শিরোনাম
জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে জুবায়ের আহমদ মনি তালুকদার ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুবের লস্কর
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

প্রবাসী প্রেমিকের কথায় স্বামীর ঘর ছাড়লেন-তামান্না

Coder Boss / ৭২০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ জুন, ২০২০

অনলাইন  ডেস্ক ::

তামান্না আক্তার। বয়স ২৪ কিংবা ২৫ বছর। ছয়দিন ছিলেন নিখোঁজ। এই সময়ে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না পরিবারের। ওমানে থাকা স্বামী শফিকও ছিলেন অস্থির। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যার একটু আগে তাকে জকিগঞ্জের আটগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হলেও সামনে এসেছে নতুন কাহিনী। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছেন গৃহবধূ এই তামান্না। এ কারণে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ওই প্রবাসী বধূকে শনিবার বিকালে গোলাপগঞ্জ থানায় পাঠিয়েছে।

২০১৬ সালে শফিক ও তামান্নার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর শফিক স্ত্রী তামান্না আক্তারকে নিজ বাড়িতে রেখে ওমানে চলে যান। পারিবারিক ভাবে তাদের মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতি কখনো লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বিদেশ থেকে স্বামী শফিকুর রহমান পরিবার ও স্ত্রীকে টাকা পাঠাতেন। তারপরও আরেক প্রবাসীর প্রেমে পরেন তামান্না।

বছর তিনেক আগে মোবাইল ফোনের ইমুতে যোগাযোগ হয় জকিগঞ্জেরই কামালপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আসাদ উদ্দিনের সঙ্গে। এরপর থেকে তাদের দু’জনের ইমুতেই যোগাযোগ বাড়ে। সেটি প্রেমের সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। প্রায় প্রতিদিনই ইমুতে দুবাই থাকা প্রবাসী আসাদ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় তামান্নার। বিষয়টি কেউ জানতো না। স্বামী কিংবা তার পরিবারের লোকজনও জানতেন না। আসাদ উদ্দিন বর্তমানে দুবাই প্রবাসী। তামান্নার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলেও তখনো স্বশরীরে তাদের দেখা হয়নি। তামান্না আক্তারের বাড়ি জকিগঞ্জে। তবে তিনি গোলাপগঞ্জ পৌরসভার চৌমুহনী এলাকার একটি ফার্মেসিতে এসে ডাক্তার দেখাতেন। ছোট ভাই মিজানুর রহমান মিজানকে নিয়ে গত রবিবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে আসেন তামান্না আক্তার। ফার্মেসির সামনে বোন তামান্নাকে রেখে পানি আনতে যান মিজান। একটু পর ফিরে এসে দেখেন তার বোন নেই। কোথায় গেছে কেউ বলতে পারে না। আশেপাশে খুঁজেও বোনকে পাননি। বিষয়টি তিনি জানান পরিবারকে। পরে সোমবার তিনি গোলাপগঞ্জ থানায় গিয়ে বোন হারানোর সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছিলো। গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি জকিগঞ্জ থানা পুলিশও বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিল। আর হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পরিবারের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। শুক্রবার বিকালে দুবাই প্রবাসী প্রেমিক আসাদের দুই স্বজনকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে পিতার বাড়ি মানিকপুরের মোহাম্মদপুরে যাচ্ছিলেন তামান্না। এ সময় জকিগঞ্জ থানা পুলিশ রতনপুরের নিকটবর্তী এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে। রাতে নিয়ে যাওয়া হয় জকিগঞ্জ থানায়। উদ্ধারের পর তাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। উদ্ধারের পর তামান্না পুলিশের কাছে নিখোঁজের ঘটনাটি খুলে বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তামান্না।

এ সময় তামান্না জানান, ‘আসাদ সব সময় তাকে ফোন দিতো। তারা ফোনে কথা বলতো। আসাদও বিবাহিত। তবে বাড়িতে থাকা স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা নেই। এ কারণে সে ওই স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবে। এরপর আমাকে বিয়ে করবে।’

তামান্না জানান, ‘পূর্বের কথামতো ঘটনার দিন আমি যখন ফার্মেসির সামনে যাই তখন আসাদের স্বজনরা গাড়ি নিয়ে আসেন ওখানে। ভাই মিজান পানি আনতে গেলে ওদের সঙ্গে গাড়িতে করে চলে যাই।’ নিখোঁজের ৬ দিন সে বিয়ানীবাজারের কালিজুড়ি গ্রামে আসাদের দুলাভাই শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে ছিল। এরপর নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে পুলিশ তাকে আটক করেছে।

এদিকে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ প্রবাসী বধূ তামান্নাকে উদ্ধারের সময় সিএনজি অটোরিকশা থেকে দুবাই প্রবাসী আসাদের স্বজন সুহেল আহমদ ও আব্দুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। রাতে তারাও ছিল থানায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, আসাদের পরামর্শ মোতাবেক তারা তামান্নাকে কালিজুড়ি নিয়ে গিয়েছিলো। সেখানে রাখার পর তাকে পিতার বাড়ি ফিরিয়ে দিতে যাচ্ছিলো। এদিকে জকিগঞ্জে উদ্ধার হলেও তামান্না নিখোঁজের জিডি দায়ের করা হয়েছিলো গোলাপগঞ্জ থানায়। এ কারণে শনিবার বিকালে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ আটক দুইজন সহ তামান্নাকে গোলাপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে।

জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের জানান, ঘটনাস্থল গোলাপগঞ্জ। জিডি করা হয়েছিলো ওই থানায়। এ কারণে উদ্ধারকৃত তামান্না সহ দুইজনকে ওই থানায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে তামান্নার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বামীর বাড়ি ও পিতার বাড়ির পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি তামান্নাকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়েছে।

তামান্নার ছোট ভাই মিজানুর রহমান মিজান জানিয়েছেন, ‘আমার বোনকে জোরপূর্বক ওরা গোলাপগঞ্জ সদর থেকে নিয়ে যায়। উদ্ধারের পর থেকে বোনের মানসিক অবস্থা ঠিক নয়। তাকে মানসিক ভাবে টর্চার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা গোলাপগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

গোলাপগঞ্জ থানার ওসি আবুল কাশেম জানিয়েছেন, তামান্না উদ্ধার হয়েছে এটি স্বস্তির খবর। এখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন