মোহাম্মদ আলী সুমনঃ
সম্মুখে আমার বিস্তৃত সব মনোহর ঢাকা নগর,
এই যে অট্টালিকা ইমারত সবি কি যে মনোমুগ্ধকর।
নজরকাড়া দেশ হেরিলে ভাবি মনকাড়া এক ছবি,
উল্টো পিঠ তার হেরিলে আসে হৃদয় ফাটা গবি।
এই মায়াবী রূপের শহরে প্রত্যেক ঘরে ঘরে,
লাস্য ত্যজি লাশের মিছিল দিচ্ছে অকাতরে।
পুরাকাল যেমন নিত্য তেমন নাই কোনো তার ভেদ,
আগেও ত হতো এই পুরীতে কত-না শিরশ্ছেদ।
আগারে থাকিতো উগার ভরতি খাদ্যের ছড়াছড়ি,
উদর ভরে খাইতো দালানী দিতো ডাস্টবিনে এঁটো ছাড়ি।
পথের দ্বারে পান্থ বসে মরতো রে অনাহারে,
ক্ষুধাতুর সে ব্যথাতুর হৃদয়ে কুশ্রী গোনতো বাহারে।
অধুনা কিঞ্চিৎ যায় নি বদলে আমাদের কাণ্ড সব,
অদ্য হয়তো পৃথগন্ন রূপে আর্তনাদ হচ্ছে দবদব।
রোজ যেখানে পদ্মফুলের মাথায় বসতো সাপ,
আব ও তাতে মগ্ন মাতে তাকে রে সে চুপচাপ।
সুন্দরের বিপরীত বুঝি বিশ্রী বলাটা ভুল,
ক্লিষ্ট তার উলটা এটা না জেনে সমাজ গোল।
রূপের বহরে গ্রীতিকর শহরে পড়ে আছে বেদনাবহ,
ক্ষুধাতুর তার আর্তচিৎকার যায় করে অহরহ।
বেশ কিছু নয় ইদানীন্তন আমরা হলেম শামিল,
একটু খানেক টের লয়ে যাই কেমনে গড়ে জামিল।
কেমনে গড়ে শান্তনগর গ্যাঁজলা বিহীন নদী,
কেমন করে বধির হয় রে এই সমাজের শুধি।
একহাত দিয়ে অন্য হাতে ঘাতে হয় করতালি,
এযাত্রায় যদি বুঝনা যাতনা কাটায় ক্লেশ হালি।
অবিচল তবে হয়ে গেল বুঝি মতিগতি সব রোজ,
অন্তিমশয্যায়ও জাগে না কেন বিবেকবুদ্ধি বুঝ।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
হিংগাজিয়া,কুলাউড়া,মৌলভীবাজার