৌদি) বলেন তিনি বহু বছর ধরে ফুল ব্যবসা করে তার সংসার চালাচ্ছেন কিন্তু এবার তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন, তিনি আরও বলেন,
আজকের এই করোনা ভাইরাসের মহাসংকটের দিনে কে কিনবে ফুল,বাজারে নিয়ে গেলে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে না এমনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আবার রপ্তানি ও করতে পারছে না, তাই মাঠের পর মাঠ ফুল বাগিচার ফুল নষ্ট হতে হচ্ছে । ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে ফুল চাষের সাথে জড়িত চাষীরা অসহায়তার মধ্যে কাটাচ্ছে প্রতিটা দিন।
অঞ্জু সরকার বলেন, এ বছর তাদের ফুল চাষে বিনিয়োগ করা অর্থের পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেল। বিশেষ বিশেষ দিবসে ফুলের কদর বাড়ে বহুগুণ কিন্তু করোনাভাইরাস এর কারণে সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবং সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফুলের কোনো চাহিদা ই নেই।
অন্য এক ফুলচাষী জানান, কঠোর পরিশ্রম করে ফুল তুলে ফেলে দিতে হচ্ছে গাছ নষ্টের ভয়ে। গোটা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন, বাজার হাট, যানবাহন বন্ধ, ফুল বিক্রি নেই। গাছেই নষ্ট হচ্ছে ফুল, না হলে ফুল তুলে ফেলে দিতে হচ্ছে নর্দমায়।
এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফুলচাষিরা সরকারি সহায়তা কামনা করছে,তারা এটাও বলছে সরকার যদি তাদেরকে সহযোগিতা না করে তবে ফুলচাষীদের হয়তো না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।