মোঃ রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর মনিরামপুরে একদিনে রেকর্ড সর্বাধিক ১৩জন করোনাভাইরাসের পজিটিভ রির্পোট এসেছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুভ্রা রাণী দেবনাথ। ডাক্তার শুভ্রারানী দেবনাথ জানান, গত ৮জুলাই বুধবার মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। আজ (শুক্রবার) সকালে তাদের মধ্যে ৪ জনের ও ঢাকা থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে ৯ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
ঢাকা থেকে পজেটিভ রিপোর্ট আসা ব্যক্তিরা বেশ আগে বিভিন্ন হাসপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন। নতুন পজেটিভ রিপোর্ট আসা ১৩ জন হলেন, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) ইফতেখার রসুল, মণিরামপুর পৌরশহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা ব্রাক অফিসের কর্মকর্তা বিনয় অধিকারী, উপজেলা শিক্ষা অফিসের স্টাফ তাসলিমা বেগম, পৌর এলাকার গাংড়া গ্রামের রবিন্দ্রনাথ, মণিরামপুর গ্রামের শংকর ব্যানার্জি, মোহনপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম, তাহেরপুর এলাকার আব্দুস সালাম ও আব্দুর রহিম, কামালপুর গ্রামের ইউসুফ আলী, সালামতপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, দেবিদাসপুর গ্রামের নিজাম হোসেন ওরুপে মধু নিজাম এবং কেশবপুর এলাকার এনজিও কর্মী মিজানুর রহমান। ডাঃ মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ অনুপ কুমার বসু নিশ্চিত করেন, আক্রান্তদের মধ্যে শংকর ব্যানর্জি এক সপ্তাহ ধরে মণিরামপুর হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি আছেন। বাকীরা সকলেই নিজ-নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই মুহুর্তে সকলেই সূস্থ্য ও স্বাভাবিক রয়েছেন।
এছাড়া আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করার জন্য তাদের নাম-ঠিকানা উপজেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আক্রান্তদের বাড়ী-বাড়ী সরেজমিন খোজ-খবরসহ সার্বিক সহযোগিতাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেছেন। উল্লেখ্য করোনা পরীক্ষা করার জন্য এই পর্যন্ত মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ৩৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া এই উপজেলার অনেকেই যশোর জেনারেল হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে নমুনা দিয়েছেন। তারমধ্যে এই উপজেলায় মোট ৫৬ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ইতোমধ্যে ৩২ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।