বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকৃতির অপরুপ লীলাভূমি সিলেটের ঐতিহ্য ও পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনাসমূহ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রচার এবং পর্যটন সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত ভ্রমনপ্রেমিদের সংগঠন “বালাগঞ্জ ট্যুরিষ্ট ক্লাব”র উদ্যোগে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর হাওর হাকালুকি ও তৎসংলগ্ন মনিপুর চা-বাগানে ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত ভ্রমনের অংশ হিসেবে এক ভ্রমন অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক এবং ক্লাবের সভাপতি ছালিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে ১৮ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত উক্ত ভ্রমন যাত্রায় ক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন-গহরপুর বাজারের ব্যবসায়ী এবং গহরপুর আব্দুল মতিন মহিলা একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, রিফাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ দাস, সারসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুনেদ আহমদ, গহরপুর আব্দুল মতিন মহিলা একাডেমির অধ্যক্ষ জুবের আহমদ, রক্তদাতা ও সামাজিক সংগঠন ‘গহরপুর ব্লাড ফাইটার্স’ এর সভাপতি আমিনুর রহমান, নর্থইস্ট বালাগঞ্জ কলেজের প্রভাষক শাহ আলম, দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক মামুদ মুস্তাদি খান আল ফালাহ একাডেমির আইসিটি শিক্ষক আব্দুল করিম, সহকারি শিক্ষক সুজেল আহমদ, জালালপুরের বিশিষ্ট পোল্ট্রী ব্যবসায়ী মুহিবুল ইসলাম, আলাউদ্দিন ও সমাজকর্মী সালেহ আহমদ রাজিব।
সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জে অবস্থিত মনিপুরি চা বাগান পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে সকাল ১১ ঘটিকায় ভ্রমন কর্মসূচী শুরু হয়। স্থানীয় রেস্তোরা ‘ক্যাফে-আল মনযিল’ এ মধ্যাহ্নভোজের ১ঘন্টা বিরতি শেষে পুনরায় দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে স্থানীয় ঘিলাছড়া বাজার (জিরো পয়েন্ট)অভিমুখে ৭টি মোটরসাইকেলযোগে যাত্রা শুরু করেন সদস্যরা। ঘিলাছড়া বাজার থেকে রিজার্ভ নৌকাযোগে যাত্রা শুরু হয় হাওরের মধ্যাংশে অবস্থিত ‘ওয়াচ টাওয়ার’ পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে।
বিশাল হাওরের বিস্তির্ণ জলরাশি, অপরুপ ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে ভ্রমনে অংশগ্রহনকারী সদস্যবৃন্দের মাঝে এসময় এক দারুন অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এসময় সামাজিক মাধ্যমে ছবি প্রদান ও লাইভ দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। কেউ কেউ মেতে উঠেন ভাটিয়ালী ও ভাওইয়া গানের ছন্দে। পরে ওয়াচটাওয়ার পরিদর্শন শেষে ভ্রমনকারীরা বিকাল সাড়ে পাঁচটায় জিরো পয়েন্টের (ঘিলাছড়া বাজার) ঘাটে ফেরে চা পর্ব শেষ করে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।